তাড়াশে গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণে বসবাসকারী পরিবারগুলোর মানবেতর জীবনযাপন

Spread the love

সোহেল রানা সোহাগ,তাড়াশ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুচ্ছ গ্রাম আশ্রয়ণে বসবাসকারী পরিবার গুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ উপজেলায় ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ১২ টি সারিবদ্ধভাবে গড়ে তোলা টিনশেড ব্যারাক রয়েছে। যেখানে ৬৩৪ টি গরীব অসহায় পরিবার বসবাস করে। তবে সে ঘর গুলো এখন জরাজীর্ণ হয়ে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। তাই কেউ কেউ ঘর ছেড়ে অন্যত চলে যাচ্ছেন । কেউবা আবর যাওয়ার জায়গা না পেয়ে পেপার টানিংয়ে দিন পার করছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে উপজেলার আড়ংগাইল,বড়মাঝদক্ষিনা,বড়পওতা,বস্তুল,বিনসাড়া,দেশীগ্রাম,কুমাল্লু,মাগুড়া মুকুন্দ এই ৮ টি গ্রামে ১ নম্বর খাস খতিয়ানের সরকারি জমিতে নির্মিত ১২ টি ব্যারাকে ৬৩৪ টি পরিবার বসবাস করে । সেখানে তাদের নামে জায়গা ও ঘর লিখে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর পর থেকে আর সংস্কার বা পুর্ননিমান কোনটাই করা হয়নি।

সরেজমিনে উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ,বিনসাড়া,বস্তুল সহ বেশ কয়েকটি গুচ্ছ গ্রাম আশ্রয়ণে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে গড়ে তোলা টিনশেড নির্মিত এ গুচ্ছ গ্রাম অশ্রয়ণের ব্যারাকের সবগুলো ঘর এখন জরাজীর্ণ হয়ে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ঘরগুলোর ছাউনিতে বড় বড় ছিদ্র, বেড়া ও আরসিসি খুঁটি অনেকটা ভেঙে পড়েছে। ব্যারাকের ঘরের টিনগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুরে বসবাস করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুরে বসবাস করতে হচ্ছে। তাই কেউ কেউ পেপার টানিয়ে বসবাস করছে । কেউ বা গুচ্ছ গ্রাম ছেড়ে অন্যত চলেও গেছেন। এ সময় গুচ্ছ গ্রাম অশ্রয়ণে বসবাস কারী পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, যেখানে আর্থিক অভাব ও অনটনের কারণে নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে । সেখানে আবার ভেঙ্গে যাওয়া ঘর মেরামতের স্বপ্ন যেন তাদের জন্য বড় দুরসাধ্য।মাগুড়া মুকুন্দ গুচ্ছ গ্রাম আশ্রয়ণে বসবাস কারী জবেদা খাতুন,সালেকা,মাজেদা,দুলালী,আলেয়া খাতুন সহ অনেকেই বলেন, আমাদের কাছে পরিবারের প্রতিদিনের খাবার যোগানোই কষ্ট কর। দিন এনে দিন খাই। আমরা কেমন করে ঘর সংস্কার করবো। সরকারে কাছে একটাই দাবী ঘরগুলো সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেওয়া হোক।মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকা খরচ করে গড়ে তোলা ঘরগুলো আজ জরাজীর্ণ হয়ে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। তাই ঘরগুলো সংস্কার বা নতুন করে নির্মানে দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, ইতিমধ্যেই গুচ্ছ গ্রাম আশ্রয়ণের ঘরগুলো মনিটরিং এরজন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি),প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সহ একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলো সংস্কার বা নতুন করে নির্মানের জন্য খুব দ্রুতই সকল তথ্য উদ্ধতর্ন কতৃপক্ষের কাছে প্রেরন করা হবে। সরকারী নির্দেশনা মতাবেক খুব দ্রুতই ঘরগুলো মেরামত বা সংস্কার করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD