সলঙ্গায় রাস্তার ওপর হাট-জনদুর্ভোগের কারণ

Spread the love

ফারুক আহমেদ : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের উনুখাঁ গ্রাম, পুকুর পাড়, চৈহাটি গ্রাম ও কইমাজুরিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রধান সড়ক হওয়ায় ঐ সড়কের উপর হাঁস- মুরগির হাট বসায় এমনকি সুতাহাটি প্রধান সড়কের উপর হাট বসায় যান বাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে হাটে দোকান বসা দোকানি ও ক্রেতাদের। সরে জমিন জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা হতে তাড়াশে যাওয়ার মাঝখানে চাড়া বটতলার হাট, সাপ্তাহে ২ দিন বুধবার ও রবিবার হাট, সলঙ্গা হতে সুতা হাটির মাঝখানে মাহমুপুরের হাট, এখানে সাপ্তাহে ১ দিন বৃহঃপতিবারে হাট, সুতাহাটি হতে উনুখাঁর মাঝখানে সুতাহাটির হাট,এখানেও সাপ্তাহে ২ দিন রবিবারে ও বুধবারে হাট বসে রাস্তার উপর। দবিরগঞ্জ হয়ে কইমাঝুরিয়া, চৈত্রহাটি ও উনুখাঁ গ্রামের পাশেই অবস্থিত পাগলা পীর দুই মামা ভাগ্নে মাজারসহ ভুমি অফিস, ইউনিয়ন পরিসদ ও একটি পাগলা পীর উচ্চুবিদ্যালয় অবস্থিত। এখানে সাপ্তাহে ২ দিন শনিবার ও মংঙ্গলবার হাট বসে। হাট চারটির উপর অত্র উপজেলার প্রায় ২০- ২৫ টি গ্রামের লোকজন নির্ভরশীল। এই হাটগুলিতে মানুষের দৈনন্দিন সকল প্রাকারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়- বিক্রয় হয়ে থাকে। ফলে অত্র হাটগুলিতে দিন দিন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে তার নিজস্ব জায়গা হারিয়ে ফেলায় এখন হাট বসে রাস্তার উপরে। এতে করে হাটের দিন উক্ত রাস্তার প্রায় সম্পুর্ণ অংশ দখল করে দোকানদাররা। তাদের বিভিন্ন দ্রব্যাদি দোকান পদরা সাজিয়ে বসে থাকে। ফলে রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশ জায়গাজুরে তাদের দোকান পেতে বসে থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে হাটে দোকান পেতে বসা করিম উদ্দিন নামের এক দোকানদার জানান, আমাগরে হাটে যে পরিমাণে দোকান এবং খরিদ্দার সেই পরিমানে জায়গা নাই। এই জন্যই বাধ্য হইয়াই আমাগারে রাস্তার উপরে দোকান দিয়ে বইসা থাকতে হয়। উপর দাঁড়িয়ে থেকে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার সময় জীবনের ঝুঁকি থাকে। হাটের দিন উক্ত রাস্তাগুলি দিয়ে যানবাহন চলাচল কষ্ট হয়ে পড়েছে। অথচ ঐ রাস্তাগুলি দিয়ে প্রতিনিয়ত সাইকেল রিকসা+ ভ্যান মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত তিন চাকার গাড়ি,নসিমন, করিমন, চলাচল করে। কিন্তু হাটের দিন গুলিতে তাদের চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয় । ফলে একদিকে যেমন যানবাহনে যাত্রীরা দুর্ভোর্গের শিকার হচ্ছে। অপরদিকে কোন প্রকার সস্কার না থাকার কারণে হাটেগুলিতে যে পরিমাণ দোকানপাট ও লোকজনের সমাগমঘটে তাতে করে হাটগুলির জায়গা আরো প্রসারিত করা খুবই প্রয়োজন। এলাকাবাসি জানান, উধ্বর্তন কতর্পক্ষ যদি হাটগুলির জায়গা বৃদ্ধি করেন তাহলে লোকজনের অন্তত হাটগুলিতে এসে জীবনের ঝুঁকি থাকতো না। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD