সলঙ্গাতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

Spread the love

 ফারুক আহমেদঃ ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজে থাকবে না শিশু, আর হেসে খেলে বাড়বে শিশু ত্রটাই মোদের অঙ্গীকার। ত্র সব কথা শুধু পোস্টার,ব্যানার আর লিফলেটেই শোভা পায়। ত্রর কোনো বাস্তব চিত্র দেখা যায় না আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়। যে বয়সে বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে জীবিকার তাগিদে পেটের ক্ষুধা নিবরণ করার জন্য শিশুরা ছুটে বেড়াচ্ছে কর্মস্থলে। ত্ররই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার সর্বত্রই দিন দিন আশস্কাজনক হারে বেড়েই চলছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। চরম দারিদ্রের কারণে অনেক অভিভাবক তাদের শিশুকে স্কুলে না পাঠিয়ে জীবন- জীবিকার সন্ধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠাচ্ছেন। শিশুদের যে বয়সে বই – খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সেই তারা বিভিন্ন হোটেলে, রেস্তোঁরা,চা স্টল, ইটভাটা, টোকাই, নির্মাণকাজ, অটরিকশা চালানো, টেম্পোর হেলপার, ড্রামট্রাকের ড্রাইভার, মুরগিরগাড়ির ড্রাইভার, দোকান শ্রমিক, গৃহপরিচারিকা ও বিভিন্ন খাবার বিক্রিসহ নানা প্রকারের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে বিভিন্ন জায়গায়। ত্র কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হচ্ছে খেটে খাওয়া শিশুরা। পুরো সলঙ্গা থানার চিত্র আরও ভয়াবহ। ত্র সব শিশুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ত্রদের মধ্যে অধিকাংশই অতি দরিদ্র ও বিত্তহীন পরিবারের সন্তান। সলঙ্গা থানার বিভিন্ন হাট বাজারে ত্রখানকার শিশুশ্রম সহজলভ্য হাওয়ায় ত্রখানকার ব্যবসায়ী ও ড্রাইভাররা শিশুশ্রমিকদের প্রতি বেশী আগ্রহী। ত্রসব শিশুশ্রমিক মালিক কর্তৃক বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারের পক্ষ থেকে শিশু শ্রম বন্ধের আইন থাকলেও তার যথার্থ বাস্তবায়নে নেই। ত্রছাড়া প্রাথমিক শিক্ষক বাধ্যতামূলক হলেও সচেতনতা ও চরম দারিদ্রর কারণে অনেক অভিভাবক তাদের শিশু সন্তানকে স্কুলে ছাড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠাচ্ছে। সরকার উপ- বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করেও ত্রসব দরিদ্র শিশুকে অঙ্ঞ কারণে বিদ্যালয়ে ধরে রাখতে পারছেনা। সরকার দরিদ্র পরিবারদের সহযোগিতাসহ শিশু শ্রম বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতনমহল।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD