আবদুর রাজ্জাক রাজু
এখান থেকে আমার বিদায় ক্ষণটা
কেমন হবে – কীভাবে হবে জানি না !
ওপারে সুন্দর স্বাগতম অভিনন্দন অপেক্ষা করছে
না লাঞ্ছনা গঞ্জনা আর ভৎর্সনাপূর্ণ অভ্যর্থনা
সসম্মান সালাম আর মর্যাদাসহ অভিভাবদন
জ্ঞাপিত হবে – না তপ্ত পাত্রের ফুটন্ত পানীয়
দিয়ে সাদর সম্ভাষণ জানানো হবে তা অজানা
তাই আমার বিদায় পর্ব কীভাবে হবে
কেমনটা হবে জানি না !
আমার বিদায় যদি হয় তাঁর বিদগ্ধ স্মরণে
শান্তি স্বস্তি আর সমাদরে চলে যাওয়া
এমন যে কোন অপবাদ আর অপদস্থের ভয় নেই
কোন ধিকৃত আর নিন্দিত হওয়ার শংকা নেই
কোনরূপ দু:খ, কষ্ট এবং দহন যন্ত্রনার আশঙ্কা নেই
কেমন ভাগ্যলিপি প্রতীক্ষা করছে আমার
বিদায় বেলা নিশ্চিত জানা নেই – জানি না !
কেননা আমার বিদায় লগ্নে আড়ম্বর অথবা
অনাড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন হবে আমার কর্মকীর্তির
আলোকে আমল আকীদার ফলাফলের ভিত্তিতে
আমি যা অগ্রে পাঠিয়েছি সেটাই আমার
বিদায়ের উপহার – উপঢৌকন- আপ্যায়ন
সে বিদায় মঞ্চ তৈরী হবে পুস্প সজ্জিত মসৃণ বিছানায়
না অবর্ণনীয় লোমহর্ষক কন্টকাকীর্ণ শয্যা দিয়ে
সে মর্মান্তিক বিদায়ের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত
তা কারো পক্ষেই বলা সম্ভব নয় , জানাও অসম্ভব ।
আমার বিদায় উপলক্ষে যত বড়ই জমায়েত হোক
যত কেন দোয়ার বারিধারা বর্ষিত হোক না কেন
তা দিয়ে আমার পরিণাম পাল্টে দেবার ভরসা কম
আমার নিজস্ব অর্জনই আমার পাথেয় বলে গন্য হবে
তাই আমার বিদায় বেলাটা কেমন হবে
কীভাবে হবে আদৌ জানি না – আমি জানি না !