রাকিবুল ইসলাম,সিংড়া প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের দামকুড়ি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ১৯৯৩ সালে নির্মাণ হলেও আইনি জটিলতা এবং অবৈধ দখলদারদের কারণে দখলমুক্ত হয়নি। উপরন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে শিক্ষকরা স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জোরপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে বসতভিটা নির্মাণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মহসিন সরদার, জিয়ারুল ইসলাম, মতিজান, রোজিনাসহ আরও অনেকে জানান, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর আমরা ক্লাস করেছি। সরকার থেকে ভবন করে দিয়েছিলো। ভবন এখনো রয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকায় ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। সেখানে ওবায়দুর নামের এক পরিবার বসতভিটা হিসেবে বসবাস করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক পুলিশ সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, স্কুলটি গ্রামের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। কারণ অত্র এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দূর দূরান্তে গিয়ে ভর্তি হতে হয়। দূর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক কষ্টে তারা পড়ালেখা করে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে গ্রামের জনহৈতষী গড়ে তোলেন দামকুড়ি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৬জন দাতা সদস্য ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন।
কিন্তু এর মধ্যে জমিদাতা হারান মোল্লা দান করে সে বিদ্যালয়টি নিজের নামে করার জন্য আদালতে মামলা করে। এর কিছুদিন পর হারান মোল্লা মারা যায়। এরপর স্কুলটি যথারীতি চলমান অবস্থায় ২০১০ সালে হারানের পুত্র ওবায়দুর স্কুলটি দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করে।