আল-আকসা মসজিদের ইতিকথা

Spread the love

মোঃ আব্দুল খালেক

নবী হযরত দাউদ (আ.) খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ বছর পূর্বে জুডাহ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং জেরুজালেম নগরীর গোড়া পত্তন করেন। জেরুজালেম নগরী ছিল জুডাহ সাম্রাজ্যের রাজধানী। তিনি এখানে ইবাদত গৃহ নির্মাণ করতে চান। কিন্তু তাঁর জীবদ্দশায় সম্ভবপর হয়নি। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র হযরত সোলায়মান (আ.) জুডাহ সাম্রাজ্যের বাদশা হন। তাঁর রাজত্বকালে তিনি ইবাদতের জন্য (টেম্পল মাউন্ট) বায়তুল মোকাদ্দাস ঘর নির্মাণ করেন। জেরুজালেম নগরীর মারিয়া পাহাড়ের চুড়ায় ঘরটি নির্মিত হয়। যবুর শরিফের তথ্যমতে ঘরটির দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ হাত, প্রস্থ ২০ হাত এবং উচ্চতা ১২০ হাত। মুল্যবান পাথর বা ইয়াকুতি পাথর ও মর্মর পাথর দ্বারা ঘরটি নির্মিত হয়। মুসলিম তফসিরবিদগনের মতে হযরত সোলায়মান (আ.) জ¦ীন জাতির দ্বারা মুল্যবান পাথর দিয়ে ঘরটি নির্মাণ করেন। প্রকৃতপক্ষে এই ঘরটি হযরত ইব্রাহিম (আ.) অথবা তাঁর নাতি হযরত ইয়াকুব (আ.) নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত নবীদের বাণী প্রচারিত না হওয়ার জন্য ঘরটি ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এর পাশেই ছিল কুরবাণীর বেদী। যেখানে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর পুত্র হযরত ইসাহাক (আ.) এবং তাঁর পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ.) কুরবানী করতেন। যার কারণে ইহুদিদের নিকট জেরুজালেম নগরী অত্যন্ত পবিত্র।

এখানেই জন্ম গ্রহণ করেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক হযরত ইসা (আ.)। এবং নবীয়ত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে সত্যের পথে আনার জন্য স্রাষ্টার দ্বীন প্রচার করেন। কিন্তু ইহুদি সম্প্রদায় তাঁকে নবী হিসেবে অস্বীকার করে এবং তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি জেরুজালেমের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীন প্রচার করার কারণে খ্রিষ্ট ধর্মের নিকট জেরুজালেম নগরী অত্যন্ত পবিত্র।

অপরপক্ষে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মোহাম্মদ (স.) ৬২০ খ্রিষ্ঠাব্দে গভীর রজনীতে আল্লাহতা’লার নির্দেশে জিব্রাইল (আ.) এর সাথে বরাক বাহনের মাধ্যমে মক্কা থেকে জেরুজালেম নগরী যান। জেরুজালেম নগরীর বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে তিনি উর্ধ আকাশে গমন করে আল্লাহতা’লার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক মাস রোজা ও কুরবানীসহ তিনি ইসলামের শরীয়া লাভ করেন। এই জন্য জেরুজালেম নগরী মুসলমানদের নিকট পবিত্র। এখানে মেরাজের পাথর এখনও বিদ্যমান।

হযরত সোলায়মান (আ.) এর মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরীগণ জুডাহ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করতে থাকেন। খ্রিষ্ট পূর্ব ৫৭৫ অব্দে ইহুদি বা জুডাহ সাম্রাজ্যের বাদশা হন সিদ্দিকিয় । তিনি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর দ্বীন ভুলে গিয়ে বিভিন্ন স্রষ্টার উপাসনা করতে থাকেন। এই সময় বনী ইসরাইলদের নবী ছিলেন হযরত ইয়ারমা (আ.)। তিনি বাদশাসহ বনী ইসরাইলদের এক স্রষ্টার উপাসনা করার জন্য আহবান করেন। তিনি এও সতর্ক করে দেন যে, যদি বনী ইসরাইলীরা খোদার পথে ফিরে না আসে তাহলে তাদের সাম্রাজ্য বিজাতীয় বাদশা দ্বারা ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। শুধু তাই নয়, তাদের পবিত্র ইবাদত ঘর টেম্পল মাউন্ট বা বায়তুল মোকাদ্দাস ঘরও ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। কিন্তু বনী ইসরাইলরা বা ইহুদিরা তাদের নবীর উপদেশ শোনেননি। যার ফলে খ্রিষ্ট পূর্ব ৫৮৫-৮৬ অব্দে ব্যাবিলনের বাদশা বখতে নাসার জুডাহ সাম্রাজ্য আক্রমণ করেন। ইহুদিদের বাদশা পরাজিত ও বন্দি হন। তাঁর পরিবারের লোকজনও বন্দি হন। বখতে নাসারের হুকুমে তাঁর সামনে তাঁর পুত্রদের হত্যা করা হয় এবং তাঁর চক্ষু উৎপাটন করা হয়। কথিত আছে যে, ৭০ থেকে ৯০ হাজার ইহুদিদের তিনি বন্দি করে ব্যাবিলনে নিয়ে যান এবং তাদেরকে দাসে পরিণত করেন। পরবর্তী বছর ব্যাবিলন বাদশার সেনাপতি নবূষরদন আবার জেরুজালেম নগরীতে আসেন। এবং পবিত্র ঘর বায়তুল মোকাদ্দাস  (টেম্পল মাউন্ট) ধ্বংস করেন ও কুরবানীর বেদী নষ্ট করেন।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬০ অব্দে পারস্য সম্রাট কারা কাইরাস ব্যাবিলন সাম্রাজ্য ধ্বংস করেন এবং তিনি বনী ইসরাইলীদের মুক্ত করেন। এই মুক্ত বন্দিদের মধ্যে নবী উজায়ের (আ.) ছিলেন। মুক্ত হওয়ার পর তিনি ওহী প্রাপ্ত হন। তিনি তওরাত শরীফ সংস্কার করেন। তাঁর নেতৃত্বে অন্যান্যদের  সহযোগিতায় বনী ইসরাইলীরা বায়তুল মোকাদ্দাস ঘর পূর্ণনির্মাণ করেন। হযরত ইসা (আ.) যখন জন্ম গ্রহণ করেন এই পবিত্র ঘরটি তখনও বিদ্যমান ছিল। এই সময়ের শাসক ছিল রোমানরা। ৬৬ খ্রিষ্টাব্দ হতে ৭০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ইহুদীরা রোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। রোমান সেনাপতি টাইতাস ইহুদিদের বিদ্রোহ দমন করেন এবং পবিত্র ঘরটি ধ্বংস করে দেন। ৩১৩ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সম্রাট কনস্টানটাইন খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন এবং খ্রিষ্ট ধর্মকে রাজ ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময় ৩২৭ হতে ৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জেরুজালেম নগরীতে তিনটি গির্জা নির্মিত হয়।

৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা ওমর (রা.) এর সময়ে সিরিয়া বিজিত হয়। অতঃপর মুসলিম সেনাপতি আমর-আল-আস জেরুজালেম নগরী অবরোধ করেন। খ্রিষ্টান সেনাপতি আরতাগুন  জেরুজালেম নগরী থেকে স্ব-সৈন্যে পলায়ন করেন। নগর অধিপতি খ্রিষ্টান ধর্ম যাজক খলিফার নিকট স্বয়ং আত্মসমর্পণ করার শর্ত জুরে দেন। খলিফা  অনেক কষ্টে জেরুজালেম গমন করেন এবং সন্ধিপত্র স্বাক্ষর করেন। খলিফা নিজে খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং গির্জার ক্রস এর পবিত্রতা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। ইতিমধ্যে নামাজের সময় হলে খলিফা নামাজ আদায়ের ইচ্ছা পোষণ করেন। যাজক সাফ্রেনিয়াস মহামতি খলিফাকে গির্জায় নামাজ আদায়ের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু খলিফা গির্জায় নামাজ পড়তে অস্বীকার করেন। তিনি গির্জার উন্মক্ত প্রান্তরে নামাজ আদায় করেন। এবং এখানে একটি মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন। আর এটাই ছিল মুসলিমদের প্রথম আল আকসা মসজিদ। খলিফা নামাজ আদায়ের পর এক ইহুদি নওমুসলিম এর সাহায্যে রাসুলের মেরাজের পাথর ধুলাবালি ও ময়লা আবর্জনা হতে উন্মুক্ত করেন। প্রিয় পাঠক রাসুলের মেরাজের পাথর এর পবিত্রতা কাবা ঘরের হাযরে আসওয়াদ এর সমতুল্য। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, খলিফা মেরাজের এই জায়গা থেকে আরও কয়েকটি জিনিস দর্শন করেন- রাজা হেরোদ এবং হযরত সোলায়মান (আ.) ধ্বংস প্রাপ্ত রাজ প্রাসাদ ও কুরবানীর বেদী। আর এই উন্মুক্ত প্রান্তরই ছিল হযরত সোলায়মান(আ.) কর্তৃক নির্মিত বায়তুল মোকাদ্দাস ঘর। যে ঘরটি সম্রাট টাইতাস কর্তৃক ৭০ খ্রিষ্টাব্দে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। রাসুলের মেরাজের পাথর এর দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট, প্রস্থ ৪৪ ফুট অথবা ১৪ ফুট। আল-আকসা মসজিদের হেরেম শরীফের দৈর্ঘ্য উত্তর-দক্ষিণ ১৫০০ ফুট এবং প্রস্থ পূর্ব-পশ্চিম ৯৬০ ফুট।

