মোঃ মুন্না হুসাইন : চলতি মৌসুমে ফসলি জমির মাঠগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে ইরি-বোরো ধান। ধানের সবুজ রঙে ভরে উঠেছে তাড়াশ সিরাজগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। গত মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবার কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষক কৃষাণীরা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। তার মধ্যে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৩০৫ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ সঠিক সময়ে চারা লাগানো থেকে শুরু করে সেঁচ দেয়া ও সার সংকট না থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত হলে ধানের রোগ-বালাই অনেকটাই কমে যাবে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলায় স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করায় মাঠজুড়ে লক লক করছে ইরি-বোরো ধানের চারা। আর দেড় মাসের মধ্যে চলতি মৌসুমে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এদিকে, কৃষাণ-কৃষাণীরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে গিয়েই দেখা যায় মৃদু হাওয়ায় সবুজ ধানের দোল।উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের এলাকার কৃষক তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর আমি প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেছি। কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব।’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই কৃষকদের চাষাবাদে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
মোঃ মুন্না হুসাইন (ভ্রাম্যমান) প্রতিনিধি