বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: গত দুই বছরে উপুর্যপরি দর পতনের কারণে চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী দেশী রসুনের উৎপাদন কমে যাচেছ বলে কৃষকেরা জানাচ্ছে।
দেশের মোট রসুন চাহিদার প্রায় এক চতুর্থাংশ যোগান দেয় চলনবিলের বিনা চাষের দেশী জাতের রসুন। বিগত অনেক বছর যাবৎ এই রসুন উৎপাদন সাড়া দেশে আলোড়ন জাগানোর পাশাপাশি এর সরবরাহ জাতীয় এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে একটা বিশেস আবদান রেখে আসছিল। কিন্তু গত প্রায় দুবছর হল গুরুদাসপুর – বড়াইগ্রামের কৃষকমহল রসুনের ন্যায্য দাম না পেয়ে তারা এই ফসল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে তাদের অনেকেই রসুন চাষ ছেড়ে বা কমিয়ে দিয়েছে। রসুন চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে এর অর্ধেক দামেও রসুন বিক্রি হচ্ছে না। এতে রসুন চাষিরা বিকল্প আবাদের দিকে ঝুঁকছে। এমনকি তারা তামাক চাষের প্রতি উৎসাহ বোধ করছে বলে জানা গেছে। চাষীদের ধারনা, সরকারীভাবে বিদেশী রসুনের আমদানি কমিয়ে দেশী রসুনের বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চলনবিলের রসুন চাষীদের এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব হতে পারে।