সম্পাদকীয়

Spread the love

উচ্ছেদের পর ফলোআপ দরকার

চলনবিল বার্তা ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক গত মঙ্গলবার তাড়াশ পৌর প্রশাসন পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযান সত্বেও রাস্তার উপরের যেখানের দোকানপাট সেখানেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

অধিকন্ত উচ্ছেদের ফাঁকা জায়গাগুলো একই ব্যবসায়ীগণ কর্তৃক পূন: দখল ছাড়াও স্থানীয় অটোভ্যানগুলি সেখানে আস্তানা গেড়ে বসেছে। কেননা, তাড়াশ পৌর সদরে এসব লোকাল যানবাহনের কোনো নির্দিষ্ট গ্যারেজ নেই।ওই দিন সন্ধ্যায় সরেজমিনে পরিলক্ষিত হয়,  তাড়াশ বাজারস্থ প্রেসক্লাবের সামনের জলচোকি পাতা দোকানগুলো আপাতত গুটিয়ে জলচোকিসমূহ প্রাচীরের সাথে ঠেস দিয়ে রেখে দিয়েছে যাতে যখন সুযোগ হবে তখনই আবার চোকি পেতে দোকান বিছানো যায়। কাঁচা বাজারের সামিয়ানাগুলো সরিয়ে দোকানগুলি একই স্থানে বহাল তবিয়তে আছে। নট নড়চর। অন্যত্র চিত্র একই রকম। ফলে এই  উচ্ছেদ অভিযানের টেকসই সফলতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। এটা স্থায়ীভাবে সমাধান করতে হলে ঘনঘন ফলোআপ অভিযান দরকার বলে পৌরবাসী মনে করে।তাছাড়া বাজারের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও উদ্বুদ্ধকরণ ও সহায়তা ছাড়া এই অব্যবস্থাপনার অর্থপূর্ণ সমাধান সম্ভব নয় বলে সবার ধারণা। কারণ তাড়াশ বাজারের ও  সদরের রাস্তাঘাটের এই বিশৃঙ্খল চিত্র দীর্ঘদিনের যার প্রতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের রহস্যজনক উদাসীনতা দৃষ্ট হয়।

তাড়াশ সদরের ব্রীজকালভার্টগুলোর মুখ বন্ধ

তাড়াশ উপজেলা ও পৌর সদর গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার উপর অনেক আগে নির্মিত ব্রীজ-কালভার্টগুলোর মুখ ভরাট করে এগুলোর উভয় পাশের জায়গা দখলে নিয়েছে এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী দখলবাজরা। ফলে অবাধ পানি নিস্কাশন ব্যাহতসহ পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে লক্ষিত, তাড়াশ বাজারের পশ্চিমে হাফেজ সাহেবের বাড়ী সংলগ্ন ব্রীজটির পশ্চিম পাশে ভরাট করে বসতি সম্প্রসারণ করছে। আর পূর্বের পাশে ডোবা তৈরী করে মাছ চাষ করে খাচ্ছে। আর রাস্তার উভয় দিকের দুটি দীর্ঘ খাল ইতোমধ্যে মানুষের পেটে চলে গেছে। তাড়াশ টেলিফোন অফিসের পাশ^বর্তী কালভার্টের উভয় পাশের্^ মাটি ভরাট করে বন্ধ করেছে প্রভাবশালীরা। তাড়াশ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনের দক্ষিণের কালভার্টটিরও একই দশা। অপরদিকে তাড়াশ-সলংগা রোডের ব্র্যাক অফিসের সামনের ব্রীজটিও দখলের ও ভরাটের কবলে পড়েছে। এভাবে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, স্বাভাবিক পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ করে পরিবেশের বারোটা বাজাচ্ছে  ভূমিগ্রাসীরা যা জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। অবশ্য প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃত্ব  অজ্ঞাত কারণে এগুলোর প্রতি নিরবতা পালন করছে।

 

পৌর সদরের অধিকাংশ সড়ক সরু ও সংকীর্ণ

তাড়াশ উপজেলা তথা পৌর সদরের প্রায় সবক’টি সড়ক ও রাস্তা এতো সরু বা সংকীর্ণ যে কোন কোনটা দিয়ে মাঝারী ও বড় যানবাহন সহজে চলাচল করতে পারে না। অন্যগুলোও দখলের ফলে প্রয়োজনীয় প্রশস্ত ও মান সম্পন্ন রাস্তা নয়।

এর দৃষ্টান্ত হল- তাড়াশ বারোয়ারী পূজা মন্ডপ হতে  বাজার পর্যন্ত গলিটি সম্পূর্ণ সরু রাস্তায় পরিণত হয়েছে বেদখলের কারণে। এ রাস্তার দু’পাশের প্রভাবশালীরা গ্রাস করার হেতু কাদা, পানি, যানজট ও নানা দুর্দশা নিত্য দিনের চিত্র।  অপরদিকে তাড়াশ সর্দার পাড়া ও তাড়াশ বাজার হতে হাটখোলা পুকুর অব্দি রাস্তার হালহকিকতও অনুরুপ। বাজারের ওয়ালটন মোড় হতে ঘোষপাড়া গলিটি অভিজাতের গিলে ফেলেছে। একটা ভ্যানগাড়ীও খোন দিয়ে  যাতায়াত দুস্কর। তাড়াশ বাজারের ও পাশর্^বর্তী রাস্তাগুলো অত্যধিক চাপা। এটাকে আধুনিক বাজার ব্যবস্থা বলা যাবে না। এরকম বেশক’টি সড়ক-রাস্তা স্থানীয় কেউকেটারা দখলে -দূষণে জনচলাচল দুর্বিসহ করে তুললেও দেখার কেউ নেই। একটি আধুনিক ও মান সম্মত পৌর শহর হিসেবে তাড়াশ সদরকে গড়ে তুলতে হলে এসব জঞ্জাল দূর করে রাস্তাগুলি প্রশস্ত ও জন চলাচলের জন্য নির্বিঘœ করতে আশু পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD