মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) :
তাড়াশে স্বাধীনতার ৫১বছর পর আজ শুক্রবার পাকহানাদার বাহিনীর ৩জন সদস্যকে কুপিয়ে হত্যাকারী অকুতভয় বীর সৈনিক শহীদ হীরালাল গোস্বামীর ম্যুরাল স্থাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। আজ (১৯ আগস্ট) শুক্রবার সকালে তার ম্যুরালের ফলক উন্মোচন করবেন।
ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ রায়গঞ্জ তাড়াশ ও সলঙ্গা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি।এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা,সংসদের বীর সন্তান রা, উপজেলা প্রশাসন ইউ এন ও মেজবাউল করিম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আঃ সামাদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক বাবু সনঞ্জিত কর্মকার, তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম,সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, হীরালাল গোস্বামীর বড় মেয়ে দীপ্তি গোস্বামী ও হীরালাল গোস্বামীর ভাতিজা তপন কুমার গোস্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ম্যুরালটি স্থাপন করে গোস্বামীর পৈতৃক বাড়ির সামনে। মৃত্যু কালে তিনি ২ছেলে ২মেয়ে, ভাতিজাসহ অনেকেই রয়েছেন।
উল্লেখ্য: ১৯৭১ সালে ২০শে মে পাকহানাদার বাহিনী ভোরে গোস্বামী পরিবারের উপর হামলা চালায়। ইতিমধ্যে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অন্যত্র আশ্রয় নেয়। তাড়াশ সদরের যখন নাটকীয় তান্ডব চালিয়েছে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট শুরু করে তখন তাদের তান্ডবে তাড়াশ সদর জনশূন্য হয়ে পরে। পাকিস্তানি পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরচিত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হীরালাল গোস্বামী জীবন বাজি রেখে তার মাটির তৈরি ঘরের চাতালে উপর উঠে হাসুয়া ও মরিচের গুঁড়া নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। পাকবাহিনীর আক্রমন করলে তিনি তাদের উপর মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে। তারা উপরে উঠার সময় হীরালাল গোস্বামী এক পর্যায়ে এঁকে এঁকে ৩জন পাক সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।ওই সময় পাকবাহিনী পিছু হটে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করলে ধোঁয়ায় চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে পরে। এবং ওই সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার পর চেতনা ফিরে এলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার সময় কতিপয় দেশীয় রাজাকার আলবদর তাকে ঘোলচরা নামক স্থান থেকে ধরে এনে পাক বাহিনীর নিকটে সোর্পদ করে। ১৯৭১সাল ২০মে।ওই দিনই তাকে হত্যা করা হয়।এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে হীরালাল গোস্বামীর বড় মেয়ে দীপ্তি গোস্বামী, ও হীরালাল গোস্বামীর ভাতিজা তপন কুমার গোস্বামী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
|