চলনবিল বার্তা ডেস্ক : তাড়াশ হতে দু’দুবার মনোনীত পদ্ধতিতে সাংসদ নির্বাচিত হলেও সরাসরি নির্বাচনের জন্য সকল কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার তাড়াশ থেকে আওয়ামীলীগের প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ মনোনয়নপত্র পেলেন তাড়াশের কৃতি সন্তান ডা. আব্দুল আজিজ। তিনি ৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনে আ’লীগের একমাত্র দলীয় প্রার্থী হিসেবে অন্যদলীয় প্রার্থীদের সাথে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। এর পূর্বে এরশাদের শাসনামলে তাড়াশ হতে জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বিজ্ঞ রাজনীতিক মরহুম আতাউর রহমান। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এই আসনে রায়গঞ্জ থেকে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত এমপি ইসহাক হোসেন তালুকদারের মৃত্যু হলে এখানে বিনা ভোটে মনোনীত সাংসদ নির্বাচিত হন তাড়াশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন।
প্রসঙ্গক্রমে সদ্য মনোনীত প্রার্থী ডা. আব্দুল আজিজ তাড়াশ উপজেলার চলনবিলস্থ সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শোন গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মরহুম জহির উদ্দিন। জনাব আজিজ মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনে তাড়াশ হাইস্কুলে ও গুরুদাসপুর পাইলট হাইস্কুলে লেখাপড়া করেন। পরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস পাশ করার পর সরকারী বিসিএস ক্যাডারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর চাকুরীরত ছিলেন। এর পূর্বে তিনি দেশে প্রগতিশীল ডাক্তারদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ – স্বাচিপ এর নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সম্প্রতি এমপি পদে মনোনয়ন পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আব্দুল আজিজ ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ও উক্ত হাসপাতালের স্বাচিপ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার জীবনের বড় বৈশিষ্ট্য হল, তিনি বহুবার তাড়াশ-রায়গঞ্জ উপজেলার অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা, বন্যা ও শীতে দূর্যোগকালীন সময়ে দু:স্থ মানুষকে ত্রাণ সাহায্য দান ও অসংখ্য রোগার্ত মানুষকে বিনে পয়সায় চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছেন। মূলত: তিনি একজন সেবাব্রতী মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাড়াশ-রায়গঞ্জের অতীত ইতিহাসে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাড়িতে এমন সেবাব্রতী মানুষের কোন দৃষ্টান্ত নেই। একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসেবে তিনি নিজ গ্রাম মাকড়শনে “জহির উদ্দিন বিজ্ঞান ও কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজ” স্থাপন করেছেন এবং তিনি এ কলেজের সন্মানিত সভাপতি। জনাব ডা. আজিজের সহধর্মিনীও একজন স্বনামধন্য চিকিৎসাবিদ। পরিবারে তাদের দুই ছেলে। তাড়াশ-রায়গঞ্জবাসী মনে করে, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক তাকে মনোনয়ন দান অত্যন্ত সময়োচিত ও সুবিবেচনাসুলভ সিদ্ধান্ত বটে। তাড়াশ থানা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বর্তমানে ৫৪ বছর বয়সী ডা. আবদুল আজিজ আলীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, আ’লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি তার অভিপ্রায় পূরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো। এছাড়া তাড়াশ-রায়গঞ্জের মানুষের আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক উন্নয়নে আমি সততা, নিষ্ঠা ও নিবেদিতভাবে কাজ করবো আশা করি।সবশেষে আমার লক্ষ্য হল- আমার এলাকাকে আধুনিক ডিজিটাল ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে নেওয়া যাতে তাড়াশ-রায়গঞ্জের মানুষ বর্তমান জ্ঞানবিজ্ঞানের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের জীবনমানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
এতে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। ওদিকে তার এই ঐতিহাসিক মনোনয়ন পাওয়ার প্রেক্ষিতে তাড়াশ প্রেসক্লাব, তাড়াশ রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা পত্রিকার পক্ষ হতে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়েছে।