জি, এম স্বপ্না : গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা পুলি এখন রাস্তার ধারে, অলিতে-গলিতে। আগে গ্রামের মানুষ নবান্নের ধান ওঠার সাথে সাথে জামাই, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে পিঠা পুলি খাওয়ার আয়োজন করত। এ উপলক্ষে আত্মীয় স্বজনদের আনা-গোনায় পাড়া-মহল্লায় হৈহুল্লা পড়ে যেত। আস্তে আস্তে গ্রামীন ঐতিহ্য এখন হারাতে বসেছে। শীত যায়, শীত আসে। নবান্নের ধান কাটা হয় কিন্তু গ্রামে আর তেমন পিটা পুলির আয়োজন চোখে পড়ে না। এক কালের অভিজাত্যের পিঠা পুলি এখন চলে গেছে রাস্তার ধারে ফুটপাতে। ঘুম থেকে উঠলেই চোখে পড়ে নি¤œ আয়ের গরীব পুরুষ ও মহিলারা সলঙ্গা থানা সদর, হাটিকুমরুল রোড, সাহেবগঞ্জ, ঘুড়কা, হরিণচড়া, দবিরগঞ্জ সহ বিভিন্ন রাস্তা ঘাট, অলিতে-গলিতে ও ফুঁটপাতে ভ্রাম্যমান চুলা বসিয়ে ভাপা পিঠা তৈরী করছে। আর এ সব পিঠা প্রায় লোকই কিনে খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিকেল হলেই হাটিকুমরুল রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ২০-২২ টি ভাপা পিঠার দোকান জাক জমকভাবে চলতে দেখা যায়। কথা হয় পিঠা বিক্রেতা সেলিম ও সোহেলের সাথে। বাড়ী রোডের পাশেই চড়িয়া শিকার গ্রামে। তিনি জানান, হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। উত্তর বঙ্গের প্রায় ২০টি জেলার মানুষের যাতায়াতের প্রবেশ পথ। সারাদিনে সাংসারিক কাজ কর্ম করে বিকালে ৫/৭ কেজি আওলা চাউল গুড়া, নারিকেল কোড়া আর খেজুর গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরী করে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করলে ৭ থেকে ৮ শত টাকা বিক্রি করি। এতে ভালই লাভ হয়।
