থামছে না পল্লী বিদ্যুতের ভুয়া বিল অবিলম্বে গণশুনানী করার দাবী

Spread the love

চলনবিল বার্তা ডেক্সঃ কিছুতেই থামছে না তাড়াশ পল্লী বিদ্যু কর্র্তৃক তৈরী অতিরিক্ত বিল বা ভুয়া বিল। উল্লেখ, উক্ত বিদ্যুত অফিস গ্রাহকের মনগড়া বিল করে চলেছে বহু দিন যাবৎ। দৃষ্টান্ত স্বরুপ তাড়াশ সদরের আবাসিক মিটার নং ৫০১৪০০২৮৫৪২৯এর জুলাই মাসের বিল ৮৬৭ টাকা। একই মিটারে আগষ্ট মাসের বিল দিয়েছে ৯৮২ টাকা । এখানে গত মাসের অপেক্ষা ১১৫ টাকা অধিক বিল তৈরীর কোন যুক্তি নেই। তারা মিটার রিডিং বেশি দেখাচ্ছে বটে। তবু বহুবার বলা সত্যেও বাড়ির মালিককে না জানিয়ে সংগোপনে চুপিচুপি রিডিং নিয়ে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার পাঠকরা। আর এভাবেই তারা নিজের ইচ্ছে মতো বানোয়াট বিল তৈরী করছে অফিসে বসে। আর রিডিং বাড়িয়ে দেখাচ্ছে যা প্রমাণিত ও মালিকের সাথে নিয়ে পরীক্ষিত নয়। দীর্ঘ বহু বছর যাবৎ পল্লী বিদ্যুৎ চোরের মতো মিটার রিডিং নেওয়ার প্রচলন গড়ে তুলেছে এবং অগনিত গ্রাহকের ভুয়া বিল দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।এ নিয়ে গত মাসেই পত্রপত্রিকায় সংবাদ উঠে যে, তাড়াশে পল্লী বিদ্যুতের লক্ষাধিক গ্রাহক প্রতারিত। বিশেষত পল্লী বিদ্যুৎ ইতোপূর্বে অল্প কিছু দিনের জন্য মিটার কার্ড প্রবর্তন করলেও পরে তারা ঐপদ্ধতি অনুসরণ থেকে সরে যায়। উপরোক্ত পরিস্থিতি গোটা উপজেলা জুড়েই। অথচ সবাই দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রতিকার পাওয়ার কোন জায়গা নেই।ওদিকে পল্লীবিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্র কেবলই নামে মাত্র লোক দেখানো – এর কোন কার্যকারীতা নেই।
কারণ, মিটার কার্ডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ মিটারের রিডিং নেওয়া হলে মালিকের উপস্থিতিতে এর স্বাক্ষরসহ তা করতে হতো। এর মাধ্যমে রিডিং কারচুপি ও বিলের প্রতারণা করা সম্ভব ছিল না। খুব সম্ভবত সে কারণেই তারা মিটার রিডিং কার্ড সিসটেম আর কার্যকরী রাখে নি। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে জনমত যাচাই করতে অবিলম্বে গণশুনানীর আয়োজনের দাবী জানিয়েছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD