চলনবিলকে বাঁচাতে আন্দোলনের বিকল্প নাই

Spread the love

 

আবুল কালাম আজাদ

চলনবিল হচ্ছে বাংলাদেশের কিডনি। চলনবিল আজ পানিশুন্য হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। চলনবিলের পানি পদ্মা এবং যমুনাকে লীড করতো আগে। এই চলনবিল রক্ষা আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করে গণআন্দোলনে রুপ দিতে হবে। আন্দোলন একটি ইমোশনাল। আপনি চলনবিলকে ভালোবাসেন, তাই চলনবিল রক্ষা আন্দোলন করছেন,। আপনি নদিকে ভালোবাসেন্ তাই নদি রক্ষা আন্দোলন করছেন। চলনবিল রক্ষা না হলে দেশের জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। পরিবেশ, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয় ঘটবে। অর্থাৎ চলনবিলের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়লে এই অঞ্চলের প্রাণ ,প্রকৃতি ,পরিবেশ ও মানব জীবন নিসন্দেহে বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা টোলপ্লাজা নিকটবর্তী আরডিও পলিট্যাকনিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ২২ জানুয়ারি শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত চলনবিল বিষয়ক সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা) র সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল কথাগুলি বলেন। চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের গুরুত্ব বিষয়ে বক্তব্যে বাপা নেতা শরিফ জামিল বলেন,- চলনবিলের প্রাণ হচ্ছে নদি। নানাভাবে দখল-দূষণে নদিগুলি নাব্যতা হারিয়ে চলনবিলের পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই নদিকে আমরা বাধগ্রস্থ করেছি উপর থেকে। ড্রেজিংয়ের নামে প্রশস্ত নদিকে সংকুচিত করে সরু ও সংকীর্ণ খালে পরিনত করেছে। দখলদারদের সুবিধা করে দিয়েছ। চলনবিলের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতেই আন্দোলন করতে হবে। আপনাদের সাথে জনগন থাকবে। চলনবিল সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে, জনগনকে জানাতে হবে, গণ আন্দোলনে রুপ দিতে হবে।

চলনবিল এবং নদি রক্ষা আন্দোলন বাস্তবায়নে ও পরিকল্পনা গ্রহণে দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন-আন্দোলন কার্যকরি করতে এখনই সমন্বয় কমিতি গঠন করতে হবে। অঞ্চল ভিত্তিক এক্সেঞ্জ সভা করতে হবে। স্থানিয় ইস্যু টার্গেট করে আন্দোলন করতে হবে।চলনবিলকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে।মৎস্য সম্পদ, শামুক, পাখি ও জলজ সম্পদসহ চলনবিলের প্রতিটা ইস্যু নিয়ে গবেষণা করতে হবে এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।আন্দোলন সফল করতে হলে আন্দোলনের স্বপক্ষের নেতাকে খুঁজে নিতে হবে। আন্দোলনে লেগে থাকতে হবে।জয় আমাদের সুনিশ্চিত।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও চলনবিল রক্ষা আন্দোলন এর আয়োজনে চলনবিল রক্ষা আন্দোলন জাতীয় কমিটির সদস্য আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চলনবিল বিষয়ক সাংগঠনিক সভায় “ চলনবিলের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় “শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান। মুল প্রবন্ধে চলনবিল রক্ষায় “ চলনবিল কর্তৃপক্ষ” গঠন এবং ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রস্তাব করা হয়।সাংগঠনিক সভায় চলনবিল এলাকাধীন নাটোর, রাজশাহি, নওগাঁ, পাবনা,সিরাজগঞ্জ,বগুড়া এবং পাহাড়ি অঞ্চল সিলেটসহ ৭ জেলার ১৬ উপজেলা থেকে অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

মুক্ত আলোচনায় রাজশাহি চারঘাট উপজেলার আবুল কালাম আজাদ বলেন,বড়ালের মুখে স্লুইসগেটের কারণে পদ্মার পানি না আসায় কার্তিক মাসের আগেই নদি শুকিয়ে যায়। বাঘা উপজেলার ফজর আলী বলেন- চলনবিল রক্ষা করতে হলে সবার আগে বড়ালের মুখে চারঘাটের অপ্রশস্ত স্লুইসগেটসহ আটঘরি বড়াল ও নন্দকুঁজার স্লুইসগেট অপসারন করতে হবে। প্রশস্ত ব্রীজ নির্মাণ করতে হবে।ড্রেজিং করে বড়ালসহ চলনবিলের সকল নদির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের বড়ালে এখন পানি দরকার। বাগাতিপাড়া উপজেলার আব্দুল করিম বলেন-মুসাখাঁর অববাহিকাই নারোদ নদ। আমরা চলনবিল রক্ষা করতে চাই। তাহলে আগে চারঘাটের স্লুইসগেট অপসারন করতে হবে।

বড়াইগ্রাম উপজেলার অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, বড়াল আমাদের সাঁতার শিখিয়েছে। মাছ ধরতে শিখিয়েছে। এই বড়ালকে রক্ষায় আমরা জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারি নাই। চলনবিল এবং বড়াল রক্ষা আন্দোলনে প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।চাটমোহর উপজেলার কে এম বেলাল হোসেন বলেন- চলনবিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিল। চলনবিলের ৫০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম উপায়স্থল এই বিলের মাঝে অবস্থিত। । পদ্মা-যমুনা চলনবিলের প্রবাহে পানির বড় উতস। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত পুকুর খননের মহামারি, রাবারড্যাম, স্লুইসগেট, ব্রীজ, কাল্ভার্ট, বাঁধ,সড়ক নির্মাণ করে চলনবিলকে খন্ড-বিখন্ডিত করা হয়েছে, হচ্ছে।চলনবিল পানিশুন্য হওয়ায় ভূ-উপরিস্থ পানির অভাবে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বেড়েছে। ফলে জলবায়ূর পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব ঘটছে। চলনবিলকে রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট ২৬টি নদি এবং শতাধিক খাল-জলা উদ্ধার করে ড্রেজিং করতে হবে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার গুলশান আরা লিপি বলেন- নদি রক্ষা করতে হবে। চলনবিলকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের আন্দোলন করতে হবে। লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।ফরিদপুর উপজেলার আব্দুল হাই বলেন- চলনবিলের প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। চলনবিলের জীববৈচিত্রসহ দখল-দুষনে ২৬টি নদি আজ ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। চলনবিলের পানিশুন্যতার কারণে টিউবওয়েলে পানি পাচ্ছে না। ৬ জেলার ৫০ লাখ মানুষ পানির অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চলনবিলের নদ নদির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ৫০ লাখ মানুষকেই চলনবিলের বিরুপ প্রতক্রিয়া সম্পর্কে জানতে, জানতে হবে।আন্দোলনে জনমানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

উল্লাপাড়া উপ[জেলার এ আর জাহাঙ্গির বলেন-চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের প্রতিটি উপজেলায় কমিটি থাকতে হবে। উন্নয়নের নামে চলনবিলের বুক চিরে অপরিকল্পিত অপ্রয়োজনিয় রাস্তা ,ব্রীজ, কালভার্ট, স্লুইসগেট নির্মাণ করায় চলনবিলকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিটি এলাকায় কমিটি গঠন করতে হবে।চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্যে চলনবিল অঞ্চলে একটি অফিস করা প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।বগুড়া জেলা বাপা সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন-চলনবিল রক্ষা আন্দোলন বেগবান করতে নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিক কমিটি করা দরকার। এ জন্য সকল লোকের কছে যেতে হবে।জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।ক্ষমতাসীনদের আর্থিক লুটপাটের সুবিধা নিতে চলনবিলের অনেক উন্নয়ন হয়েছ।তারা চলনবিলের ভবিষ্যত ধ্বংস করেছে। চলনবিলকে নিয়ে গবেষণা করা দরকার।

পুঠিয়া উপজেলার গয়েস উদ্দিন বলেন-চলনবিল ধ্বংসের প্রধান কারণ ফারাক্কা বাঁধ এবং চারঘাটের স্লুইসগেট। চারঘাটের স্লুইসগেট অপসারন করতে হবে।আন্দোলনকে জোরদার করতে জনগনকে সম্পৃক্ত করতে হবে। শ্লোগান তুলতে হবে “চারঘাটের স্লুইসগেট অপসারন করো, চলনবিল রক্ষা করো”। রায়গঞ্জ উপজেলার দীপক কুমার কর বলেন- এখানে উপস্থাপিত মুল প্রবন্ধে চলনবিল রক্ষায় যে সুপারিশ করা হয়েছে তার কোন বিকল্প নাই।কমিটিতে নারী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সদস্য থাকা দরকার।ফুলজোড় ও বাঙ্গালি নদি দখল-দুষনে নাব্যতা হারিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। দখল-দুষন রোধ করতে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের একটি নিজস্ব মুখপত্র থাকা দরকার।খাস জলাশয় লিজ দেওয়া হয়।সেইসব জলাশয় লিজের শর্ত ভঙ্গ করে ভরাট করা হচ্ছে। জলাশয় লিজ বন্ধ করতে হবে।চলনবিল রক্ষা করতে চারঘাটের স্লুইসগেট অপসারন করে বড়াল নদিকে সচল করতে হবে।

তাড়াশ উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন- চলনবিলের কৃষি,পরিবেশ, জীববৈচিত্র, মাছ-পাখি, সংস্কৃতি ও জলবায়ু নিয়ে যেসব বই আছে তা থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা দরকার। শুধু বক্তৃতা বিবৃতির সময় নাই। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।চলনবিল রক্ষা ইস্যু, রাজনৈতিকি ইস্যু, নদি ইস্যু । স্থানভেদে কোন কোন ইস্যু স্থানীয় ভিত্তিক প্রভাবিত করছে। সেই ইস্যুগুলি চিহ্নিত করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করলে আন্দোলন সহজ হবে।সমস্যাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।চলনবিলের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চলনবিল রক্ষায় করনীয় নিয়ে প্রচার প্রচারনায় সক্রিয় হতে হবে।চলনবিলের অতীত বর্তমান ও ভাবিষ্যিত নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে।সরকার হাওর-বাওর, বরেন্দ্র-উপকুল নিয়ে নজর দিয়েছে; কিন্তু চলনবিল রক্ষায় কোন নজর নাই। চলনবিল আজ ধ্বংসের শেষ কিনারে ।চলনবিল রক্ষায় জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এটাকে জাতীয়ভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে।

গুরুদাসপুর উপজেলার এম এম আলী আককাছ বলেন-চলনবিলের উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হচ্ছে। বড়াল,গুমানি ,আত্রাই নদি ড্রেজিংয়ের নামে নদিকে সরু খালে পরিনত করা হয়েছে।চলনবিল এবং এ অঞ্চলের নদিতে পানি না থাকায় মতস্যজীবিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চলনবিল এবং নদি রক্ষায় আন্দোলন জোরদার করতে হবে।আত্রাই উপজেলার ফরিদুল আলম পিন্টু বলেন-চলনবিল প্রকল্প ছিল আত্রাইবাসির জন্য অভিশাপ।আত্রাই নদির উপর সাহেবগঞ্জের এক গেটের স্লুইসগেট নির্মাণ করে আত্রাইকে ধ্বংস করেছে। মতস্যজীবিদের ওপর প্রভাব পরেছে। এই গেট অপসারন করতে হবে।নাগর নদিতে বাঁধ নির্মাণ করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্যায় প্রায় বছর বাঁধ ভেঙ্গে এলাকাবাসি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ।এই বাঁধ অপসারন করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ চলমান রাখতে হবে।

সিংড়া উপজেলার ডেইজী আহমেদ বলেন-চলনবিল আগের চলনবিল নাই। মতস্যজীবিরা মাছ শিকার করতে পারছে না।চলনবিল রক্ষায় স্থানীয়ভাবে কমিটি করা দরকার।স্থানীয় ইস্যু নিয়ে কাজ বাস্তবায়নে সুবিধা হবে।পাবনার আব্দুল হামিদ খান বলেন-পাবনার ইছামতি নিয়ে দুই দশক ধরে লাগাতার আন্দোলনের ফলে সামান্য সফলতা এসেছে। ইছামতি নদির বুকে ১০তলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দখল করে আছে । প্রভাবশালী হওয়ায় উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্ছেদ বন্ধ রেখেছে। ইছামতি সচল করতে সুবিধাবাদিরা বাধা দিচ্ছে। নানাভাবে ভয়ভিতি দেখাচ্ছে আন্দোলন থেকে সরে আসতে।ইছামতি উদ্ধার বন্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছে। আমরাও হাইকোর্টে লড়ছি ।

নওগাঁর রানিনগর উপজেলার সাইফুল ইসলাম বলেন- আমরা সবাইকে নিয়ে চলনবিল রক্ষা আন্দোল করবো। আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তিই হচ্ছে সরকারের আমলা আর রাজনৈতিক নেতারা।বড়াইগ্রাম উপজেলার ডিএম আলম বলেন – চলনবিলের উন্নয়নে ডেল্টা প্লানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কী পরিকল্পনা করা হয়েছে তা আমরা জানিনা।এই পরিকল্পনা চলনবিলকে রক্ষা করবে , নাকি চলনবিলকে ধ্বংস করবে তা জনসম্মুখে আনা দরকার। ডেল্টা প্লান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে চলনবিল আন্দোলন কমিটির অংশগ্রহণ থাকা দরকার। চলনবিল আন্দোলনকে চলমান রাখতে হবে, থেমে গেলে চলবে না।

সিলেটের তোফাজ্জল হোসেন সোহেল এবং আব্দুল করিম কিং চলনবিল আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন-আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে আন্দোলন করি।আন্দোলনকে বেগবান করতে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।আপনারা চলনবিলের ১৬ উপজেলার সমমনা নেতৃবৃন্দ আজ একত্রিত হয়েছেন । আপনাদের সফলতা আসবেই। চলনবিল আন্দোলনের সফলতা থেকে সিলেটের হাওর আন্দোলনের সফলতা আসবে বলে আমরা মনে করি। দিনব্যাপি মুক্ত আলোচনা শেষে চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান সামারাইজ করা বক্তব্যে বলেন, চলনবিল এবং নদি রক্ষায় ধারাবাহিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। চলনবিল রক্ষায় স্থানিয় ইস্যু নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকারের দ্বারে শক্তভাবে আঘাত হানতে হবে।

আরডিও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানে চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপুর্ণ সাংগঠনিক সভা করায় কৃতজ্ঞতা পকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন।চলনবিল রক্ষা আন্দোলন গুরুদাসপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনুর সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে আফজাল হোসেন বলেন-উন্নয়নের নামে বিকল্প ভাবাটা বেঠিক। আমরা যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি তাদের সব ভাবনা ভাবতে হবে। আন্দোলনে যত বেশী জনসম্পৃক্ততা করা যাবে ততই জনসমর্থন আসবে। আন্দোলনে সফলতা আসবে।

আবুল কালাম আজাদ, সভাপতি, চলনবিল প্রেসক্লাব, গুরুদাসপুর,নাটোর # ০১৭২৪ ০৮৪৯৭৩

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD