গোলাম মোস্তফা
তালগাছ আর বাবুই পাখির বাসা এ যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। একটা সময় ছিল যখন অধিকাংশ উচু তালগাছ ও ক্ষেত্র বিশেষে খেজুর গাছ, নারকেল গাছের পাতার সঙ্গে বাবুই পাখির বাসা দেখা যেত। কিন্তু কালের আবর্তনে আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে তালগাছ। যে কারণে আগের মত আর চোখে পড়েনা বাবুই পাখি ও তার শৈল্পিক বাসা।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফার বাড়ির উঠানের একটি তালগাছে বাবুই পাখির দুটি দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা গেছে। গোলাম মোস্তফা বলেন, আগে তাদের গ্রামের গোরস্থানসহ প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে তালগাছ ছিল। তখন গাছে গাছে অনেক বাবুই পাখি বাসা বেধে থাকত। কিন্তু এখন পুরো গ্রামে আট থেকে দশটির বেশি তালগাছ নেই। বাবুই পাখিও আর বাসা বাধে না। তিনি আরো বলেন, এখন এ উপজেলাতে অন্য কোথাও বাবুই পাখির বাসার দেখা মেলা ভার।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, বাবুই পাখি টিকিয়ে রাখতে বেশি করে তালগাছ রোপন করতে হবে।