গোলাম মোস্তফা : দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে তাড়াশের আঞ্চলিক ও গ্রামীন সড়কগুলোর বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিধ্বস্ত এসব রাস্তায় যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বিঘœ ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তাড়াশ-খুটিগাছা আঞ্চলিক সড়ক, খালকুলা আঞ্চলিক সড়ক, দিঘী সগুনা আঞ্চলিক সড়ক, বারুহাস আঞ্চলিক সড়ক, উত্তর ওয়াপদা বাঁধ আঞ্চলিক সড়ক, কাটিগাড়ি আঞ্চলিক সড়ক, কুসুম্বী-বিনসাড়া গ্রামীন সড়ক, রানীহাট-কুন্দাশন গ্রামীন সড়ক ও তাড়াটিয়া-কাটাগাড়ি গ্রামীন সড়কের মাঝে-মাঝে পাকা কার্পেট ভেঙে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত হয়েছে। গর্তগুলোয় সামান্য বৃষ্টিতে দিনের পর দিন পানি জমে থাকছে। আর পানি শুকালে কর্দমাক্ত অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে হালকা ও ভারি সব রকমের যানবাহন। বাদশা মিঞা, হারেচ আলী, সমসের আলী, খাইরল আলমসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী গাড়ী চালক বলেন, তাড়াশের বেশিরভাগ আঞ্চলিক সড়ক খানাখন্দে বিধ্বস্ত। মাঝে মধ্যে ইট ও সুরকি ফেলে সংস্কার করা হলেও তেমন একটা কাজে আসেনা। বেহাল সড়কে গাড়ির স্টিয়ারিং ঠিক রাখা যায় না। সঠিক সময়ে যাত্রী ও মালামাল গন্তব্যে পেীঁছে দিতে হিম সিম খেতে হচ্ছে। দিক-বিদিক না দেখে যেদিক সেদিক দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।সিরাজগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক জানান, খালকুলা আঞ্চলিক সড়ক মেরামত কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া আগামী মাসেই সম্পন্ন হয়ে যাবে।
এদিকে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল মিয়া বলেছেন, কাটাগাড়ি আঞ্চলিক সড়কের টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। বারুহাস ও দিঘী সগুনা আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণ কাজের টেন্ডারও চলতি মাসে সম্পন্ন হয়ে যাবে। অন্যান্য সড়ক নির্মাণ ও মেরামত কাজও পর্যায়ক্রমে হবে।