সাব্বির আহম্মেদ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটেনারী হাসপাতাল দুপুর পরই বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় তাড়াশ পৌর এলাকার খুটিগাছা মহল্লার কৃষক শ্রী তুফান সরকার (৬৫) ও তার ছেলে শ্রী গজেন্দ্র নাথ তাদের একটি অসুস্থ্য বাছুর গরুর চিকিৎসার জন্য তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটেনারী হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ।
কৃষকের ছেলে গজেন্দ্র নাথ অভিযোগ করে বলেন , সে সময় হাসপাতালের সকল কক্ষই তালাবদ্ধ ছিল। সন্ধ্যা নাগাদও দেখা মেলেনি হাসপাতালের কর্মরত ভ্যাটেনারী সার্জন ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলামের। আর এ দৃশ্য নিত্য দিনের বলে আরো অভিযোগ করেন লালুয়ামঝিড়া গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন , ওয়াশীন গ্রামের আলামিন ও ক্ষুদ্র মাঝিড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সহ একাধিক কৃষক।
সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা হাসপাতাল খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটেনারী হাসপাতাল সকাল ১০ টার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আসেন না। আবার দুপুর ২ টার পরেই তালাবন্ধ করে চলে যান । এ কারণে যারা পশুর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন তারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভূক্তভোগীদের আরো অভিযোগ করেন, তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটেনারী হাসপাতালে গবাদী পশু নিয়ে আসলে কর্মরতদের দায়িত্বহীনতার কারণে গবাদী পশুর চিকিৎসা মেলে না বললেই চলে।
এদিকে বেশীর ভাগ সময়ই হাসপাতালের ভ্যাটেনারী সার্জন শরিফুল ইসলামকে বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে আড্ডা মারতে দেখা যায় এমন অভিযোগও রয়েছে। ফলে হাসপাতালে আগত কৃষক ও খামারীদের পশু চিকিৎসা অধরাই রয়ে যায়। আর এই কারণে গ্রাম গঞ্জের হাতুড়ে পশু চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান খামারী লুৎফর রহমান। এ ব্যাপারে ভ্যাটেনারী সার্জন ডাঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট আছে তাই এমন ভাবেই ধৈয্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে তাড়াশ ইউএনও মোঃ মেজাবাউল করিম বলেন , বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো ।