জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর
শস্যভান্ডার খ্যাত পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ থেকে পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা ঘরে রসুন তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েক বছরের সাফল্যের পর এবারও ব্যাপকহারে বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছে এ চাটমোহর উপজেলায়। দিন-রাত পরিশ্রম করে কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পেরে মহাখুশী চাষীরা। এ অঞ্চলের ‘সাদা সোনা’ বলে খ্যাত মসলা জাতীয় ফসল রসুন এখন অন্যতম অর্ধকরী ফসল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় ৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমি বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছিল। প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ ফলন হয়েছে। প্রতিমণ রসুনের বর্তমান বাজার মূল্য ১৬’শ থেকে ১৮’শ টাকা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান জানান, আমন ধান কাটার পর জমি থেকে দ্রুত আগাছা পরিস্কার করে মাটি ভেজা থাকতেই পরিমিত সার প্রয়োগ করে সারিবদ্ধভাবে রসুনের বীজ রোপন করতে হয়। এরপর খড় দিয়ে জমি ঢেকে দিতে হয়। একমাস পর সেচ দিয়ে জমিতে পরিমাণমত ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। ৯০ থেকে ১শ দিনের মধ্যে রসুন ঘরে ওঠে।
উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের রসুন চাষী ইজাবত আলী জানান, এবার আবাদে খরচ একটু বেশী। বিঘাপ্রতি ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ফলন ৩৫ মণ। তার বর্তমান বাজার দর ৪০/৪২ হাজার টাকা। পরে দাম আরো বাড়বে। বিঘা প্রতি লাভ হবে ৫০ হাজার টাকা।
ধানকুনিয়া গ্রামের রসুন চাষী আঃ গণি জানান, এখন অনেকেই শ্রমিক খরচ ও সাংসারিক খরচের জন্য কম দামে রসুন বিক্রি করছে। এক সময় দাম হবে অনেক বেশী। তিনি বলেন বিনাহালে রসুনের আবাদ বাড়ছে। লাভ হওয়ায় রসুন আবাদে ঝুঁকছে চাষীরা।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, রসুন আবাদে লাভ লাভবান হওয়ায় কৃষক এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ে