মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শিক্ষক পুত্র অন্তর(১৭) কর্তৃক হিজড়াকে বিয়ে করার দীর্ঘ সময় পর পারিবারিক চাপের মুখে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা পুর্বক তালাক দেওয়া হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়াগেছে।এদিকে হিজড়াকে বিয়ে ও পরবর্তী তালাক দেওয়ার ঘটনাটি এযাবতকাল চাপা থাকলেও তা এখন জনসম্মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে জনসম্মুখে ছড়িয়ে পড়া এঘটনাটি অতিগোপনীয়ভাবে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি সহ কতিপয় মাতব্বররা প্রায় ১৫দিন আগে সিরাজগঞ্জ রোডের পুর্ব-দক্ষিণ পাশে অবস্থিত দাদনপুর প্রিয় নীড়ে বসে সামাজিক শালিসের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা পুর্বক নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তালাক দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের সুত্রধরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের দাদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এরফান আলীর পুত্র সাহেবগঞ্জ জিআর কলেজ এর একাদশ শ্রেনির ছাত্র অন্তর (১৮) বগুড়ার জেলার শেরপুরের ছোনকা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার ও বর্তমান সিরাজগঞ্জ রোডের প্রিয় নীড়ের বাসিন্দা তৃতীয় লিঙ্গের ফুলজান (১৭) এর সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে দীর্ঘ সময় মনদেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে শিক্ষকপুত্র অন্তর ওই হিজড়াকে ২ লক্ষ টাকা কাবিনমুলে বিয়ে করে। এদিকে বিয়ের পর থেকে অন্তর তৃতীয় লিঙ্গের ফুলজান এর কাছে বিভিন্ন সময়ে সুকৌশলে ৩ লক্ষ টাকা ও সোনা গহনা হাতিয়ে নেয়। ৩ লক্ষ টাকা ও সোনা গহনার হাতিয়ে নেওয়ার পর অন্তর তার স্ত্রী ফুলজান এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে নিরুপায় হয়ে ফুলজান হাটিকুমরুলের দাদনপুরে এসে এরফান মাষ্টারের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করে এবং বিয়ের ঘটনাটি জনসম্মুখে প্রকাশ করে।পরবর্তীতে এরফান মাস্টারের পরিবারের সদস্যসহ উভয়ের মনোনিত মাতব্বতরা সম্প্রতি প্রিয় নীড়ে বসে ফুলজানের হাতে ৭০ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে এরফান মাস্টারের পছন্দের কাজী এনে সেই কাজীর মাধ্যমে তালাক করা হয়েছে।এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এরফান মাষ্টারের স্ত্রী দুলালী খাতুন বলেন,বিষয়টি প্রায় ১৫/২০ দিন আগে শালিসের মাধ্যমে ওই হিজড়া ফুলজানকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তালাক প্রদান করা হয়েছে।
|