মো: মনিরুল ইসলাম : ইংলন্ডে বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে গত বৃহস্পতিবার। ফুটবল বিশ্বকাপের মতো হয়তো পুরো দুনিয়া জ্বরে কাঁপছে না; তারপরও এই ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে উৎসাহী বা চার বছর ধরে আজকের দিনের ক্ষণ গুনেছেন এমন মানুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। আমাদের দেশের কথা ভাবলে তো গোটা দেশই অপেক্ষা করেছিল বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার। সেটি হয়তো মাশরাফির দলটার জন্যই। গত বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ যে ধরনের ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে এবং সর্ব শেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, তাতে বিশ্বমঞ্চে এ দলটির নৈপুণ্য দেখার জন্য গোটা দেশ তো উন্মুখ হয়েই থাকবে। ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রবর্তনের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ক্রিকেটের বৃহৎ এ প্রতিযোগিতা এই ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হযয়েছিল। তখন এ বিশ্বকাপের নামকরণ করা হযয়েছিল প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের এবারের ১২তম এই আসরটিতে বাংলাদেশকে ফাইনালে দেখতে চায় গোটা জাতি তথা ক্রিকেট প্রেমী জনসাধারণ।
বালাদেশের পেস বোলারদের জন্য ইংল্যান্ডে যে কাজটা কঠিন হবে, সেটি হলো সঠিক লেন্থটা খুঁজে বের করা। এর সঙ্গে বৈচিত্র্য ধরে রেখে বল করতে পারলে ম্যাচের ভাগ্যনিয়ন্তা হয়ে উঠতে পারেন বোলাররাও। আর ইংল্যান্ডের উইকেট বলে স্পিনারদের নিয়ে হয়তো কেউ খুব বেশি মাতামাতি করছে না। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা এমন অনেক ম্যাচই দেখব, যেখানে স্পিনাররাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রত্যেকের হাতেই সুযোগ থাকবে নিজেকে আলাদা করে চেনানোর। সুযোগ থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ট্রফি অর্জনের। তা না হলে এই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আবার ৪ বছর।