খড়ের দুর্ভিক্ষের সাথে বেড়েছে চাঁদাবাজী

Spread the love

তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খড় (গো-খাদ্য) বোঝাই পরিবহণে খাজনা টাকা আদায়ের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি খড় বোঝাই অটো রিক্সা , ভটভটি , মিনি ট্রাক থেকে খাজনার নামে ১৫০-২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন কতিপয় হাট বাজারের ইজারাদার ও তাদের লোকজন। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছেন গরুর মালিক , কৃষক ও খামারীরা।
জানা গেছে, বর্তমানে এলাকায় চলছে গো খাদ্যের সংকট । আর এর মধ্যেই উপজেলার রানীরহাট, কাটাগাড়ী বাজার , ভোগলমান চারমাথা মোড়, পেঙ্গুয়ারীর ধোপাগাড়ী , দিঘুরিয়া ও বারুহাঁস বাজার এলাকায় খড় বোঝাই পরিবহণ থামিয়ে খাজনা আদায়ের নামে ওই অতিরিক্ত টাকা বা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগ খড় ক্রেতা কৃষক ও গরুর একাধিক খামারীদের । এদিকে এ বছর দুই দুইবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় আমণ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মাঠগুলোতে ভাল ধান ফলেছে। আর ধান কাটার ভরা মৌসুমে কৃষক ও গরুর খামারী এবং খড় ব্যাবসায়ীরা ওই সকল গ্রাম থেকে খড় কিনে বিভিন্ন পরিবহণে বোঝাই করে নিয়ে আসছেন। প্রতিদিন শুধুমাত্র তাড়াশেই ৮০-১০০ গাড়ী খড় বোঝাই পরিবহন ওই সকল স্থান দিয়ে চলাচল করে ।
কিন্ত উপজেলার ওয়াশীন গ্রামের খামারী আব্দুল ওয়াদুদ তারা জানান, চক কলামুলা গ্রাম থেকে ২ ভ্যান খড় কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ধোপাগাড়ী নামক স্থানে ইজারাদার অমল সরকারের লোকজন খড় বোঝাই অটো ভ্যানের গতিরোধ করে প্রতি ভ্যান খাজনার নির্ধারিত টাকা চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় ১৫০-২০০ টাকা করে আদায় করছেন। আর এ প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণের পাশাপাশি বিভিন্ন গালাগাল দিয়ে থাকে।
আবার উপজেলার উত্তর মথুরাপুর গ্রামের কৃষক সোলেমান হোসেন জানান, খড় কিনে কাটাগাড়ী , ভোগলমান চারমাথা মোড় হয়ে বাড়ি ফেরার সময় পথে পথে খাজনার নামে তাকেও অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অবশ্য ধোপাগাড়ী মোড়ের ইজারাদার অমল কুমার সরকার জানান, আমরা ইউএনওর কার্যালয় থেকে বাজার ইজারা নিয়ে খাজনা আদায় করছি। অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি।
কিন্ত এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ইউএনও মোঃ মেজবাউল করিম বলেন , বাজার পেরিফেরির বাহিরে এসে এ ধরণের খাজনা নেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।অপরদিকে তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক জানান , বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে একাধিক কৃষক ও খামারীরা জানান , খড় পরিহণের ক্ষেত্রে খাজনা আদায়ের নামে যা হচ্ছে তা এক ধরণের অত্যাচার ।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD