মোঃ ফারুক আহমেদঃ সলঙ্গা(সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা,
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় এবার দেশি পশু দিয়েই কোরবানির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ। চলতি বছর ১৮ হাজার পশুর তুলনায় ২৫ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে, যা ০৭ হাজার বেশি। দেশীয় পশুতে চাহিদা পূরণ হওয়ায় তাছাড়া রাসূল (সাঃ) কে কূটকউক্তি মূলোক বক্তব্যের কারণে এবার ভারত থেকে গরু আনা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রায়গঞ্জের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
রায়গঞ্জের প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো এবারও গবাদিপশুর পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। চলতি বছর ১৮ হাজার পশুর চাহিতার তুলনায় আরো ৭ হাজার হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশু রয়েছে। রায়গঞ্জে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আমিনূল ইসলাম দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য উপজেলার ২২ শতক খামারের তথ্য অনুযায়ী পশুর পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর খামারিদের কাছ থেকে হৃষ্টপুষ্ট পশু আসবে ১৮ হাজারের চেয়ে ২৫ হাজার অর্থাৎ ৭ হাজার বেশি। এর মধ্যে হিস্টপুষ্ট গরু ১৭ হাজার অধিক মহিষ ০৩ হাজার, ভেড়া ০২ হাজার, ছাগল ০৩ হাজার ,মোট ২৫ হাজার। গত বছর অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রয় হয়েছিল।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনূল ইসলাম দৈনিক সংগ্রামকে আরো বলেন, ‘চলত বছর অর্থাৎ এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ২৫ হাজারেরও বেশি, যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। ধারণা করছি গতবারের তুলনায় এবার কোরবানি বেশি হবে। গতবার যেই সিচ্যুয়েশন ছিল তার থেকে কিন্তু আমরা ওভারকাম করেছি। গত বছর অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যেও গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে, এবার হয়তো তার চেয়ে কোরবানির পশু বেশিই হবে। এ বছর যেন কোরবানির পশুর অভাব যেন না হয় সেই প্রস্তুতি কিন্তু আমাদের রয়েছে।
অনলাইনে পশু বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যারা হাটে যেতে চান না, তারা যেন অনলাইন থেকে গবাদিপশু সংগ্রহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমরা আরেকটি বিষয়ে নজর রাখি যেমন অনলাইনে কিনতে গিয়ে কেউ যেন প্রতারিত না হন। কারণ গত বছর এ অভিজ্ঞতাটি সবার জন্যই নতুন ছিল। এবারও চাচ্ছি অনলাইন থেকে পশু কিনে যেনো কেউ প্রতারিত না হন। গরুর মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পশুর দাম কিছুটুক বেশি থাকবে আমি সেভাবে এটি বলতে চাই না।