এম এ মাজিদ:চলনবিল তথা সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা ম ম আমজাদ হোসেন মিলন। তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ ও একজন সফল জনপ্রতিনিধি। অত্র অঞ্চলের দলমত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের আস্থা ও ভালোভাসার এক নাম ছিল আমজাদ হোসেন মিলন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমজাদ হোসেন মিলন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় উত্তর বঙ্গের নওঁগায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত পলাশ ডাঙ্গা যুব-শিবিরের সহ-সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিয়য়ক সম্পাদক ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নব নির্বাচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।আমজাদ হোসেন মিলন একাধিকবার ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একাদশ সংসদের উপনির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ রায়গঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত রোববার সকাল সাড়ে এগারটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি ।
রোববার বাদ আসর তাড়াশ কেন্দ্রীয় ইদগাহ মাঠে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজাবাউল করিম। পরে এখানেই প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইদগাহ মাঠে স্থান সংকুলান না হয়ে বিভিন্ন অলিগলিতে দাড়িয়েন যান মুসুল্লিরা। জানাযায় আগত বৃদ্ধ মো: আমির হোসেন বলেন, আমার দেখা তাড়াশের সর্ববৃহত মুসুল্লির অংশগ্রহণে এই জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় মরহুমের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি স ম আফসার আলীসহ বিভিন্ন রাজানীতি ও শ্রেণি পেশার মানুষ। বাদ মাগরিব মরহুমের গ্রামের বাড়ি মাগুড়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল আজিজের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধান মুন্ত্রী শেখ হাসিনা , সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মুন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।