গোলাম মোস্তফা:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুর খড়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন খামারি ও গৃহস্থরা।উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের আবুল কালাম নামে একজন খামারি ও তাড়াশ পৌর এলাকার ভাদাস গ্রামের গৃহস্থ বাবলু মিয়া বলেন, বিগত বন্যার সময় গরুর খড়ের সংকট দেখা দেয়। যা এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে এক ভ্যান খড় তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ভ্যান ভাড়াসহ সারে তিন হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে।
এরা দুজন আরো বলেন, সাধারণত বোরো ধানের খড় দিয়ে বছরের বৈশাখ, জৈষ্ট, আষার ও শ্রাবণ মাস পর্যন্ত গরুর খাবারের যোগান দেওয়া হয়ে থাকে। বাকি আট মাস রোপা আমনের খড় দিয়ে খাবারের চাহিদা মেটানো হয়। কিন্তু এ বছর দফায় দফায় বন্যার কারণে রোপা আমন ধান ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। ঐ সময় অতি বৃষ্টিতে অধিকাংশ খামারি ও গৃহস্থর খড়ের পালাও পঁচে যায়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আর এম ও সোহেল বলেন, ‘ বিশ থেকে পঁচিশ দিন পর বোরো ধান কাটা শুরু হবে। সেই পর্যন্ত গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে খড়ের পাশাপাশি ধানের গুড়া খাওয়ানো যেতে পারে। আর প্রোটিনের অভাব পূরণে ছোলা, খৈল ও ভুষি খাওয়াতে হবে। ’