ফারুক আহমেদ : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশেই এক প্রকার লকডাউনে সারাদেশের ন্যায় সলঙ্গায় মানুষ ঘরবন্দি হওয়ায় দিনমজরদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া লোকগুলো। জাতীয় এই সংকট অবশ্য সরকারের পাশাপাশি অনেকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী তবে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য যে পরিমাণ খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যাদের পরিরার একটু বড় তাদের একবেলাও এসব খাবারে হচ্ছেনা। অনেকে আবার সহায়তা না পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সলঙ্গা রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আবুল সরকার বলেন,দোকান খুলতে পারছিনা খুললেও বেচাকেনা নেই । নেই কোনো কাষ্টমার। দোকান চালিয়ে যা আয় হতো দিয়ে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ চালাতাম। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর সবকিছু বন্ধু থাকায় এখন আয়ও হচ্ছে না। একই কথা সলঙ্গা সদরের শ্রী কার্তিক আমি জুতা সেলাই করে খাইও হামরা একন কী খায়া বাচমো কোন কাম নাই। অভাবের সংসারে স্রীসহ আছে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে প্রতিদিন বাজার থেকে চাল – ডাল সবজি না কেনলে বাড়িতে চুলায় আগুন জ্বলে না। কারণ হিসেবে জানালেন, সংসারে তার সঞ্চয় বলে কিছু নেই। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষজন তার কাছে আর জুতা সেলাই করেনা। পয়সা – পাতিও নেই। হামরা একন কী খাই বাচমো? সংসার চালামো ক্যামনে? চোখে – মুখে চিন্তা আর একরাশ হতাশা নিযে এখন তার মাথায় হাত।