ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাকালে অসুস্থ্য প্রসূতি মাতা ও শিশু চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যা প্রশংসা পচ্ছে। এ কাজে নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হালিমা খানমসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জড়িত অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সবৃন্দ।
ডাঃ মোছাঃ হালিমা খানম এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৭ সালে টিএইচএ হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তিনি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউট ডোরে প্রতিদিন শতাধিক অসুস্থ প্রসূতি , মহিলা ও শিশু রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। সদা হাস্যোজ্বল এই ডাক্তার সকল শ্রেণির মহিলাদের নিকট ‘হালিমা আপা’ নামেই বেশী তিনি বেশী পরিচিত।
জানা গেছে, মোছাঃ হালিমা খানম ২০০৩ সালের রংপুর মেডিকেল কালেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাশ করেন। ২৭তম বিসিএস(স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে অক্টোবর মাসে তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণের পর ৩১ শয্যার হাসপাতালের জনবল নিয়েই ৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্য্যক্রম শুরু করেন। এ কাজে ৩১ শয্যার জনবল নিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে প্রথমে কিছুটা সমস্যা হলেও বর্তমানে অনেকটাই সফলতা অর্জন করতে পেয়েছে। করোনা ভাইরাস টেস্টের নমুনা সংগ্রহ ও ফলাফল প্রদান যথারীতি নিয়মে চলছে। নিয়মিতভাবে চিকিৎসকরা আউটডোরে অসুস্থ্য প্রসূতি মা ও শিশুসহ বিভিন্ন ধরণের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে প্রতিদিন (অফিস চলাকালে) সকাল থেকে দুপুর অবধি শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
সূত্র জানান, করোনা কালেও তারা এই চিকিৎসা সেবা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও জোরদার করেছেন। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী বান্ধব হাসপাতালে পরিনত করেছেন। প্রতিমাসে এই হাসপাতালে অন্তত ৬০ টির অধিক নরমাল ডেলিভারী করোনো হয় এবং রোগী কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় তাদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শতভাগ টিকা কার্যাক্রমের আওতায় এনেছেন। হাসপাতালের ফুলের বাগান তৈরি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, বৃক্ষরোপন ,আইসোলেশন কর্ণার স্থাপন সম্পন্ন করেছেন।
অপরদিকে পাবনা-৩(চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরি
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হালিমা খানম বলেন, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. বাকী বিল্লাহ, পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল ও ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান মহোদয়সহ সকলেই হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি রেখেছেন। মূলত সে কারণেই এই হাসপাতলটিকে নারী ও শিশুবান্ধব হাসপাতালে পরিণত করা সহজ হয়েছে।