ইয়াবা তাড়ালেই-ধর্ষণ পালাবে

Spread the love

এম রহমত উল্লাহ

আগেকার দিনে মদ খেয়ে মাতলামী করার দৃশ্য সচারাচার চোখে পরতো। অসংযত কথা বার্তা চোখ লাল- গা ঢুলু ঢুলু অবস্থা কাউকে দেখা গেলে অনেকেই মাতাল বলে সন্দেহ করতো। আমরা ছোট বেলায় যাত্রা-নাটকে-হঠাৎ কোন কোন সময় মাতালের রোল করতে দেখেছি। অবশ্য সমাজের নি¤œ স্তরের পর্ণ দৃশ্য অথবা গুন্ডা পান্ডা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনের জন্যই নাট্যকার নাটকে এই সব দৃশ্যের অবতারণা করতেন,উদ্দেশ্য -মাদক থেকে সমাজকে দূরে রাখার চেষ্টা মাত্র। কিন্তু এখন সেই মদ -আজ সমাজকে ধ্বংস করার ক্ষমতা হারিয়ে স্বাভাবিক সহনীয় উপাদানে পরিণত হয়েছে।
মদ এখন আর ধর্মের বেড়ায় লাগাম মানছে না-বিধায় ওটা আলগা ঘোড়ার দাপট দেখিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মদকে নেশা খোরদের নেশার খোড়াক মিটাতে মোটামুটি অপারগ। চোয়ানী পচানী ব্রান্ডি এলকোহল পূর্বকালেও ছিল এখনও আছে। ফেনসিডিল হিরোইন তা-ও নেশাখোরদের আশা পূরণে ব্যর্থ। এখন বাবা-ইয়াবাই বেশ নামকরা অবস্থানে। কিন্তু ব্যাপারটা হলো এই সর্বনাশা বাবা ইয়াবা ডিজিটাল যুগের মাদক বটে। এর সর্বগ্রাসী ছোবল সুন্দর সমাজ ব্যবস্থাকেই আক্রমন করে বসেছে। দেদারছে শুধু সেবনকারীই নয় আস্ত মা-বাবা ভাই-বোন আপন-পর শিশু কিশোর কিশোরী যুবা বৃদ্ধ সবাইকে গ্রাস করতে উদ্ধত মস্তিষ্কে সারাদেশ ব্যাপী ফনা তুলে জিহবা লক লক করছে। এর বিষাক্ত শ্বাস প্রশ্বাস গোটা দেশের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

এর উত্তেজনা শক্তি এতই প্রখর যে, উত্তেজিত ব্যক্তি আপন পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে যার কারণে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ধর্ষনের পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে।

বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমের প্রধান উপাদান ধর্ষণ। কেউ এতটা ঘৃণা লজ্জা অকপটে ব্যাখ্যা করেই ক্রুড় হাসি হাসছেন। বাঙ্গালীর চরিত্র ধ্বংসই বুঝি তাদেক এতটা উৎসাহিত করছে কিনা তাও ভাববার ফুরসুত কোথায়। তিন বছরের শিশু থেকে শুরু করে কলেজ ছাত্রী পর্যন্ত সকল স্তরের সংবাদই অকপটে প্রচারিত হচ্ছে। কত আত্মহত্যা ,কত বিষ পান, এসিড নিক্ষেপ সবার মূলেই অসংলগ্ন যৌন লিপ্সা। নানা রকম যৌন উত্তেজক বড়ির স্থলে ব্যবহার হচ্ছে ইয়াবা।
এর উত্তেজনা শক্তি এতই প্রখর যে, উত্তেজিত ব্যক্তি আপন পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে যার কারণে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ধর্ষনের পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের এই বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগে ইয়াবা প্রবেশ করেছে। সর্ব প্রথম রোহিঙ্গারা তাদের দেশে থেকেই বাংলাদেশে ইয়াবার চালান গোপন পথে পাঠানো অর্থ লোপাট শুরু করে। তারা যখন দেখলো বাংলাদেশে ইয়াবার বড় কাটতির সুযোগ আছে। তাই তারা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে ইয়াবা ব্যবসার জন্যই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মোদ্দা কথা ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে ইয়াবা তাড়াতে হবে। আর ইয়াবা তাড়াতে ইয়াবার জনক রোহিঙ্গাদের বিতারণ করতে হবে। রোহিঙ্গারা সহজ সরল বাঙ্গালী জাতিকে বিপাকে ফেলে তারা অবৈধ ব্যবসায় মেতে উঠেছে। জাতির কল্যাণের তাগিদেই রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করা একান্ত জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক: কবি ও সাহিতিক এবং সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD