বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিশু পার্কের পুকুরের ভেতরে চারপাশে গাইড ওয়াল না থাকায় সবুজ বনায়ন ধ্বংস হতে চলেছে। ইতোমধ্যে অনেক বনজ, ফলদ ও ঔষধি প্রজাতির গাছ পুকুরের মধ্যে পড়ে পরে গেছে।
সরেজমিনে (৩০ এপ্রিল) মঙ্গলবার বিকেলে তাড়াশ শিশু পার্কের পুকুরের চারপাশ ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের পাড় ঘেষে নারকেল গাছ, তালগাছ ও মেহগনি গাছ পড়ে আছে। বেশিরভাগ গাছ পানিতে পড়ে পঁচে গেছে। কিছু গাছ হেলে পড়েছে। এছাড়াও অনেকগুলি গাছের গোড়ার মাটি সরে শিকড় বেড়িয়ে পড়েছে। যখন-তখন সেসব গাছও পুকুরে পড়ে যেতে পারে। উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সরকারি হাঁস মুরগির খামার পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানেই শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সবুজ বনায়নের কাজ ঐ সময়েই করা হয়। এখনও শিশু পার্কের পুকুরের চার পাড়ে মাঝারি ও বড় আকৃতির প্রায় সারে ৪০০ মত গাছ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুছ আলী (৫৮) নামে এক ব্যক্তি জানান, শিশু পার্কের ভেতরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা অনেক আগেই পুকুরের মধ্যে ধ্বসে গেছে। এখন সেই রাস্তার চিহ্নমাত্র নেই। চারপাশ থেকে ১০ থেকে ১২ ফুট করে পাড় পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। এ কারণে চার পাড়ের দুই সারিতে যতগুলো নারকেল গাছ ও তাল গাছ ছিল তা সবই পুকুরে পড়ে পঁচে গেছে।এই প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি আরো জানান, তাড়াশ পৌর শহরের আশপাশে নিরিবিলি বসার মত কোথায় কোন স্থান নেই। তাই বড়রা শিশুদের নিয়ে একটু নির্মল বাতাসের খোঁজে ও শীতল ছাঁয়া পেতে এখানেই আসেন।তাড়াশ শিশু পার্কের কেয়ারটেকার জাহিদ হাসান বলেন, দ্রুততম সময়ে শিশু পার্কের পুকুরে চারপাশে গাইড ওয়াল করা জরুরি। নয়তো সময়ের সাথে সবকিছু পকুরেই বিলীন হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. মেজবাউল করিম বলেন, শিশু পার্কের পুকুরের এক পাড়ে গাইড ওয়ালের কাজ প্রক্রিয়াধীন। পর্যায়ক্রমে অন্য তিন পাড়েও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে।