নিমগাছি প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার দেশখ্যাত দিঘী জয়সাগরের জন্য নামকরা জায়গা নিমগাছির ডাকঘরের চেহারা দেখলে যে কারো মনে কষ্ট পাবার কথা। ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা হলেও এর কপালে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি আরো ধীরে ধীরে বিলিন হবার পর্যায়ে যাচ্ছে। এর মাঝে দেশ দুবার স্বাধীন হলো, ডিজিটাল হলো পুরো বাংলাদেশ। নিমগাছিতে দুটো কলেজ, দুটো হাইস্কুল, আশে পাশে ডজন খানেক প্রাইমারী স্কুল, বহু এনজিও অফিস, ব্যাংক- বীমার কার্যালয়, দেশের সেরা মিঠা পানির মৎস্য প্রকল্প অফিস, বছরে পঞ্চাশ টাকা সরকারী ডাকের হাট থেকে এখন ত্রিশ লক্ষাধিক টাকা আদায় হয় বটে কিন্ত ভাগ্যের চাকা ঘুরলো না ডাক ঘরটির। ঘরের সামনে থেকে দেখলে পোষ্ট অফিস মনে হলেও পিছনে গেলে জংগলে আকীর্ন পরিত্যক্ত কুটির হিসেবে ধারনা জন্মাবে সবার, যার চালে মটকা নেই। বৃষ্টি হলে জল ঝরে, ভেজে মূল্যবান কাগজ – পত্র। এই ঘরটি ছিল এখন যেখানে কেন্দ্রীয় মসজিদ অর্থাৎ ভোলা দেওয়ানের মাজারের সামনে। ১৯৬০ সনে নিমগাছি হাটখোলায় মসজিদ স্থাপন করেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও নিমগাছি হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পুল্লার হাজী আহম্মদ আলী।
সেই সময় ডাকঘর ভেঙ্গে ঐ ঘর দিয়ে চার চালার মসজিদ উদ্বোধন করা হয় যার কোনো বেড়া ছিল না। আর যে ঘরটিতে আজ ডাক বিভাগের কাজ চলছে তা ছিল মাটির তৈরী। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে মসজিদ সম্প্রসারনের কাজ শুরু হলে পোষ্ট অফিসের মাটির গৃহটি ভেঙ্গে আজকের তরকারী হাটা তথা নায়েব অফিসের সামনে আনা হয়। বাজার কমিটির লোকেরা ঘরটিতে বেড়া দেয় টিনের। এখন ধীরে ধীরে মনে হয় মাটির তলায় বিলীন হবে ঘরখানা ; কারো দৃষ্টি নেই এদিকে সেজন্য। তাছাড়া সেবার যে মান তাতে ডাকঘরটি না থাকলেও জনগন তা নিয়ে টু শব্দ করবে বলেও মনে হয় না। পোস্ট মাষ্টার, পিয়ন, রানার এরা কখন যে আসে এবং কখন যায় চলে তা কেউ জানে না। সবাই স্বাধীনভাবে চলে হেথায়। জবাবদিহীর বালাই নেই..
