সিংড়া পুলিশের অমানবিক কান্ড !

Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি: তাড়াশে আসামী ধরতে এসে ভাংচুর ও তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে সিংড়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম, এসআই আমিরুল ইসলামসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী তাড়াশের তালম ইউনিয়নের চক কোলামুলা গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী মাজেদা বেগম অভিযোগ করেন, (২৪ জানুয়ারি) রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিংড়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম ও এসআই আমিরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরো তিনজন পুলিশ আসামী ধরতে তাদের বাড়িয়ে যান। তখন দরজা খুলতে একটু দেরি হওয়ায় লাথি মেরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানে তার ভাসুরের ছেলে ও মামলার আসামী আবু হোরায়রাকে না পেয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলেকে ধরে নিয়ে আসার হুমকী দেন। ঐ বাড়ির লোকজনের সাথে আধা ঘন্টার মতো অশালীন আচারণ করেন পুলিশ। সেখান থেকে চলে যান আবু হোরায়রাদের বাড়িতে। তারপর তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে থানায় ফিরেন।
আবু হোরায়রার স্ত্রী দিনা খাতুন বলেন, সিংড়া থানার সুকাশ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ার শ্রী তিন কোরির মেয়ে কুমারী পাখী রানীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তার স্বামী। অনুরূপ ঘটনা আগেও একবার ঘটিয়েছিলেন। ঐ সময় দুই পরিবারের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়। তাদের সংসারে মিষ্টি খাতুন নামে চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। তাছাড়াও তিনি অন্তঃসত্বা। স্বামীর চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন।
দিনা খাতুন আরো বলেন, এবারের ঘটনার জের ধরে কুমারী পাখি রানীর বাবা তিন কোরি তার স্বামী আবু হোরায়রাসহ তাদের পরিবারের বেশ কয়েকজনকে আসামী করে সিংড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গভীর রাতে বাড়ির গেটের ও দুই ঘরের দরজা ভেঙে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছেন। আর যেসব আসবাব ভাঙা সম্ভব হয়নি, সেগুলো তছনছ করে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে গেছেন। সর্বোপরি আবু হোরায়রায় স্ত্রী দিনা খাতুন বলেন, পুলিশ যেমন আসামীকে আটকের চেষ্টা করছেন, তিনিও তার স্বামীকে খুঁজে ফিরছেন। কিন্তু পুলিশের আসামী ধরার নামে এহেন কান্ড করা মোটেও উচিত হয়নি। অভিযুক্ত সিংড়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম ও এসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বসতঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছরে অভিযোগ সত্য নয়।সিংড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিক্কী বলেন, পুলিশ আসামী ধরার জন্য গিয়েছিলেন, ভাংচুর ও তছনছ করার জন্য নয়। তার থানার পুলিশ এমন কাজ করতেই পারেন না। এ প্রসঙ্গে সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিল আকতার বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করার অভিযোগ সত্য নয়।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD