সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা , সংখ্যা-২৮, ২০২৩

Spread the love

“শুধু দীর্ঘ জীবনের কোন বিশেষত্ব নেই,
যদি না জীবনে চমৎকারিত্ব থাকে”। – রুশ একাঙ্কিকা

 

পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না: মির্জা ফখরুল 

ডেস্ক রিপোর্ট :  আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কিছু দিন ধরে সরকারের মন্ত্রী-নেতারা বারবার করে একটা কথা বলছেন- অগ্নিসন্ত্রাস হবে, আবার আগুন নিয়ে খেলবে বিএনপি। এটা কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিত একটি বক্তব্য। তারা (ক্ষমতাসীনরা) সন্ত্রাস করবে সেজন্যই এ কথাগুলো বলতে শুরু করেছে। কিছুটা সফলও হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করা হচ্ছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, সংঘাত হতে পারে। আওয়ামী লীগ মানেই সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ মানেই দুর্নীতিবাজ। দলটির রসায়ন থেকে এ দুটো বের হয়ে আসে।
গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’ শীর্ষক এ সভা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি খুলনা, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, পটুয়াখালীতে ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাস করেছে। এর কারণটা হচ্ছে প্রতিবাদকে বন্ধ করতে হলে সন্ত্রাসই একমাত্র পথ। এ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের দাবিকে তারা দাবিয়ে দিতে চায়।ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না- মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরও পাঁচ বছর লুট করতে তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে। আর বলছে, নির্বাচন তো হবে, নির্বাচনে আসেন। হাত-পা বাঁধা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, মুখ বন্ধ। ইতোমধ্যে আবার খেলা শুরু করে দিয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, অত্যাচার-নির্যাতন করছে, গায়েবি মামলাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এবার কোনো পাতানো নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ পা দেবে না। এ ফাঁদে মানুষ পা দেবে না।সরকারের উদেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা মারামারি করতে চাই না, সংঘাত চাই না। সরকারের পদত্যাগসহ আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। আবারো স্পষ্ট করে বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দবি মেনে নিতে হবে। তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।’মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ ওবায়দুল কাদের নিজের রূপে আবির্ভূত হয়েছে, পুলিশ দিয়ে প্রতিরোধ করছে। জনগণ যখন প্রতিবাদ করতে যায়, তখন পুলিশ ব্যবহার করে তাদের দমন করছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন পুনরায় শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ হামলা শুরু করেছে। পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় সরকারি দলের গুন্ডারা হামলা করেছে। সভা পন্ড করে দিয়েছে। ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। অগ্নিসন্ত্রাসের নামে তারাই আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। সূত্রঃ যুগান্তর।

বিএনপির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি :

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন- এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে।বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।সাংবাদিকরা এ সময় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ এটিকে বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক।বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এ রকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে। এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সারা দেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে।সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।

সিরাজগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ :
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নিকট দুই শতাধিক অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩ শতাধিক চরমপন্থী ও সর্বহারা পার্টির সদস্য ।প্রায় দুই দশক ধরে চরমপন্থীদের দমনে কাজ করছে র‌্যাব। বন্দুক যুদ্ধে শীর্ষ কয়েক নেতার মৃত্যু হলেও থেমে থাকেনি তাদের কর্মকন্ড। ২০২০ সালে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদকে চরমপন্থীদের আগ্রাসন থেকে রক্ষায় তাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। র‌্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা বেশ কয়েকটি সক্রিয় দলের নেতা প্রায় ৩ শতাধিক সদস্য ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন।জানা গেছে, ৩১৫ জনের মধ্যে পাবনা জেলার ১৮০ জন, সিরাজগঞ্জের ১১, টাঙ্গাইলের ৭৪, রাজবাড়ীর ৫৪, মেহেরপুরের ২, কুষ্টিয়া ও বগুড়ার ১ জন চরমপন্থি রয়েছেন।
র‌্যাব আরও জানায়, ‘উদয়ের পথে’ নামে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে চরমপন্থী পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চরমপন্থী পরিবারের ৩০ জন নারী সদস্যকে স্বাবলম্বী করতে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মাছ চাষ, গরু বা মুরগীর খামার, রিকশা, সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে চরমপন্থী নেতা ও সদস্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।গত রোববার(২১ মে) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গাস্থ হাটিকুমরুলে র‌্যাব-১২ সদর দফতরে র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম, খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন,বিপি এম (বার) পিপি , অতিরিক্তি মহাপরিচালক (অপারেশন র‌্যাব ফোর্সেস) কর্নেল মাহবুব আলম, সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সদর কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না, রায়গঞ্জ- তাড়াশ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা আব্দুল আজিজ, উল্লাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম,শাহজাদপুর আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা । এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান,ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ আব্দুল বাতেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্তি ডিআইজি র‌্যাব ১২ অধিনায়ক মারুফ হোসেন পিপি সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন আত্মসমর্পণকারী সর্বহারা পার্টির রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ফারুক শেখ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম প্রমূখ।

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে তাড়াশে বিক্ষোভ মিছিল:

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ ঃরাজশাহীতে বিএনপির নেতা চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার (২২ মে) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার উদ্যেগে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ গেটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রকাশ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সাধারণসম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু’র সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ-৩ রায়গঞ্জ–তাড়াশ ও সলংগা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, রজত ঘোষ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তি যোদ্ধা আব্দুস সোবাহান, ক্রীড়া সম্পাদক উপাধাক্ষ্য শাহাদৎ সরকার, সহ প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সদস্য রেজাউল করিম, জাকির হোসেন রনি, আনিস খাঁন, আব্দুল হান্নান, মহিলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মনোয়ারা বেগম মিনি ও সাধারণ সম্পাদক সবিতা রানী টুনি, মাগুড়াবিনোদ আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম বুলবুল, তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি শায়লা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, সেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি সরকার মিলু ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবির লিমন, ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন রুবেল ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তাড়াশে শিশু ধর্ষণ- ধর্ষক গ্রেফতার:

আরিফুল ইসলাম : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভনে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুই সন্তানের জনক নায়েব (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দুপুরে পৌর এলাকার রঘুনীলী গ্রামে। ধর্ষক নায়েব আলী রঘুনীলী গ্রামের ফজলুল রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রঘুনীলী গ্রামের বাসিন্দা নায়েব আলী বাড়িতে একা ছিলেন। এমন সময় প্রতিবেশীর সাড়ে ৩ বছরের মেয়ে শিশু বেড়াতে এলে তাকে চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষন করলে শিশুটি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিযয়ে এসে হাতে নাতে ধরে ঘরের ভিতর আটক করে রাখে ধর্ষক নায়েবকে। ধর্ষনের শিকার গুরুতর অসুস্থ শিশুকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক নায়েব আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, থটনাস্থলে গিয়ে শিশুর জবানবন্দি অনুযায়ী ধর্ষক নায়েবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

তাড়াশে ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন:

আরিফুল ইসলাম, তাড়াশঃ ‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩ (২২-২৮ মে) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত সোমবার সকালে উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয় চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম’র সভাপতিত্বে ভূমি সেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর তাসমিন উর্মি, মাগুরাবিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি ভুট্টু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় চারনেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সরকার প্রমূখ। ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩ইং উপলক্ষে সপ্তাহ ব্যাপী জনসচেতনতা সভা, ক্যাম্পেইন, ডকুমেন্টারি, প্রচার সহ সেবা প্রার্থীদের সহযোগিতার জন্য তথ্য কাম সেবা বুথ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তাড়াশে চিকন চালের ধান
বেচতে পারছেনা কৃষক

বশেষ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চিকন চালের ধানের দাম আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে বোরো মৌসুমে। বিশেষ করে ব্রি ধান ৯০ বেচে উৎপাদন খরচ উঠছেনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে ধানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৯০ ধান কিনে তাদেরও লোকসান গুণতে হচ্ছে।
সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ গ্রামের কৃষক আব্দুস ছাত্তার বলেন, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ব্রি ধান ৯০ আবাদ করেছিলেন। ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানের দাম তুলনামূলক খুব কম। আমনের মৌসুমে ২২শ টাকা থেকে ২৮শ টাকা অবধি ৯০ ধান বেচাকেনা হয়েছে। বোরোতে এসে সেই ধান ১২শ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারছেননা। চিকন চালের ধানের দাম না বাড়লে উৎপাদন খরচ উঠবেনা।বিনসাড়া হাটের শাকিল আহাম্মেদ নামের একজন ধানের ব্যবসায়ী বলেন, ১৫শ টাকা করে তিন হাজার মণ ব্রি ধান ৯০ কিনে ধানের ঘরে রেখে দিয়েছেন। বর্তমানে ৯০ ধানের বাজার সর্বোচ্চ ১২শ টাকা মণ। চালান দামেও বিক্রি করতে পারছেননা।
সরেজমিনে তাড়াশের সব চেয়ে বড় ধানের হাট বিনসাড়া ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য কৃষক ধান বেচতে হাটে এসেছেন। কিন্তু ধানের দাম কম হওয়ায় বেশীরভাগ কৃষক ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ৯০ আবাদ করা হয়েছিলো। মাস খানেকের মধ্যে চিকন ধানের চালের দাম বাড়তে পারে।

 

তাড়াশে প্রেমিকার রহস্যজনক মৃত্যু ! :

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে হাসি খাতুন (১৬) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় (১৭ মে) বুধবার সন্ধ্যায়। তারপর থেকে এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। শেষ অবধি বাদ এশার নামাজ পর নিহতের জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়।
এদিকে নিহতের বাবা আব্দুল খালেক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক ইত্তেফাককে জানিয়েছেন, জানাজার নামাজ শেষে বিভিন্ন জটিলতায় তার মেয়ের দাফন সম্পন হতে রাত দেড়টা মতো সময় লেগে যায়। স্থানীয় ও থানায় মামলা সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশের জলিল নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী হাসি খাতুন গতকাল বুধবার পরিক্ষা শেষে তার প্রেমিক সাব্বির রহমানের সাথে ঘুরতে বেড় হয়। কিন্তু দিন শেষে সন্ধ্যার দিকে মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর এলাকায় প্রেমিক সাব্বির রহমানের মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে সে গুরুতর আঘাত পায়। পরে এলাকাবাসী তাকে পার্শ¦বর্তী গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত হাসি খাতুনের বাড়ি নওগাঁ ইউনিয়নের পংরৌহালী গ্রামে। পার্শ্ববর্তী হামকুড়িয়া গ্রামের আলমের ছেলে সাব্বির রহমানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।অপরদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাসি খাতুন মারা যাওয়ার পর থেকে তার প্রেমিক সাব্বির রহমান গা ঢাকা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে থানায় এসে নিহতের বাবা আব্দুল খালেক সাব্বির রহমানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

তাড়াশে ঝড়ে স্কুলের টিনের চাল উড়ে গেছে

শামিউল হক শামীমঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বস্তুল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল উড়ে গেছে।
গত (২১মে ২০২৩) রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া প্রবল ঝড়ে ওই প্রতিষ্ঠানের দুটি শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল উড়ে যায়। ফলে সোমবার থেকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।এবিষয়ে বস্তুল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শাহিনুর ইসলাম জানান, তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নে ২০০১ সালে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়ে এস.এসসি (ভোকঃ) শাখায় ৭টি ট্রেড এবং এইচএসসি (বিএম) শাখায় ৪টি ট্রেড নিয়ে সরকার কর্তৃক প্রচলিত নীতি অনুসরণ করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারী বহুতল ভবন না থাকলেও টিনের ঘরেই চলছিল শ্রেণি পাঠ দান কার্যক্রম। গত রবিবারের প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে দুটি শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল, বেড়া, কাঠের দড়জা জানালা ও বাঁশের সেলিং দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ময়নুল হক জানান, গতকাল সন্ধ্যায় এই এলাকায় প্রবল ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়েছে। আমি বস্তুল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শ্রেণিকক্ষের ঘড় ভেঙ্গে যাওয়া সরেজমিনে দেখেছি। অনেক ক্ষতি হয়েছে। যেহেতু কলেজের শ্রেণিকক্ষ তাই খুব দ্রæত সময়ে ঘর মেরামত করা প্রয়োজন।

তাড়াশ পৌর মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুস সালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক

শামিউল হক শামীম : মোঃ আব্দুস সালাম তাড়াশ পৌরসভার মৃত কোবাদ হোসেনের ছেলে। কোবাদ হোসেন ছিলেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আওয়ামীলীগের সক্রিয় সমর্থক। তিন ভাইয়ের মধ্যে আব্দুস সালাম মেঝো। বড় ভাই এস. আলম তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনিও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের তাড়াাশ উপজেলা শাখার যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক, আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০১৩-২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক এবং বর্তমানে কার্যকরী সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। বড় ভাই এস আলম উপজেলার বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সমাজে তিনি একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ছোট ভাই মোঃ ফুলজার হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। চাকুরীতে প্রবেশের পূর্বে তিনিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ শাখার একজন কর্মী ছিলেন।
আব্দুস সালামের স্ত্রী ও তিন সন্তান। স্ত্রী ময়না খাতুন একজন আদর্শ গৃহিনী। গৃহকার্য্যের সাথে স্বামীর রাজনৈতিক জীবনে নিবিড়ভাবে সহায়তা করে থাকেন। স্বামীর রাজনীতিতে বিচরণ এবং সমাজের মানুষের উপকারে সর্বদা অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। তিনিও আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং তার বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। তার প্রথম সন্তান এম. এফ. সিয়াম উচ্চ মাধ্যমিকে, দ্বিতীয় সন্তান সিকাত সাদী মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত এবং তৃতীয় সন্তান সাইফ-এর বয়স মাত্র দুই বছর ।
বর্তমান পেশাঃ
মোঃ আব্দুস সালাম বিএসসি বর্তমানে তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। সেই সাথে তাড়াশ বাজারে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। শিক্ষকতা ও ব্যবসার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে স্থানীয়ভাবে রাজনীতি করেন । ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৩২ বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন দায়দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারী বিএনপি’র স্বৈরাচারী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় আব্দুস সালাম মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্মরত চিকিৎসকগণ তার জীবন আশংকা প্রকাশ করে দ্রæত সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে সাবেক মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ নাসিম এবং বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ হোসেন আলী হাসানের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন চিকিৎসান্তে বাড়ী ফিরেন।
শারীরিক-মানসিক ও মামলা-হামলায় আব্দুস সালামের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা কেড়ে নিতে পারে নাই। বরং পরবর্তী সময়ে তাড়াশ উপজেলার প্রতিটি জনপদে তিনি বলিষ্ঠ কন্ঠস্বও, সৎ, আদর্শ ও নিষ্ঠাবান বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবনঃ
আব্দুস সালাম বিএসসি’র রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনীতির জীবন। তৎকালীন সময়ে ১৯৯১-১৯৯৩ সালে তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সফলতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। যার ফলশ্রæতিতে ১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক মনোনীত হয়ে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদে বিপুল ভোটে জিএস পদে নির্বাচিত হন। এসময় তিনি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে পরীক্ষার ফি, জামা কাপড়, পাঠ্য পুস্তক এমনকি নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েও সহযোগীতা দিয়েছেন। ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ভাড়াশ উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালীন সময়ে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ অধ্যাপক ডা: মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উপজেলা পর্যায়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এবং সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয়ের নিমিত্তে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২০ সালে তাড়াশ উপজেলা শাখা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বও পালন করেছেন।

সামাজিক ক্ষেত্রে তার ভুমিকাঃ
সামাজিক দায়িত্ব পালনে আব্দুস সালামের স্বচ্ছতা এবং দৃষ্টি নন্দিত উন্নয়ন তাড়াশবাসীকে চমকে দিয়েছে। ্ও ফলে ২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবধি তাড়াশ কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির তিনি সাধারণ সম্পাদক।লোকমুখে খবর পেলেই ছুটে যান অসহায়দের পাশে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রদান করেন আর্থিক সহযোগীতা। খবর নিয়ে জানা যায়- বর্তমানে তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য অসহায় বয়ঃবৃদ্ধ পরিবারকে মাসিক খরচ হিসাবে চাল ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদান করেন।শীতকালে বাড়ী বাড়ী গিয়ে শত শত কম্বল বিতরণ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা দেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলা শিক্ষক সমাজেও রয়েছে তার বিশেষ অবদান। শিক্ষক সমাজে একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে সবাই জানেন তাকে। শিক্ষকদের বিপদ আপদের একমাত্র ভরসাস্থল তিনি।একারণে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বার বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয় আব্দুস সালামকে।
করোনাকালীন সময়ে অবদান 
করোনাকালীন সময়ে নিজ উদ্যোগে কর্মহীন মানুষদের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রী, শিশু খাদ্য, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিøচিং পাউডার, সাবান, সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণসহ জনসচেতনামূলক হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন। এছাড়া করোনার প্রাথমিক পর্যায় থেকে প্রথম তিন মাস গরীবের হোটেল খানা খুলে নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া ১শত পঞ্চাশ জনকে দুপুরের খাবার প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে প্রতি শুক্রবার ২শ গরীব অসহায় মানুষকে দুপুরের খাবার দিয়েছেন।
জনপ্রতিনিধি প্রার্থী হওয়ার পেছনে আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সুদীর্ঘ ৩২ বছর রাজনীতি করতে গিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বিভিন্ন মামলা ও নির্যাতনে স্বীকার হয়েছি। কিন্তু মানুষের ভালবাসার কাছে আমি বার বার পরাজিত হয়েছি। সততার রাজনীতির মুল্যায়ন সর্বদাই মহান রাব্বুল আলামিন প্রদত্ত যাহা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে স্বর্ণ শিখরে ও মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় ঠাই করতে পারে। তিনি আরো জানান, একমাত্র সৎ এবং শিক্ষিত জনপ্রতিনিধিগনই সমাজের দৃষ্টি নন্দিত উন্নয়ন করতে পারে। তাড়াশের অবহেলিত জনগোষ্ঠির রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার অগ্রগতিসহ সার্বিক উন্নয়নে আ’লীগের একজন কর্মী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি তাড়াশ উপজেলার কৃষককূলের সাথে, সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ এবং শিক্ষিত বেকার সমাজের উন্নয়নে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে আল্লাহ যেন আমাকে কামিয়াবী করেন।আমি তাড়াশবাসির দোয়া চাই।

 

সম্পাদকীয়
তাড়াশে ভূমি সেবা সপ্তাহ ঃ সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানি শেষ হবে কবে ?

গত ২২ মে ২০২৩ দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তাড়াশ উপজেলা সদরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’। আর সপ্তাহ জুড়ে জনসচেতনতা সভা, ক্যাম্পেইন, ডকুমেন্টারি, প্রচার সহ সেবা প্রার্থীদের সহযোগিতার জন্য তথ্য কাম সেবা বুথ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।এসবই তো খুব ভাল উদ্যোগ । এগুলো শুনতে শ্রæতিমধুর, জানতেও হৃদয়গ্রাহী। কিন্তু ভূমি অফিসে গেলে বাস্তবতাটা ভিন্ন মনে হয়। এমন প্রচার-প্রচারনার সাথে আমজনতার ভূমি কেন্দ্রিক সেবা প্রাপ্তির সাদৃশ্য অল্পই। সেখানে সাধারণ মানুষকে অযথাই ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।এতে হয়রানি বেড়ে যায়। সামান্য অজুহাতে বা ওজর-আপত্তি দেখিয়ে চাহিত সেবা প্রলম্বিত করে দীর্ঘায়িত করা হয়। এর ফলে পাবলিকের সময়, অর্থ, শ্রম ও কাজের অপচয় এবং ক্ষতির পরিমাণ বেশুমার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুবাদে অনলাইন সেবা সম্প্রসারণের দরুন জমিজমা বিষয়ক যে কোন তথ্য মুহুর্তেই জানা যায়। কেউ যদি পেপার কপি নিতে বা পেতে চায় তাও দ্রæত সময়ে দেয়া অসম্ভব নয়। খারিজ-খাজনাও কোন কঠিন সমস্যার জটিল অধ্যায় হতে পারে না যা নিয়ে চলে বেশী ছলচাতুরি তথা দুর্নীতি। যে ক্ষেত্রে সেবা প্রাপকের কোন অস্পষ্টতা বা কাগজপত্রে ঝামেলা আছে বলে যদি মনে হয়, সেক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে দিলেই যথেষ্ট। কোনো ধু¤্রজাল রহস্য সৃষ্টি করে কিংবা ধোয়াশায় ফেলে তাকে একটা ট্র্যাপে আটকিয়ে টুপাইস কামাইয়ের ধান্দা করলে জনভোগান্তি বাড়ে।
যেমন অনলাইনে ভূমির তথ্য জানতে কত খরচ হবে, তার কাগুজে নবিস্তা বা ফিরিস্তি নেয়ার মূল্য কত এসবের নির্ধারিত লিখিত চার্ট দেয়ালে টানিয়ে রাখা হলে তা সিটিজেন চার্টারের মতো দেখাবে, জবাবদিহি সহজতর করবে। ভূমি অফিসের ভেতরে রেকর্ডপত্রের তথ্য বের করে পাশের বাজারে অথবা অন্যত্র বিজনেস দোকানে নিয়ে গিয়ে সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে প্রতি ল্যান্ডস্কেপ পাতার জন্য ১শ বা ২শ টাকা নেয়া কোনো নিয়মে পড়ে না। ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বেশী দিতে হয়। অপরদিকে এও দেখা গেল, ভূমির হালহকিকত জানতে টাচ(এনড্রয়েড) মোবাইল ফোন একটা কার্যকর হাতিয়ার। তাহলে আগত সেবা গ্রাহককে প্রাসঙ্গিক অনলাইনের সংযোগ অর্থাৎ লিংক বলে দিলেই তো চুকে গেল। ভূমি অফিসের মধ্যে লোকের জটলা থাকার বা হন্যে হয়ে কতিপয়ের পেছনে দৌড়ানোর কারণ কি? । বাকী কাজটুকু সে তো নিজেই করতে পারে। তাহলে এত টালবাহানা এবং ছায়ছুতার দরকার কী।দেশে প্রায় সব ভূমি অফিসেই কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চিহ্নিত দালালদের দৌরাত্ম্য সর্বজনবিদিত ব্যাপার, ওপেন সিক্রেট ।কেবল তাড়াশে নয়, ভূমি সেবার প্রশ্নে দেশব্যাপী চিত্রটা কমবেশী প্রায় একই রকম। তাই বলবো, আমাদের সিস্টেম যতই স্মার্ট হোক, সুন্দর হোক, নীতি-নৈতিকতাটাই বড় যেখানে আজ আমাদের ঘাটতি অপরিমেয় ।এজন্য আমাদের বর্তমান ঘুনেধরা মানসিকতা বদলাতে হবে। সততার উপরে কোন সেবা নেই- এ সত্যটা উপলব্ধি আর অনুসরণ না করলে শুধু স্মার্ট সার্ভিসে এবং সেবা গৃহের ছায়াতলে মানুষের দু:খ-কষ্ট , যন্ত্রনা-বেদনা লাঘব হবে না যতদিন না তা স্বচ্ছ, পবিত্র ও কলুষমুক্ত সেবাব্রতে পরিণত হয়। ভূমি অফিসে যারা যায় তাদের মুখে কোনো দিন ভূমি কর্তা-কর্মচারীদের সুনাম-সুখ্যাতি শুনেছি এমন ঘটনা বিরল। মনে রাখতে হবে, সেবা দানের প্রকৃত মর্ম হল মানুষের মন জয় করা, ভালবাসা পাওয়া সবশেষে জনমানুষের আস্থা অর্জন করা। কেননা, সেবা তো ধর্মেরই অংগ। সে কারণে বলা হয়ে থাকে, সেবাই ধর্ম। আমাদের দেশে সেটা কবে নাগাদ অর্জিত হবে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হরে।সর্বজনের শুভ বুদ্ধি-বিবেকের উদয় হোক সেটাই কাম্য।
তাড়াশের চার সফল জয়িতা

গোলাম মোস্তফা : সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চারজন পিছিয়ে পড়া নারী জীবনে সংগ্রাম করে সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সফল হয়েছেন। এ সফলতায় তারা ২০২২ সালে জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন। যাদের জয়িতা হওয়ার পেছনে রয়েছে দুঃখ কষ্টের করুণ কাহিনি !
জয়িতা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, দরিদ্র পরিবারে জন্ম আমার। কিন্তু পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রবল ইচ্ছে ছিলো। ১৯৯৮ সালে আমি এসএসসিতে প্রথম বিভাগে পাশ করি। তারপর ১৯৯৯ সালে আমার বিয়ে দিয়ে দেয়। সংসার জীবনেও আমি থেমে থাকি নাই। সংগ্রাম ও নিদারুণ কষ্ট করে এইচএসসি পাশ করি। শেষ অবধি আমার গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকার চাকরি হয়। আমার বড় ছেলে ডিপ্লোমা পড়ছে। আমি পরিবার নিয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছি। নিলুফা ইয়াসমিন তালম ইউনিয়নের গোলাপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
জয়িতা পারভীন খাতুন বলেন, সংসারে অভাবের তারনায় আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি দেখতে ছিলাম কালো। সংসার জীবনের একপর্যায়ে আমাকে পরিবারের সবাই অপছন্দ করতে শুরু করে। এরই মধ্যে আমি গর্ভ ধারণ করি। তারপরও আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে ফিরে আসি। এখন আমার দশ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। আমি দর্জির কাজ, কৃষি শ্রমিকের কাজ ও লোকজনের বাড়িতে দিন মজুর খেটে সংসার চালিয়েছি। তারপর একটি সেলাই মেশিন কিনে উপার্জন শুরু করি। টাকা জমিয়ে একটি গরু কিনি। সেই গরু থেকে ছয়টি গরু হয়েছে। শেলাইয়ের কাজের উপার্জন ও দুধ বিক্রির টাকা দিয়ে আর্থিক সফলতা লাভ করেছি। পারভীন খাতুন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের শ্রীকৃষœপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
জয়িতা হাসি খাতুন বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলনা। সাত ভাইবোনের সংসারে সব সময় অভাব অনটন লেগেই থাকতো। অভাবের দুরুণ আমার অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামীর সংসারও অভাব অটনের। তারপর আমি গরু-ছাগল ও হাঁস মুরগী পালন শুরু করি। আমার চার মেয়েই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষে পড়ালেখা করছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে এখন আমার সুখে দিন কাটে। সে তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের সেলিম প্রামানিকের স্ত্রী।
জয়িতা সুমি খাতুন বলেন, আমি ৫ম শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি চাচির কাছ সেলাইয়ের কাজ শিখি। ৯ম শ্রেণিতে পড়াকালীন আমার বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু আমাকে চার বছরেও স্বামীর বাড়িতে নেয়না। এরই মধ্যে আমার স্বামী অন্য মেয়েকে বিয়ে করে। বাধ্য হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দেই। তারপর আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরে জানতে পারি আমার স্বামী মাদকাসক্ত। মাদক ছাড়তে বললে সে আমাকে মারধর করত। এক পর্যায়ে আমি মা হই। তারপরও নির্যাতন করত। নিরুপায় হয়ে আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি। তারপর ভুল স্বীকার করে আমাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায়। হঠাৎ আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ি। কিন্তু আমার স্বামী চিকিৎসার টাকা দেয়না। এরকোম নানা ঘটনার পর আমাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে। জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ। নিজে শেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি অন্য মেয়েদেরও সেলাইয়ের কাজ শেখানো শুরু করি। আমার উপার্জনের টাকা দিয়ে দুই বিঘা জমি বন্ধক রেখেছি। চারটি গরু রয়েছে আমার। আমি ছেলেকে নিয়ে সুখে আছি। সুমি খাতুন মাধাইনগর ইউনিয়নের সরাপপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
এদিকে জীবনে সংগ্রাম করে সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সফল হওয়ার জন্য চার জয়িতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাছরিন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেন, জয়িতারা স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

দিনে দিনে ফুঁসে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছবি
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ

দিনে দিনে ফুঁসে উঠছে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্প। এতে দেশের স্বাধীনতা হুমকির আশঙ্কায়, মাদকের ভয়াবহ বিস্তার, হত্যা-খুনোখুনি, গুম সেখানকার প্রাত্যাহিক চিত্র। আধিপত্য বিস্তারের নেশায় প্রতিদিন-ই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, হত্যা-খুনোখুনি ও গুম হচ্ছে একের পর এক। বিদেশ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানী বোমা, গ্রেনেড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরে ঘরে। এ বিষয় নিয়ে অতি সম্প্রতি দেশের জাতীয় বেশ কিছু প্রিন্ট মিডিয়ায় উঠে এসেছে ‘ক্যাম্পের ঘরে ঘরে অস্ত্র’ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনোখুনিতে ছয় মাসে শতাধিক খুন হয়েছে।
মানবতা বিরোধী, শুধু মানুষ হত্যা-ই নয়, সমাজে-রাষ্ট্রের অভ্যান্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। নেশাজাত দ্রব্যের ব্যবহার ক্রয়-বিক্রয় করা সহ অনৈতিক কাজেও জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ্রিতরা। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানী করা ও মিয়ানমারে তৈরি মাদকদ্রব্য আমদানী করে মানবতা বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা’রা।
কোন দেশে সরকারিভাবে প্রজা নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার যে সকল সুত্র খুঁজে পাওয়া যায়, তা হচ্ছে স্বার্থান্বেষী, জালিম শাসক প্রজা নির্যাতন করে। একক ক্ষমতা বিস্তার করতে এবং ক্ষমতায় আসিন থাকতে প্রতিপক্ষের উপর জুলুম-নির্যাতন চালানো হয়। স্বধর্মের অস্তিত্ব প্রসার করতে অন্য ধর্মাবলম্বী উপর নির্যাতন করে, দেশের কোন জাতি গোষ্ঠী শাসনতন্ত্রের ব্যঘাত ঘটালে ক্ষমতাসীনরা ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর নির্যাতন করে।
আমাদের পার্শবর্তী দেশ মিয়ানমার, এটি একটি স্বাধীন দেশ। বৌদ্ধ জাতির নিয়ন্ত্রণে বৌদ্ধ শাসিত দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিমেরা রোহিঙ্গা জাতি নামে পরিচিত। রোহিঙ্গারা ওই রাষ্ট্রের আরাকান রাজ্যের বাসিন্দা। বৌদ্ধ শাসক গোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে বৈমাত্রিক ভ্রাতা সুলভ আচরণ করছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমেরা মানবতা বিরোধী কাজে ফুঁসে উঠেছিলো। এক পর্যায়ে বিদ্রোহী রোহিঙ্গা’রা বেপরোয়া হয়ে উঠে। যার ফলে দেশটি অস্থিতিশীল হয়ে পরে। বিদ্রোহীরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে দেশের শান্তি বিঘিœত করে। সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমন চালিয়ে বহু সেনা সদস্য হত্যা করে। রোহিঙ্গা’রা সংখ্যালঘু হয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের হত্যা করা সহ জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলিয়ে ছিলো। যার ফলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে মানবতা বিরোধীদের উপর মানবতা বিরোধী কাজ করেই জবাব দিয়েছিল। সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতন, হত্যা, অগ্নি সংযোগ, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে বিতাড়িত করে রোহিঙ্গাদের।
রোহিঙ্গাদের করুন অবস্থা, আশ্রয়হীন-গৃহহীন স্বজন হারাদের মানবেতর জীবন দেখে আমাদের দেশের মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক আশ্রয় দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদারতা ও মানবতার সুযোগে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মাথায় বসে ঘাড়ের রক্ত চুসে খেতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তান্ডবে দেশ এখন আতঙ্কিত, আমাদের স্বাধীনতা হুমকিতে, এমন কোন অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গারা করে না। নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য করছে খুনোখুনি,হত্যা ও গুম। মিয়ানমারে উৎপাদিত মাদক আমদানী করে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব করেছে। যা সকল বয়সের মানুষকে মাদকাসক্ত করতে উৎসাহীত করছে। রোহিঙ্গা নারীদের অনৈতিক কাজে এগিয়ে দিয়ে দেশের দুষ্টদের মাধ্যমে সুবিধা লুটে নিচ্ছে। পাশবর্তী দেশ থেকে অবৈধ পথে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানী করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমাদের দেশকেও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। পূর্বের অনেক সুত্র ধরে দেখা যায় পরগাছা আশ্রয় পেয়ে মুল গাছকেই অধীনস্থ করে ফেলে ।
বর্তমানে রোহিঙ্গারা নিজেরা নিজেরাই খুনোখুনি ও গুম করে সন্ত্রাসী কাজে পারদর্শিতা অর্জন করছে। এমনও হতে পারে আমাদের মূল উৎপাটনের পরিকল্পনাও ওরা করতে পারে। এখনই ওদের বিষদাঁত উপরে ফেলতে হবে, নইলে মানবতা বিরোধীদের উস্কে দিবে আমাদের প্রতিপক্ষ দেশ। যে রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসী কাজে সনাক্ত করা যাবে চলমান আদালতে মানবতা বিরোধী হলেও তাকে নির্মূল করা জরুরি। নয়তো ধরে বাধ্যতামূলক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করা, আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে স্বদেশে পাঠানো দেশের জন্য মঙ্গল। যেভাবে দিনে দিনে ফুঁসে উঠছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাতে হুমকির মুখে আমাদের স্বাধীনতা।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিষ্ট ,শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ। আলাপচারিতা: ০১৭৮২-৪৫৭

তালের শাঁসের নানা গুণ

মোঃ মুন্না হুসাইন : তালের শাঁস খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ আমরা অনেকেই জানি না। তালের শাঁস যেমন সুস্বাদু, তেমনি রয়েছে পুষ্টি। জানেন কি, এই মৌসুমে তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সেই সঙ্গে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। চারদিকে যখন বিভিন্ন ফল ও খাবারে ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহারের ছড়াছড়ি, তখন কোনো ধরনের ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া ফল খেতে চাইলে বেছে নিন তালের শাঁস। তালের শাঁস শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে প্রায় ৭৭ গ্রাম পানি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ০ গ্রাম ফ্যাট, ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০ গ্রাম ফাইবার, ৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.০৪ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০২ মিলিগ্রাম রাইবোফ্লাভিন, ০.০৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। ভিটামিন ও খনিজ লবণসমৃদ্ধ তালের শাঁস যারা ডায়েট ফলো করছেন বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম ফল। অতিরিক্ত রোদে বা গরমে ত্বকে বিভিন্ন র‌্যাশ বা এলার্জি দেখা দিলে তালের শাঁসের খোসা লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে তালের শাঁসের খোসা বা তালের শাঁসের প্যাক লাগালে ভালো কাজে দেয়। জেনে নিন তালের শাঁস খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
১. তালের শাঁসে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. তালের শাঁসে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁত ও দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
৩. পুষ্টিকর এই ফলে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস যা হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে।
৪. কচি তালের শাঁস রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
৫. তালের শাঁসে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি আমাদের শরীর থেকে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
৬. তালের শাঁস খেলে আমাদের শরীরে নাইট্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রাখে।
৭. তালের শাঁস লিভারজনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৮. তালের শাঁসে আছে ভিটামিন বি ও সি যা বমি ভাব দূর করে ও আমাদের খাওয়ার রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
৯. তালের শাঁসে আছে আয়রন যা মেয়েদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। অ্যানেমিয়া রোগীদের জন্য বেশী উপকারী।
১০. এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ উপাদান যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।
১১. এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।
১২. তাছাড়া তালের শাঁস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
১৩. প্রেগন্যান্ট মহিলাদের এই তালের শাঁস খেতে পরামর্শ দেয়া হয় কারণ এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

 

 

 

 

স্বাধীনতার ডাক

মোছাঃ সাদিয়াতুল কুবরা
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
একাদশ, বিজ্ঞান।

মুজিব শুধু নাম নয় মুজিব মোদের চেতনা
মুজিবের মাঝেই লুকিয়ে ছিল স্বাধীনতার বাসনা।
দিয়েছিলে ডাক স্বাধীনতার করেছিলে উৎসাহিত
বজ্রকন্ঠে তোমার ঐ ডাক হয়েছিল প্রতিধ্বনিত।
তুমিই মোদের মহান নেতা স্বাধীনতার স্বপ্নকথা
সকল বাঙালির হৃদয়ে তুমি এক সূত্রে গাঁথ্।া
ঘাতক সেনারা করেছে লুটপাট করেছে বর্বরতা
তোমার চেতনায় ছিনিয়ে আনলাম লাল সবুজের পতাকা।
তুমি মোদের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতির পিতা
ধন্য তুমি ধন্য মুজিব তুমিই মহান নেতা।
চলে গেলে তুমি মোদের ছেড়ে চিরকালের তরে
তোমাকে পাওয়ার আশা বাঙালির যুগ যুগ ধরে।

 

প্রেম শক্তিতে বিজয়ের মহাসুখ
আমানুল্লাহ আশরাফ
০১৭৩৪-৫১২০০০

প্রেম শক্তিতে মিশে যাব সবে
সৃষ্টির বিশালতায়
স্বার্থকতায় একাকার হব
জীবন কর্ম খাতায়।
শিশুকাল থেকে যতœ করেছি
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
প্রেম ভালোবাসা শক্তি পেয়েছে
মৃত্যুর বিশ্বাসে।
জগত সমূহে ঘুরে বেড়াবো
দেহটা হয়েছে ভার
সকল আশার পূর্ণতা পাবে
দুষ্ট মেনেছে হার।
নিয়ম মেনেছি ক্ষমতা পেয়েছি
মনকে হারাবে কে ?
সৃষ্টির সেরা মনটা আমার
প্রকাশ করেছে সে।

তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মি সভা অনুষ্ঠিত 

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা হাইস্কুল মাঠে উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক বিশাল কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হোসেন মনসুর। বিশেষ আতিথি হিসেবে বক্তব্য্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুস সামাদ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাটুল ও অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সম্পাদক রজত ঘোষ ও শাহিনুর আলম লাবু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল খালেক, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক আলহাজ খন্দকার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কিসমত হোসেন দুলু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিনতি রানী বসাক, সহ প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সদস্য কামরুজ্জামান রাজু, জাকির হোসেন রনি, রাশেদুল হাসান মন্টু, বুলবুল শহিদ, তালম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস উজ জামান, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম বুলবুল, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজফুল, সগুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুটো, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

তালম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা 

লুৎফর রহমান, তাডাশ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ১নং তালম ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স দিন, সেবা নিন, উন্মুক্ত বাজেট অংশ গ্রহণ করি, বাল্য বিবাহকে না বলি, মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার কাজে সহযোগিতা কামনা করে উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ২ কোটি ১৫ লাখ ২৮হাজার তিন শ’ত টাকার বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা জন সম্মুখে ঘোষনা করেন ইউপি সচিব মোঃ আলাউদ্দিন ।উন্মুক্ত বাজেট সভায় এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটের আলোকে এর সংযোজন ও বিয়োজন বিষয়ে আলোকপাত করেন চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। জনগনের গুরুত্বপুর্ন ও জরুরী দাবিগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ইউনিয়নে এ বাজেটে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, আব্দুল লতিফ, আজিজুল হক, আব্দুস সালাম, নারী সদস্য কাজলী খাতুন সালমা খাতুন, চায়না পারভীন, আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের কোষাধাক্ষ সেলিম রেজা সহ ইউনিয়নের সামাজিক, রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লাপাড়ায় শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম :

ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলায় চতুর্থ বার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন সিরাজুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এইচ টি. ইমাম গার্লস স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৩ এ শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এবার মিলে চতুর্থ বার জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন। এর আগে তিনি ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ৩ বার সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। জানা যায়, মোঃ সিরাজুল ইসলাম ২০০৪ সালে উপজেলা সদরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির উল্লাপাড়া শাখার সভাপতি এবং বাংলাদেশ স্কাউটস উল্লাপাড়া উপজেলার কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একাডেমিক কাউন্সিলেরও সদস্য বলে জানানো হয়।

চাটমোহরে ভূমি সেবা সপ্তাহ :

চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে জাতীয় ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. তানজিনা খাতুন, সার্ভেয়ার ইছাহক আলী, নাজির কাম ক্যাশিয়ার বাবুল উদ্দিন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা শামীম, পার্শডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. নাকিবুল্লাহ, হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সাইকোলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ইসলাম, গুনাইগাছা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কলি সরকার, সার্টিফিকেট সহকারী মাবিয়া খাতুন, সায়রাত সহকারী রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রমূখ। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোছা. তানজিনা খাতুন জানান ২২ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত মোট ৭ দিন এ সেবা সপ্তাহ চলবে।

শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত: 
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুওে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বি-ইউনিট (মানবিক বিভাগ)-এর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এর মতো সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ইব্রাহিম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষাগ্রহণ শুরু হয়। এবারের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২২০৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আগমন উপলক্ষে শাহজাদপুর জুড়ে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর আগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ, স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে পরীক্ষাগ্রহণকে নির্বিঘœ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবাসন, খাবার সহ সার্বিক সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা সন্তুষ্টচিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পরীক্ষার্থী, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরীক্ষা কাজে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এই পরীক্ষাটি একটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যারা বাহিরে থেকে সাহায্য করেছে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মীসহ শাহজাদপুরবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গুরুদাসপুরে স্মার্ট ভুমি সেবা সপ্তাহ ও সেবাগৃহ উদ্বোধন :

আবুল কালাম আজাদঃ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে গত সোমবার ( ২২ মে ) বিকাল ৩ টায় “ স্মার্ট ভূমি সেবা সপ্তাহ এবং ভূমি সেবা গৃহ ( মাটির টানে)” আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রসাসক মোঃ আবু নাছের ভূইয়া।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় এর সভাপতিত্বে নবনির্মিত “ সেবাগৃহের (মাটির টানে) “ ফলক উন্মোচন করে ফিতা কেটে দ্বারোদ্বঘাটন করে ঐ সেবাগৃহেই “ স্মার্ট ভূমি সেবা “ উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূইয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ -২০২৩ উদযাপনের মধ্য দিয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্মার্ট ভূমি সেবায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ভূমি সেবা সপ্তাহ উদযাপন ভূমি মন্ত্রনালয়ের একটি ভূয়সী উদ্যোগ।স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রনালয়।
“স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’ প্রতিপাদ্যে দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৫০৭টি উপজেলা, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ও পৌর ভূমি অফিসে ২২ মে থেকে ২৮ মে ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ভূমি সেবা সপ্তাহ চ্লবে। ভূমিসেবা সপ্তাহে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে, স্থানীয় সম্মেলন কক্ষে কিংবা সুবিধাজনক স্থানে ক্যাম্প করে সেবা বুথ স্থাপন করা হবে। সেবাবুথে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রযোজ্য ভূমি সেবা দেওয়া হবে, ভূমিসেবা বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং পরামর্শ সেবা দেওয়া হবে। ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডাকযোগে সার্টিফাইড খতিয়ান ও ম্যাপ এবং ১৬১২২ নম্বরে কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’, ‘স্মার্ট ভূমি নকশা’, ‘স্মার্ট ভূমি রেকর্ড’ এবং ‘স্মার্ট ভূমি-পিডিয়া’ সহ স্মার্ট ভূমিসেবা স্থাপনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার ব্যাপারে সম্যক ধারণা প্রদান করা হবে।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী ‘জাঁতাকল’ 

ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা থেকে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে গাঁও গেরামের মহিলাদের ডাল তৈরী করার ঐতিহ্যবাহী জাঁতাকল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় আর আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রচলনে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন যাত্রা। সেই সাথে বিলিনের পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী জাঁতা। এক সময় উপজেলার প্রতিটি গ্রামের বাড়ীতে দেখা যেত এই জাঁতাকল। কিন্তু এখন গ্রামাঞ্চলের কোথাও জাঁতার ব্যবহার তেমন একটা চোখে পড়ে না। শোনাও যায় না ডাল ভাঙ্গার সেই কড় কড় শব্দ।
এক যুগ আগেও গ্রামাঞ্চালের মহিলাদের কাছে জাঁতা একটি প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি উপকরণ ছিল। গ্রামের মধ্যে এক বাড়ীতে জাঁতা থাকলে আশপাশের বাড়ীর মহিলাদের মসুরী, খেসারী, মটর কলাই ও মাশ কলাইসহ নানা ধরণের ডাল ভাঙানোর জন্য সকাল বিকেল লাইন দিয়ে বসে থাকতে আর অপেক্ষা করতে হত। এমনকি বিয়ের পর নববধু উপহার হিসেবে বাবার বাড়ী হতে জাঁতা নিয়ে শুশুর বাড়ীতে আসত। কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিক যন্ত্রপাতির কাছে হার মেনে সেই প্রাচীন গৃহসামগ্রী জাঁতাকল এখন বিলুপ্তির পথে। খুবই মসৃণ দুই খন্ড পাথর গোল করে কেটে তৈরী করা হতো এই জাঁতাকল। সেই খন্ড দুটির ভিতরের ভাগ লোহার তৈরী যন্ত্র (বাটাল) দ্বারা ছোট্র ছোট্র গর্ত করে ধার করা হয় ডাল ভাঙানোর জন্য। এই দুটি পাটের (উপরের এবং নিচের অংশ) মাঝে একটি ছিদ্র করা হয়। আর সেই ছিদ্রের ভিতরে কাঁঠ বা বাঁশ দিয়ে হাতল তৈরী করে লাগানো হয়। যাতে দুইটি পাট আলাদা না হয় বা দুইটি পাটকে এক জায়গায় রাখতে সাহাষ্য করে। উপরের পাটের মাঝে আরো একটি ছিদ্র থাকে যা দিয়ে কলাই ভিতরে দেওয়া হয় পিষার জন্য এবং পাশে ক্ষুদ্র একটি ছিদ্র করা হয় যার মধ্যে কাঁঠের হাতল দিয়ে শুধু উপরের পাটকে ঘুরানো হয়। নিচের পাটের উপর ঘুরতে থাকে উপরের পাট। এই দুই পাটের ঘর্ষণের ফলে ভিতরে দেওয়া কলাই বেঙে ডাল তৈরী হয়ে জাঁতাকলের চারপাশ দিয়ে পড়তে থাকে।
এক যুগ আগেও গ্রামাঞ্চলের মা-চাচি বা নববধুরা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে এই জাঁতা কলের সাহাষ্যে কলাই থেকে ডাল বের করতে দেখা যেত। জাঁতাকল পাথরের তৈরী হওয়ায় চলাকালীন সময়ে মিষ্টি এক ধরণের কড় কড় শব্দ শোনা যেত। কিন্তু এখন আর বাংলাদেশে দেখা যায় না এই জাঁতাকলের ব্যবহার। উন্নত প্রযুক্তির মেশিন তৈরীর ফলে সুখ প্রিয় বাঙালী পরিবার আর কষ্ট করে জাঁতা চালাতে চায় না। বর্তমান এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সেই স্থান দখল করে নিয়েছে উন্নত প্রযুক্তির যান্ত্রিক মেশিন। যে মেশিন বিদ্যুতে চলে। আর এ প্রযুক্তিতে অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায়। উন্নত এই প্রযুক্তির যুগে বিলুপ্তির পথে প্রায় পাথরের তৈরী সেই জাঁতাকল। তারপরও উপজেলার কিছু পরিবার এখনও এই জাঁতাকে গাঁও গেরামের ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছেন। তবে তার ব্যবহার খুব কম। শুধু মাত্র গ্রাম- বাংলার ঐতিহ্য হিসেবেই ধরে রেখেছেন অনেক পরিবার। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলার নিভৃত পল্লী গ্রামে এক বাড়ীতে গিয়ে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য। দেখা যায় ঘরের বারান্দায় বসে এক গৃহবধূ জাঁতাকলে কলাই দিয়ে ডাল তৈরী করছেন। তারা জানান, এক সময় এই জাঁতা দিয়ে নানা প্রকার ডাল তৈরী করা হতো। এখন আর এ সবের ব্যবহার দেখা যায় না। আধুনিকয়তার ছোয়ায় আজ বিলুপ্তির পথে জাঁতা শিল্প। তাছাড়া সময়ের সাথে সাথে মানুষের মনেরও অনেক পরিবর্তন। মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কাজ করতে চায়। আবার পুষ্টির দিকে বিবেচনা করলে জাঁতায় ভাঙা দ্রব্য স্বাস্থ্যসম্মত বটে। তবে যাই হোক, ঐতিহ্যের ধারক জাঁতাকল যে একদিন জাদুঘরে স্থান পাবে সে দিন বেশী দূরে নয়।

তাড়াশে বিস্তির্ণ মাঠে পাটের চাষ 

মোঃ মুন্না হুসাইন : তাড়াশ উপজেলায় চলতি মৌসুমে অনেক কৃষক পাটের চাষ করেছেন, ভাল ফলনের আশা করছেন তারা। সেনালী আঁশ পাটের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়, এক সময়ে বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল ছিল পাট। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার মাঠগুলোতে ব্যাপক ভাবে চাষ হত পাটের। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পাট চাষ বহুলাংশে কমে গেছে মনে করছেন অনেকে। পাট চাষ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে উৎপাদন ও পরিশ্রম বেশি, জাগ দেয়ার (পঁচানো) জায়গার অভাব এবং নায্য মূল্য না পাওয়া। এসব কারণে প্রতি বছর কমছে পাট চাষ। চাষিরা এখন পাটের পরিবর্তে সবজির দিকে ঝুঁকছেন। উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন কৃষকরা পাটের নায্য দাম পেলে এবং পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হলে পাটের সোনালী দিন আবারও ফিরে আসবে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৪০ হেক্টর জমিতে চাষ সম্পন্ন হয়েছে। বোরো ধান উঠার পর বাকিটা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশাখ মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক এলাকার কৃষকরা জমিতে সেচ দিয়ে পাট বপন করেন, সেই সমস্ত পাট এখন অনেক বড় হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার মহেশরৌহালী, হামকুড়িয়া,চরহামকুড়িয়া, বিরলহালী, পংরৌহালী, চাকরৌহালীসহ বেশ কিছু গ্রাম এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ব্যাপক ভাবে পাট চাষ করেছেন। অনেক চাষি জমিতে সেচ দিয়ে আগাম পাট চাষ করেছেন, তাদের পাট বর্তমানে ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে আবার অনেক এলাকার কৃষক বৃষ্টির পরই পাট বপন করেছেন। কৃষকরা পাটের ভাল ফলনের আশায় নিরালস ভাবে জমিতে কাজ করে যাচ্ছেন।উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের চাষি আরমান হোসেন, শরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরে তারা ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এমন এক সময় ছিল কৃষকরা শুধুই পাটের চাষই করতেন। কিন্তু নানা সমস্যার কারনে পাট চাষ অনেক কমে গেছে। আমাদের এলাকাতে পাট জাগ দেয়ার তেমন কোন সমস্যা না হলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমে যাওয়ায় পাট চাষ কমে যায়।পাশাপোল গ্রামের চাষি শিমুল হোসেন বলেন, পাটের আবাদ করার পর বড় সমস্যা হলো পাট জাগ দেয়ার জায়গা না থাকা এবং পুকুর, খাল বা নদে পানি না থাকা। গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম এই সমস্যার কারনে এ বছর ১ বিঘা জমিতে পাট ও ১ বিঘা জমিতে পটলের চাষ করেছি।
কৃষকরা বলেন, গত ৫-৬ বছর ধরে এ এলাকার চাষিরা পাট চাষ কিছুটা বৃদ্ধি করেছেন। বর্তমানে পাটের বাজার দর তুলনা মূলক ভালো থাকার কারনে কৃষক ধীরে ধীরে পাট চাষে ঝুকছেন। এছাড়া পাটখড়ি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, জ্বালানি হিসেবে এখন আর তেমন কদর না থাকলেও মাঠে পটল, উচ্চে, বরবটিসহ নানা ফসলের মাচা করতে পাটখড়ির কদর বেড়েছে।তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলায় পাট চাষের ইতিহাস সুপ্রাচীন। তবে সর্বপ্রথম পৃথিবীর কোথায় কি ভাবে পাটের উৎপত্তি ও পাট চাষের প্রচলন শুরু হয় এবং বাংলা তথা ভারতবর্ষে প্রথম কিভাবে পাটের আগমন ঘটে তা সঠিকভাবে যানা যায়নি। তবে যতদুর জানা যায় খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর শুরুতে মিশরে পাটের চাষ আরম্ভ হয় এবং সেখানে পাট ’মেলোকিচ’ নামে পরিচিত ছিল। এরপর চীন দেশে পাটের ব্যাপক চাষ শুরু হয়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রশিদ বলেন, তাড়াশে প্রতিটি এলাকায় পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। নানা কারনে কৃষক পাট চাষ না করে সবজিসহ অন্যান্য চাষে ঝুঁকে পড়েন। বর্তমান বাজারদর খুবই ভাল থাকায় কৃষক পাট চাষে ঝুকছেন আমরাও তাদেরকে নানা ভাবে উৎসাহী করছি।

গুরুদাসপুরে আম সংগ্রহ শুরু 

আবুল কালাম আজাদ : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আম (গোপালভোগ) সংগ্রহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আবু নাছের ভুঁইয়া।উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামের মিজানুর রহমানের বাগানে গত শনিবার (২০ মে ) সকাল সাড়ে ৭টায় মৌসুমের প্রথম আম সংগ্রহ উপলক্ষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও আহমেদপুর আম আড়তদার সমিতির সহযোগিতায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবং বাগানের গোপালভোগ আম গাছ থেকে ঝুড়ি দিয়ে নামিয়ে উদ্বোধন করেন নাটোরের জেলাপ্রশাসক মোঃ আবু নাছের ভুঁইয়া।
গুরুদাসপুর ইউএনও শ্রাবনী রায় এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঃ হারুনর রশিদ। এইও মো. মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি আহম্মেদ রফিক বাবন, গুরুদাসপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি দিল মোহাম্মদ, আহমেদপুর আমের আরতদার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুর রউফ সরকার প্রমূখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ এবং এইও মতিয়ার রহমান জানান, উপজেলায় এবারে ২৯২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে।প্রকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম সংগ্রহ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয়মুল্য হিসেবে ধরলে আর্থিক মূল্য দাড়াবে প্রায় ২১ কোটি টাকা।

গুরুদাসপুরে নির্মিত হচ্ছে গোপাট সড়ক 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কিলোমিটার আরসিসি গোপাট সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস প্রধান অতিথি হিসেবে শনিবার সকালে ওই কাজের উদ্ধোধন করেন।পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ণ প্রকল্পের (পানাসি) অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়ণ করছে বিএডিসি সেচ বিভাগ গুরুদাসপুর। উদ্বোধন শেষে এ উপলক্ষ্যে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আব্দুল কুদ্দুস ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন ও বিএডিসি প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মতিয়র রহমান ও এলাকার উপকার ভোগী কৃষকরা।
প্রধান অতিথি বলেন, গ্রামীণ জনপদের কৃষি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গোপাট সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে এই এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলাদি সহজে আনা নেওয়া করতে পারবেন। এই সড়ক ছাড়াও পানাসি প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলাজুড়ে ১৩ কিলোমিটার আরসিসি গোপাট সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD