স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য নির্মিত তাড়াশ উপজেলা সদর ডাকঘর যেন একটি বড় মুরগীর খোপ। এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এর নির্মাণের গোড়াতেই গলদ ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের যথাযথ দৃষ্টি দানের অভাবে উপজেলা পর্যায়ে একটি সুপরিসর ডাকঘর নির্মাণের পরিবর্তে মুরগীর খোয়ারের মতো একটি ছোট, সংকীর্ণ তথা ক্ষুদ্র পরিসরের ডাকঘর নির্মিত হয়েছে। এটাকে আধুনিক উন্নত মানের ডাকঘর না বলে প্রাচীণ ও সেকেলে ধরনের পোষ্ট অফিস বললে অত্যুক্তি হবে না। উক্ত ডাকঘরের বর্তমান জনবল ও কর্মকান্ডের তুলনায় নব নির্মিত ভবনটির আয়তন নেহায়েতই অপর্যাপ্ত। তাছাড়া উপজেলা সদরে অবস্থানের কারণে এই পোষ্ট অফিসে প্রতিদিন আগত জনমানুষের যে ভিড় হবে তাতে পুরো অফিস চলাকালে ঘরের ভেতরে দাঁড়ানোর স্থান সংকুলানও হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটির মূল পরিকল্পনাতেই ত্রুটি ছিল। নির্মাণ শুরুকালে এই স্থাপনার মানহীন কাজকর্ম ও পূর্বের বড় অফিস ঘরের স্থলে ছোট আকারের বিল্ডিং করার যৌক্তিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ ব্যাপারে এই চলনবিল বার্তায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো টনক নড়ে নি। তাড়াশের নাগরিক সমাজকেও কোন প্রকার অভিযোগ-আপত্তি তুলতে দেখা গেল না। উল্লেখ্য, তাড়াশ পোষ্ট অফিসের নিজস্ব জায়গাটি বেশ প্রশস্ত এবং আগের ভবনটি বর্তমানের চেয়ে অনেক বড় ছিল। তাহলে বিগত ভবনের পরিমাপেও না করে মুরগীর খোপের ন্যায় অপরিসর ও ক্ষুদ্রায়তনের নতুন ভবন তৈরীর যুক্তি কী। একটি আধুনিক উপজেলা ও পৌরসভা সদরে উল্লেখিত ডাকঘরটি বড়ই বেমানান, জন চাহিদার অপেক্ষা অপ্রতুল এবং যুগ অনুপযোগী তা বলাই বাহুল্য। মনে হয় এ নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।