তাড়াশ পৌর সদরে জরুরী ভিত্তিতে নর্দমা  ও গণশৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থা নিন

Spread the love

এই অত্যাধুনিক যুগে বাইরে থেকে কেউ তাড়াশ উপজেলা সদরে ও পৌরশহরে বেড়াতে এলে প্রথমেই তার দম বন্ধ হবে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে না পারার জন্য। কারণ, এখানকার পৌরসদরের কোথাও এবং প্রাচীন তাড়াশ বাজারের কোন স্থানেই গণশৌচাগার নেই। একই অবস্থা পানীয়জলের ক্ষেত্রেও। তাড়াশ বাজার একটি প্রাচীণ বাজার হলেও এখানে পানীয়জলের সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত পানি ও পায়খানা উভয় ক্ষেত্রেই এই বাজারে নাজুক অবস্থা বিদ্যমান। তাড়াশ বাজারে ও পৌর সদরের কোথাও নর্দমা ব্যবস্থারও অস্তিত্ব নেই। ফলে আধুনিক হাট বাজার ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের দৃষ্টিকোণে তাড়াশ পৌরসদর ও পৌরবাজার একটি পশ্চাদপদ জনপদের প্রতীক।

এই বাজারে দোকানপাট, রাস্তাঘাট ও লেন গলির অবস্থানও সেকেলে ধরনের। মোট কথা নর্দমা, সৌচাগার, পানির ব্যবস্থা, দোকানপাট পূনর্বিণ্যাস, বাজারের অলিগলি পূনস্থাপন ও এই বাজারের দখল বেদখল উচ্ছেদ করে এটাকে একটি সুন্দর সুসজ্জিত পরিপাটি আধুনিক বাজারে পরিণত করা এখন সময়ের দাবী। তা না হলে তাড়াশ বাজারের বর্তমান চেহারা বহিরাগত লোকজন দেখে নাক সিটকাবে,দিক্কার দিবে ও ঘৃণা জানাবে। তাড়াশের পাশর্^বর্তী রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া,ভাঙ্গুড়া,গুরুদাসপুর ও সিংড়াসহ চলনবিলের যে কোন উপজেলা সদরে বা পৌরসভার বাজারেরই তুলনামূলক দৃষ্টান্ত বলেন না কেন, কোনটার অবস্থাই তাড়াশের মত এত শোচনীয় করুণ ও দুর্দশাজনক নয়। তাড়াশ বাজারের রাস্তাগুলোতে বৃষ্টি হলেই পানি গড়ে খালের মত কাদাঁয় ভরে যায়। কোথাও দোকানপাটেও পানি জমে। বাজারের চাপা গলিতে মানুষ কোনরকম যাতায়াত করলেও কোনপ্রকার যানবহন চলতে পারে না।  এখানে মাছ বাজারের একটি সংকীর্ণ পট্টি থাকলেও মাংস, সবজি, কাঁচা বাজার ও চাষ্টলের কোন নির্দিষ্ট বাজার নেই। জগাখিচুরি এলামেলো বসে এসব দোকানপাট। অপরদিকে বাজারের মাঝখানে নির্মিত বড় টিনশেডের অধিকাংশটুকু নামে বেনামে বেদখল হয়ে এর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত অগোছালো, অপরিচ্ছন্ন তথা যার যেমন খুশি তেমন করে  চালাচ্ছে।

তাড়াশ বাজারের কোন সিস্টেম নেই, নেই কোন নিয়ম শৃঙ্খলা। বাজার কমিটি নামে মাত্র থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এটা দেখভালের নেই কেউ। স্থানীয় উপজেলা পরিষদ ও নব গঠিত পৌরসভা কতর্ৃৃপক্ষ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পদক্ষেপ নিলেও তাড়াশের বাজারের প্রতি তাদের কোন নজর আছে বলে মনে হয় না। এই বাজারে মহিলাদের মার্কেট পুরুষরা দখল করে আছে। অপরদিকে প্রতিবন্ধীদের জন্য এখানে বিশেষ কোন মার্কেট বরাদ্দ নেই। এর ফলে তারা নানা রকম হয়রানী ও বঞ্চনার শিকার হয়ে কোনরকমে ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। উপরোক্ত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তাড়াশ পৌর বাজারকে কেন্দ্র করে একটি দীর্ঘমেয়াদী মাষ্টার প্লান করা দরকার। তাড়াশে বড় মাপের ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের অভাবে যুগ যুগ ধরে তাড়াশ অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। এখানে কাংখিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এখনো  থেকে যাচ্ছে অধরা।বাস্তবে কেউ তা নিয়ে চিন্তা করছে না । কবে এসব বাস্তবায়িত হবে তাও কেউ জানে না। তবু গণ অভিপ্রায় ও সুদীর্ঘ চাহিদার আলোকে তথা বাস্তব নিরিখে তাড়াশ পৌর সদরে ও পৌর বাজারে যত দ্রুত  সম্ভব নর্দমা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং গণ শৌচাগার নির্মাণ করা যায়, ততই বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণের বিরাট কল্যাণ তথা উপকারে আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD