চলনবিল বার্তা ডেস্ক : মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, ৫০ বছর পেরিয়ে ৫১ বছরে পা রাখবে মহান স্বাধীনতা দিবস। এবারে মুজিবজন্মশতবার্ষিকীও পালিত হচ্ছে একই সাথে। তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব-তাৎপর্য স্বতন্ত্র, অনন্য। ইতোমধ্যে জাতীয়ভাবে ঢাকায় শুরু দশদিন ব্যাপী মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন ভ্যাটিক্যারে পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশে^র বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান । তারা তাদের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদান ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রশংসনীয় উন্নতিতে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কৃতিত্ব উল্লেখ করেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের আলোকে উদ্ভাসিত। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত সমৃদ্ধ সভ্য দেশের সাড়িতে স্থান পাবে তা এখন সময়ের ব্যাপার আর প্রতীক্ষার পালা। আর্থ-সামাজিক সবকিছু আশাব্যাঞ্জক সত্বেও আমাদের কতিপয় দিকে আরো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায় বিচার, দুর্নীতি-বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা, স্বাধীন গণমাধ্যম , বিরোধী বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি। অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে মানব উন্নয়ন সূচকেও আমাদের ইপ্সিত উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের জাতীয় জীবনে দেশপ্রেম, দেশাত্মবোধ, মূল্যবোধ এবং সততা নৈতিকতার যে ঘাটতি তথা শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণে যতœবান ও ত্যাগ-উৎসর্গপূর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে। স্বাধীনতাকে সব দিক থেকে স্বার্থক এবং অর্থবহ করে তুলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উপহার দেয়ার এ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।