স্টাফ রিপোর্টার : তফিজ উদ্দীন (৭৫)। সিরাজগঞ্জের তাড়াশের পৌর শহরের সোলাপাড়া গ্রামের একজন বাসিন্দা। ২০০৬ সালে সোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকতা শেষে তিনি অবসরে যান। তখন থেকে সোনালী ব্যাংক তাড়াশ শাখা হতে ৯ হাজার ৪০০ টাকা বেতন উত্তোলন করে আসছেন। এই টাকায় তার সংসারের যাবতীয় খরচ টেনেটুনে চালাতে হয়। এই টাকা থেকেই প্রতিমাসে তাকে বার্ধক্যজনিত রোগের ওষুধ খেতে হয়।
অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক বলেন, (৮ মার্চ) সোমবার বেলা ১১ টার দিকে সোনালী ব্যংাক, তাড়াশ শাখা থেকে বেতন উত্তোলন করেন। ঐ ব্যাংকের দোতলা ভবন থেকে নিচে নামতেই একজন ব্যক্তি তাকে বলেন, “চাচা মিঞা, আপনার পাঞ্জাবিতে মুরগির বিষ্ঠা লেগে গন্ধ বেরচ্ছে। চাচা মিঞাও খেয়াল করেন কথা তো ঠিকই। তার পাঞ্জাবির বিভিন্ন অংশে মুরগির বিষ্ঠা।” তারপর ঐ ব্যক্তি তাকে ব্যাংক নিকটবর্তী উপজেলা মসজিদের ওযুখানা থেকে পাঞ্জাবি পরিস্কার করে নিতে বলেন। যথারীতি তিনি মসজিদের ওযুখানায় বসে পাঞ্জাবি ধুচ্ছিলেন। অজ্ঞাত ব্যক্তিও সেখানে উপস্থিত হয়ে পাঞ্জাবি ধোয়ার কাজে সহায়তা করেন। এরই ফাঁকে উক্ত শিক্ষকের বেতনের টাকা রাখা কাপরের ব্যাগটি নিয়ে চম্পট মারেন। ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আরো বলেন, ঐ ব্যক্তিই সুযোগ বুঝে তার পাঞ্জাবিতে মুরগির বিষ্ঠা লাগিয়ে দেন ও টাকাগুলো নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংক তাড়াশ শাখার ব্যবস্থাপক মো. রওশন আলী বলেন, এ ঘটনার পর থেকে ব্যাংকের আশপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে গ্রাহকদেরকেও প্রতারণা থেকে সতর্ক্য থাকার জন্য বলা হচ্ছে।