মোঃ ফজলে খোদা (বাবু)
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে স্থানীয় কিংবা জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গেলে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে নিরুৎসাহিত করা হয় । বাংলাদেশে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতে প্রায়শই অনীহা প্রকাশ করেন। বর্তমান যুগের প্রেক্ষিতে এম,পি , চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র, প্রভৃতি উচ্চ পদে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করেন। কারণ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পান স্বল্প শিক্ষিত প্রার্থী। এসব গরুক্বপূর্ণ এবং উচ্চ পদে অবশ্যই উচ্চ শিক্ষিত স্নাতকোত্তরধারী ব্যক্তিদের এবং অন্যান্য নিম্ন পদে কমপক্ষে এইচ,এস,সি পাস ব্যক্তিদের নির্বাচনী মনোনয়ন পত্র দাখিলে নির্বাচনী যোগ্যাতা বলে আইন অবশ্যই আবশ্যই করা উচিৎ।
তবেই আমাদের সোনার বাংলা স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে-পাবে সুশিক্ষিত জনবলের দেশ গড়ার নেতৃত্ব। উচ্চশিক্ষিত এবং শিক্ষিত ব্যক্তি হওয়ায় সবার মন মানসিকতায় থাকবে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন এবং দৃঢ় মনোবল। যেখানে থাকবেনা কোন চুরি,দূর্নীতি,আত্নসাৎ,স্বজন প্রীতির মত ঘৃণ্য কাজগুলো, আমাদের দেশ দেখবে এবং পাবে এক উচ্চ শিক্ষিত এবং শিক্ষিত জনবলের সমন্বয়ে দেশ গড়ার অঙ্গীকার এবং সৎ ও পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড।
নির্বাচনী পদগুলোর মধ্যে অবশ্যই এম,পি,চেয়ারম্যান,পৌরমেয়র পদগুলো উচ্চশিক্ষিত ডিগ্রীধারী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত এবং অন্যান্য পদ কমপক্ষে এইচ,এস,সি পাস ধারীদের জন্য নির্ধারিত থাকা উচিৎ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বল্প শিক্ষিত যারা মেট্রিক পাস করেনি কিংবা পড়ালেখা করেনি তারাও শিক্ষাগতযোগ্যতার নকল সার্টিফিকেট দাখিল করে তাদের ‘কাক হয়ে ময়ূর হওয়ার স্বপ্ন দেখে’। এখন থেকে অবশ্যই এ সকল অযোগ্য ব্যক্তি যাতে কোনভাবেই নির্বাচনী পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে না পারে এবং প্রয়োজনে জাল সার্টিফিকেট জালিয়াতির জন্য কঠিন শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ। তবেই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থানীয়, জাতীয় ও অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশ পাবে একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদল এবং দেশ এগিয়ে যাবে উন্নয়নের দিকে।
আশা করি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশা করছি।