আল-আকসা মসজিদটি দ্বিতীয় বার নির্মিত হয় উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক এবং তাঁর পুত্র আল-ওয়ালিদ এর সময়। প্রতিষ্ঠাকাল ৬৯১-৭১৫। আল-আকসা মসজিদের নিকট মেরাজের পাথরের উপরে নির্মিত হয় কুব্বাতুস-সাখরা বা ডোম অব দি রক। এই কুব্বাতুস-সাখরা নির্মাণ করেন খলিফা আব্দুল মালিক।  এই স্মৃতিস্তম্বটি এবং আল-আকসা মসজিদ নির্মিত হয়েছে জেরুজালেমের মারিয়া পাহাড়ের চুড়ায়। যেখানে হযরত সোলাইমান (আ.) এঁর বায়তুল মোকাদ্দাস ঘর অবস্থিত ছিল। কুব্বাতুস-সাখরার গম্বুজটির উচ্চতা ১১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৬৬ ফুট। কুব্বাতুস-সাখরা স্তম্বটি নির্মিত হয়েছে মুল্যবান চুনাপাথর, মুল্যবান ইয়াকুতি পাথরসহ মুল্যবান কাঠ, উপরে তামা ও সিসার ঢালাই এবং তার উপরে সোনার পাতে মোরানো। তাই এই মসজিদটিকে গোল্ডেন মসজিদ বলা হয়। মুসলমানদের এটিই হচ্ছে প্রথম গম্বুজের মসজিদ। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাসিয় খলিফা আল-মুনসুর তা সংস্কার করেন। মসজিদটি ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আব্বাসিয় খলিফা আল-মাহদী পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি হচ্ছে চতুর্থ পূনঃনির্মাণ। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে খলিফা আল মাহদী এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। ১০৩৩ খ্রিষ্টাব্দে আবারও ভুমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই সময় মিশরের ফাতেমী খলিফা আজ্-জহির মসজিদটি পঞ্চমবার সংস্কার করেন। ১০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ফাতেমী খলিফা আল হাকিম জেরুজালেমের গির্জা হলি সেপুলচার ধ্বংস করলে ইউরোপের খ্রীস্টান জগত ক্রুসেডের যুদ্ধ বা ধর্ম যুদ্ধ শুরু করে। ১০৯৫ খ্রিষ্টাব্দে ক্রুসেডের প্রথম পর্বের যুদ্ধ শুরু হয়। এবং ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে খ্রীস্টান সেনাপতি গডফ্রে জেরুজালেম সহ ফিলিস্তিন দখল করে হাজার হাজার মুসলিমদের নিধন করে এবং তারা আল-আকসা মসজিদ দখল করে এটাকে গীর্জায় রুপান্তরিত করে। মুসলিম নেতা ইমামউদ্দিন জঙ্গী ১১২৭ খ্রিষ্টাব্দে খ্রীস্টানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র নুর উদ্দিন জঙ্গী ১১৪৬- ১১৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অবশেষে নুর উদ্দিন জঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁর সেনাপতি (পরবর্তীতে সুলতান) গাজী সালাউদ্দিন ১১৭৪-১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তৃতীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অবশেষে ১১৭৭ /১১৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি খ্রীস্টান বাহিনীকে হিত্তিনের যুদ্ধে খ্রীস্টান বাহিনীকে পরাজিত করেন। তিনি ২০ হাজার সৈন্যসহ ফ্রাঙ্ক নেতা রেজিল্যান্ডকে বন্দি করেন। রেজিল্যান্ড সন্ধিশর্ত ভঙ্গ করে মুসলিম নিরীহ নরনারীকে হত্যা করেন। এই কারণে সুলতান তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন এবং জেরুজালেমের খ্রিস্টান রাজা গীদ্যালুসিনাও সুলতানের হাতে বন্দি হন। সুলতান পূনরায় আল-আকসা মসজিদকে গীর্জা হতে মসজিদে রূপান্তরিত করেন এবং এখানে নামাজ পড়েন।

১৫৫২খিষ্টাব্দে তুর্কি সুলতান মহামতি সোলায়মান আল-আকসা মসজিদের সংস্কার সাধন করেন। সুলতান সোলায়মান এটাকে সপ্তমবার সংস্কার সাধন করেন। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার জেরুজালেম দখল করে। এ সময় মসজিদটি মুসলমানদের অধীনে ছিল। ১৯৬৭ সালে ইহুদিদের ইসরাইল রাষ্ট্র জেরুজালেম দখল করে। তবে মসজিদটি মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে জর্ডান ও ফিলিস্থিন যৌথ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। ইসরাইলরা মসজিদটিকে দখল করলে পোড়ায়ে দেয়।

তা সত্বেও জর্ডান ও ফিলিস্থিন কর্তপক্ষ নতুনভাবে মারবেল পাথর, চুন ও সুরকি দিয়ে সংস্কার করেন। মসজিদে গম্বুজের চুড়া সোনা দিয়ে মোরানো হয়েছে। যার জন্য এটাকে গোল্ডেন মসজিদ বলা হয়। জেরুজালেম নগরীর যে কোন প্রান্ত থেকে মসজিদের গম্বুজ এর চুড়া দেখা যায়। বর্তমানে আল-আকসা মসজিদে এক জামাতে পাঁচ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদ এলাকাটি বিশাল কম্পাউন্ড। এখানে মাদ্রাসাসহ পাঠাগার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন আছে। মসজিদ এলাকায় ৫০ হাজার মুসলিম বসবাস করেন। আল-আকসা মসজিদের পশ্চিম পাশের্^ ইহুদিদের থার্ড টেম্পল নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ইহুদিরা উপাসনা করেন।

এছাড়া আল-আকসা মসজিদ সংলগ্ন ইসলামি পুরাকীর্তি জাদুঘর পবিত্র মসজিদে আকসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যা মুসলিম সভ্যতা ও তার অনন্য শিল্পকলার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল-কুদস বা জেরুজালেম নগরীর ইসলামী পুরাকীর্তিগুলোকে সংরক্ষণ ও প্রকাশের লক্ষ্যে ১৯২৩ সালে ইসলামি উচ্চ পরিষদের একটি সিদ্ধান্তক্রমে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মিউজিয়ামটিতে আছে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক ও শৈল্পিক সংগ্রহশালা, যেগুলো ইসলামি সভ্যতার রত্নভান্ডারের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এটি মসজিদে আকসার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায় অবস্থিত।

পরিশেষে মুসলিম জাতির উচিত এ পবিত্র স্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ মুসলিম উম্মাহ্র একতা ও সংহতির মাধ্যমে ইহুদি রাষ্ট্রের নিকট থেকে আল-আকসা তথা জেরুজালেম নগরী দখল মুক্ত করা।

তথ্য পঞ্জী ঃ

১.            ইসলামের ইতিহাস- কে. আলী

২.            মুসলিম স্থাপত্য শিল্পকলা-ড. মাহমুদুল হাসান

৩.           পবিত্র যবুর শরীফ- পুরাতন নিয়মাবলী

৪.            তাফসিরে মার’আফুল ক্বোরআন

৫.            উত্তর আফ্রিকার ইতিহাস- ড. মাহমুদুল হাসান

৬.           যুগান্তর পত্রিকা

৭.            ইন্টারনেট

৮.           ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি- ড. ওমর আজম

৯.            ফিলিস্তিনের অনলাইন ম্যাগাজিন ‘ফুসহা’ অবলম্বনে।

 

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ । মোবাইল: ০১৭২৪-৪৮২২৬৫

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD