চলনবিল বার্তা ডেস্ক : আসামে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের একদিন আগে গত শুক্রবার বিপুল সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করেছে মোদি সরকার। গত চার বছর ধরে যাচাই-বাছাইয়ের পর আসাম সরকার গত শনিবার ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত এলাকা আসামে ১০ হাজার আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার ৬০ হাজার রাজ্য পুলিশ ও ১৯ হাজার আধাসামরিক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিকা থেকে বাদ পড়ে রাজ্যের লাখো লাখো বাসিন্দা বিশেষ করে মুলসমানদের নাগরিকত্ব হারিয়ে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আসামে তিনকোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার বসবাস। তালিকা থেকে ৪০ লাখের বেশি আবেদনকারীর নাম বাদ পড়তে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করছে ভারতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তবে যাদের নাম বাদ পড়বে তারা এখনই বিদেশি গণ্য হবেন না বলে এনডিটিভিকে জানান রাজ্যের গৃহমন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। বরং তারা আপিল করার জন্য ৬০ থেকে ১২০ দিন সময় পাবেন। গৃহমন্ত্রণালয় জানায়, আপিল আবেদনের শুনানির জন্য রাজ্যে অন্তত এক হাজার ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। এরই মধ্যে একশ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ ওই সংখ্যা দুইশোর বেশি হবে। ট্রাইবুনালে হেরে গেলে যে কেউ হাইকোর্ট এবং সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্টে যেতে পারবেন। সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বন্দিশিবিরে নেওয়া হবে না বলেও নিশ্চিত করেছে আসাম সরকার। বন্দিশিবির থেকে তাদের পরে বাংলাদেশে বিতাড়ন করা হবে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভারত থেকে বের করে দেওয়া মানুষদের গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, অনলাইন, ৩০ আগস্ট ।