ছেলেরা যাবে কোথায়!
খেলার মাঠ-এ, না ভারচুয়াল ভাইরাসের দিকে
মহামারি করোনা ভাইরাস, ফেসবুক, ইউটিউব, ভিডিও গেমস-সহ বিভিন্ন ধরনের ভারচুয়াল ভাইরাস নিয়ে জাতি এক গভীর সংকটকাল অতিবাহিত করছে। দেশের শিশু ও যুব সমাজকে এই ভারচুয়াল ভাইরাস থেকে রক্ষা করা আমাদের বিবেকবান প্রতিটি নাগরিকের গুরু দায়িত্ব। কিন্তু আমরা এ দায়িত্ব কয়জন পালন করছি। ছোট বাচ্চারা আজ যাবে কোথায়? সকল স্কুল কলেজ বন্ধ করোনায় বাসা বন্দী, বিনোদনের তেমন কোন জায়গা নেই। নেই কোন খেলার মাঠ। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা এ জীবনঘাতি ভারচুয়াল ভাইরাসের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। গভীর পরিতাপের বিষয় বিশে^র ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। যে কোন মহুর্তে এ অবস্থান শীর্ষে চলে আসবে সে আশংকা আরও আতংকের বিষয় হচ্ছে- এগুলো ব্যবহারকারী ২৫% লোকের বয়স হলো ১০ বছরের নিচে। ফেসবুক ও নানা কায়দার তৈরী ভিডিও গেমস যারা তৈরী করেছিল তারা আজ অনুতপ্ত। ফেসবুক তৈরীকারী একজন জামাতপালি হাতি তিনি বড় আফসোস করে অনুতপ্ত হয়ে বলেছেন শিশুদের ও যুব সমাজের এত বড় ক্ষতি হবে তা ধারনা ছিল না। নিজেরা এর ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন। কান্না জড়িত কণ্ঠে আহবান করেছেন এ ভারচুয়াল ভাইরাস যা ব্যবহারকারীদের তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়। নিজেদের সন্তানদের ১৮ বছরের নিচে এগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
আজ আমাদের বাচ্চারা যাবে কোথায়? এ জীবন ঘাতী ভারচুয়াল ভাইরাসের দিকে ? নাকী খেলার মাঠে! এদের যদি বাঁচাতে চান –এখনও সময় আছে। এমপি মহোদয় আপনি সোনার মানুষ খ্যাত। আপনার প্রথম প্রতিশ্রুুতি ছিল ষ্টেডিয়াম/ খেলার মাঠ নির্মান করে ছেলেদের মাঠে ফিরানো। স্টেডিয়াম নির্মান করতে দেরি হলে তাড়াশ বাঁশ বাজার এ যে ছোট্র একটি মাঠ আছে তা খেলার উপযোগী করুন। বড় আফসোস কিছু ছেলেরা বাঁশ বাজারে অতিকষ্ট সহ্য করে ভংগুর এই মাঠে প্যাকটিস করে চলেছে আর তারা জনপ্রতিনিধিদের কাছে মাঠটি নির্মানের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে।
অতএব, আপনার নিকট সবিনয় প্রার্থনা ছোট ছেলেদের মাঠে ফিরানের উদ্দেশ্যে অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।
লেখক, কবি ও কলামিষ্ট
সহকারী অধ্যাপক
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজ