সিংড়া প্রতিনিধি : চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা। খাল,বিল ও নদীতে এ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সিংড়া পৌর শহরের বালুভরা,পাটকোল ও উপজেলার চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, পাকুরিয়া, ডাহিয়া,ইটালীসহ ২৪ টি স্থানে ভাসমান বীজতলা তৈরি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবারই প্রথম চলনবিল সিংড়া এলাকায় এ বীজতলা তৈরি করা হয়। মূলত হাওর এলাকায় ভাসমান বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বীজ সংকট মেটায়। গত বছর আগাম বন্যায় চলনবিলসহ সিংড়া এলাকায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যা পরবর্তী ৩৪ ধানের রোপা আমন আবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। বিশেষ করে এই চারা রোপণে ফলন ভালো হয়। দামও বেশি। সরেজমিনে সিংড়া পৌরসভার পাটকোল বিলে গিয়ে দেখা যায়, ৮জন কৃষক সম্মিলিতভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কৃষক সিরাজুল ইসলাম স্বপন জানান, প্রথমে পানিতে কলার ভুরা দিয়ে বেঁধে তারপর উপরে কচুরিপনা দিয়ে ফাঁকা অংশ পূরণ করার পর মাটি সমান করে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিনে চারা পরিপূর্নতা লাভ করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিংড়া উপজেলার ২৪ টি স্থানে সরকারী সহায়তায় এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এধরনের চারা আপদকালিন চারা হিসেবে কৃষকদের কাজে লাগবে। প্রতিটি স্থানে এ বছর পরীক্ষামূলক ভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০ দিনে পরিপূর্ন চারা তৈরি হয় এবং রোপনের উপযুক্ত হয়। এতে করে কৃষকদের মাঝে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
