তাড়াশ থেকে,এম এ মাজিদ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো ধানের ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে মরে যাচ্ছে মাঠের কাচা ও পাকা ধান। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বালাই নাশক প্রয়োগ করেও কোনও প্রকার প্রতিকার পাচ্ছেন না কৃষকরা। তারপরও তারা ফসল রক্ষা করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, বোরো ক্ষেতে দ্রত কারেন্ট পোকার আক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় মাঠের পর মাঠের ধানের পাতা ও শীষ মরে যাচ্ছে। পচন ধরছে গাছের গোড়ায়। ফলে দানা শুন্য হয়ে চিটায় পরিনত হচ্ছে ধান গাছ ।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ২২ হাজার ৬’শ ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ৩’শ ১৫ হেক্টর। লক্ষ মাত্রার চেয়ে ৩’শ ৪৫ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, কারেন্ট পোকার আক্রমণে রাতারাতি মরে যাচ্ছে ধানের পাতা। ধানের গোড়ায় পচন ধরে শীষ মরে যাচ্ছে। একটি জমির ধানে এ পোকার আক্রমণ দেখা দিলে পাশের জমির ধানে ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রত। হঠাৎ ফসলের এমন অবস্থা হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, কারেন্ট পোকার আক্রামনে মরে যাচ্ছে মাঠের পর মাঠ ধান ক্ষেত।
উপজেলার বিনসাড়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে হঠাৎ ধানের পাতা মরতে শুর করে। এরপর গোড়ায় পচন ধরে মরতে থাকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বালাই নাশক প্রয়োগ করেও কোনও প্রতিকার পাইনি। এ রোগ দেখা দেওয়ায় অধিকাংশ ধানের শীষ দানাশূন্য হয়ে পড়েছে।তাড়াশ গ্রামের কৃষক মো: শামিম হোসেন বলেন, ধান গাছ ভাল দেখাচ্ছিল। বাম্পার ফলনের আশা করছিলাম। কিন্ত সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কারেন্ট পোকা। হটাৎ করেই গত কয়েক দিন ধরে কারেন্ট পোকার আক্রমনে ধানের পাতা মরে যাচ্ছে এবং গোড়ায় পচন ধরছে। এতে ধানের দানা নষ্ট হয়ে চিটায় পরিনত হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, দীর্ঘ দিন বৃষ্টিপাত নেই। অতি খড়ায় তাপদাহের ফলে ধানে এপোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য সব ধরণের সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে। এবং এবিয়য়ে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে সচেনতা সৃষ্টির লক্ষে লিফলেট বিতরণ ও ইমামদের মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।