ভাঙ্গুড়ায় অবাধে চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন 

Spread the love
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ 
সরকারি নির্দেশ থাকলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কিছুতেই থামছে না ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। খননকৃত জমির মালিকের দাবি, ধানের চেয়ে পুকুরে মাছ চাষে অধিক লাভ এবং অতিরিক্ত মাটির দাম পাওয়ায় পুকুর খনন করছেন তারা। এতে একের পর এক ফসলি জমিতে পুকুর খনন হচ্ছে। এ কারণে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের শিংগাড়ি গ্রামে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন আব্দুর রহিম নামের এক প্রভাবশালী।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম লামকান মৌজার শিংগাড়ি গ্রামে তার প্রায় সাত বিঘা ফসলি জমিতে ২৫/৩০ জন দিনমুজুর দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। সেখানে মাটি বহন করছে ৮ /১০ টি ইঞ্জিনচালিত টলি গাড়ি। মাটি বহনকৃত গাড়িগুলো হানিফ বাবলুর (B.E.L) ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে মাটিগুলো বিক্রি করছে। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শত টাকা দরে। পথচারি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,মাটি বহনকারি গাড়ির দাপটে প্রধান প্রধান রাস্তাসহ জনচলাচলের অন্যান্য রাস্তাগুলোর চরম ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধুলাবালিতে পথচলাচলকারি জনসাধারণের বেড়েছে শ্বাসকষ্ট। 
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নদী-নালা খাল-বিল বাদে প্রায় ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। ফসলি জমিতে পুকুর খননের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খননকারী আব্দুর রহিম বলেন,লিখিত কোন অনুমতি দেয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই পুকুর খনন করছি। ভাটা মালিক হানিফ বাবলু বলেন,মাটি কাটার সরদারের কাছ থেকে হাজার হিসাবে মাটি কিনেছি। তিনি আরও বলেন,সরদার কোথায় থেকে মাটি এনে দিচ্ছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে এসিল্যান্ডকে ব্যবস্থা নিতে বলছি। কোন ভাবেই ফসলি জমিতে পুকুর খননের অনুমতি ইউএনও দিতে পারে না বলে জানান তিনি 

munnamaxin4 munnamaxin4@gmail.com

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD