ব্যাংকার স্বামীর যৌতুকের লোভ!

Spread the love

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ী ইসাহক আলীর একমাত্র মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন ইলা (৩২)। ২০১০ সালের ১৯ মার্চ পাশর্^বর্তী তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি গ্রামের খন্দকার কলিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজের সাথে ইলার বিয়ে হয়। আব্দুল আজিজ ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা।
নির্যাতিত গৃহবধূ ইলা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের সময় জামাইকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি সোনার গহনাসহ ঘর সাজানোর আসবাবপত্র যৌতুক দিয়েছিলেন তার বাবা। কিছুদিন পরই ওই গহনাগুলো বিক্রি করে দেয় সে। পরবর্তীতে ঢাকায় ফ্লাট কেনার অজুহাতে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি পূরণ করতে না পারায় তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় স্বামী আজিজ। গত বছরের ২৬ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় স্বামী আব্দুল আজিজকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান ট্রাইবুনাল আদালত। ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা হয়। জামিনে ছাড়া পাওয়ার কিছুদিন পর রাজশাহীর বোয়ালী থানায় পতিতাসহ হোটেলে ধরা পড়ার অভিযোগে আবারও গ্রেপ্তার হয়। এ পর্যন্ত তিনবার আটক হয় এই ব্যাংক কর্মকর্তা। কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়ে এসে আবারো ৫০ লাখ টাকা পাওয়ার জন্য ইলা ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানায় জিডিও করা হয়েছে।
ইলার বাবা ইসাহক আলী জানান, আগে জানতাম না সে জামায়াত-শিবির করে। টাকা পয়সার প্রতি তার চরম লোভ। টাকার জন্য বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে তার মেয়ের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো আজিজ। তার মেয়ের আট বছরের ১টি পুত্র রয়েছে। ইলা এখন তার বাড়িতেই থাকে।এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ওই ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো.শহিদুল্লাহ বলেন, আমার ষ্টাফের বিরুদ্ধে কোন মামলা হলে সেটা আদালত বিচার করবে। তবে অভিযুক্ত আজিজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সিম বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।#

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD