তাড়াশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ঘোল !! হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

Spread the love

তাড়াশ থেকে,এম এ মাজিদ:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া লেবেল লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সনাতন পদ্ধতিতে ঘোল তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মাধাইনগর গ্রামে লিটন ও রাব্বি নামে দুই যুবক নাম সর্বস্ব ‘আমার দই ও সাইফুল ফুড’ নামে দুটি ফুড কোম্পানি দেখিয়ে প্রতিদিন হাজারো লিটার ঘোল তেরি করে বাজারজাত করছে। রমজান মাসে ঘোলের চাহিদা বেশি। তাই জনস্বাস্থ্য’র কথা বিবেচনা না করে যেনতেন ভাবে সর্ম্পন সনাতন পদ্ধতিতে ঘোল তৈরী করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আকতার দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, যে কোনো খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট ও বোতলজাত করতে হলে বিএসটিআই অনুমোদন বাধ্যতামূলক। নয়তো এমন অবৈধ পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সরেজমিনে সোমবার দুপুরে দেখা গেছে, লিটনের বাড়িতে তিন কড়াইতে দুধ জ্বাল দেওয়া হচ্ছে ঘোল তৈরির জন্য। সেই জাল করা দুধের মধ্যে পরে আছে মশা , মাছি ও ময়লা। পাশেই একটি ঘরে গাদাগাদি বসে হাতের স্পর্শে বোতলে ঘোল ভরছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ কাজে তারা হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করছেননা। রাব্বির বাড়িতে দেখা গেছে, ৪টি ছসমেনে ঘোল রাখা হয়েছে। ঘোলের মধ্যে মাছি ও ময়লা পড়ে আছে। ছসমেনের সেই ঘোল ময়লাযুক্ত কাপর দিয়ে ছেঁকে বোতলে ভরছেন তার মা ও বোন।
লিটন ও রাব্বি’র দাবি, তারা স্বাস্থ্যকর পরিবেশেই ঘোল তৈরি করে তা বিক্রি করছেন। কিন্তু দুজনেই স্বীকার করেন, বিএসটিআই অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাজপত্রের কোনটাই তাদের নেই।সোমবার বিকেলে তাড়াশ বাজার, বিনসাড়া হাট, বস্তুল বাজার, মাধাইনগর বাজার ও কাটাগাড়ি বাজারের কয়েকটি খাবার হোটেল ও ফলের দোকানে লিটন ও রাব্বির তৈরি করা ঘোল বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাদের ঘোলের বোতলে বিএসটিআই অনুমোদনের লেবেল লাগানো রয়েছে।
উজ্জল ও কাজল নামে দুইজন ক্রেতা বলেন, সব কোম্পানির ঘোল দেখতে এক রঙের। বোতলগুলো একই রকমের। স্বাদে কিঞ্চিত কম-বেশি হলেও সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির সময় তা খেতে বিবেচনায় থাকেনা।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া শোভন সতর্ক করেছেন, এ ধরনের ঘোল খেয়ে বিশেষ করে ইফতারিতে খেলে ফুড পয়জনিং থেকে ষ্টং ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। যার দরুন ডায়রিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তির মুত্যুও হতে পারে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্হী মাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD