ডাঃ আমজাদ হোসেন উল্লাপাড়া প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের ‘অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমান মিলেছে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে । জানা গেছে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচির আওতায় গৃহিত প্রকল্পে হাজিরায় গড়মিল দেখা দিয়েছে। কাজ না করে টাকা হাতিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সদস্য ও চেয়ারম্যানের শ্রমিক হাজিরা খাতায় ভূয়া হাজিরা করছেন। ফলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই ভেস্তে যেতে বসেছে। জানা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতায় বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে কর্মসূচি প্রকল্পের জন্য ৩৩৪ জন উপকারভোগী শ্রমিকের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রতিদিন প্রকল্পে কমপক্ষে ২১১ জন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকছেন। প্রতিদিন প্রতি শ্রমিকের ২শত টাকা করে মুজুরি ধরা থাকলে ২১১ জনের প্রতিদিন ৪২ হাজার ২ শত টাকা ফাঁকি দিয়ে ওই অর্থ হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটন।
প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গত ২১ এপ্রিল গিয়ে দেখা গেছে, হাজিরা খাতায় শ্রমিকের গড়মিল। উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের
চক খাদুলি হতে সৈয়দপুর পর্যন্ত তিন গ্রুপে ১৯০ জন শ্রমিকের স্থলে কাজ করছেন ৬০ জন এবং করম আলীর বাড়ির পাশে কাজ করছে ১০ জন। হাওড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে আফা প্রারামানিকের বাড়ি পর্যন্ত ৫০ জন শ্রমিকের স্থলে কাজ করছেন ৩০ জন। হাওড়া রব্বানের বাড়ি হইতে এমারতের বাড়ি পর্যন্ত ৪৫ জন শ্রমিকের স্থলে কাজ করছেন ২০ জন। নরসিংহ পাড়া মরাবিল হতে বেলায়েত হাজির জমি হইতে নরসিংহপাড়া শাহিনের জমি পর্যন্ত ৪৯ জন শ্রমিকের স্থলে কাজ করছেন ২৩ জন। এছারাও উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পে একই পদ্ধতিতে হাজিরা খাতায় প্রকল্পে অনুপস্থিত শ্রমিকদের উপস্থিত দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বড়পাঙ্গাসী মাদ্রাসা মোরে সরকারী রাস্তার ১১ টি ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে হুমায়ন কবির লিটন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তার প্রতি এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজের কিছু অনিয়মের কথা শুনেছি এবং কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তদন্তে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এবিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন,প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে কর্মসূচির কাজে লোকজন কম থাকায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবং সকল প্রকার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে