গোলাম মোস্তফা : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামে সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজন হতাহত হোন। তারপর থেকে হামলা-মামলার ভয়ে এক পক্ষের সবাই গ্রাম ছাড়া। দিনমজুর আলতাব হোসেন (৪৮) গ্রামে বসবাস করে গ্রাম ছাড়া মানুষগুলোর সাথে কেনো কথা বললেন, তা নিয়ে ডাকা হয় সালিশ বেঠক। শুধুমাত্র কথা বলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন গ্রামের প্রধানরা। সেই জরিমানার পুরো টাকা দিতে না পারায় তাকে বেধরক লাঠিপেটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের দিঘীসগুনা গ্রামের শুক্রবার দিবাগত রাতের এমন ঘটনা।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলতাব হোসেনের ছবি তুলতে গেলে তার স্ত্রী কাজলী খাতুন বাধা দেন। তিনি বলেন, এসব নিয়ে লেখালেখী হলে গ্রামের প্রধানরা তাদের আর গ্রামে বসবাস করতে দেবেননা। স্থানীয় সূত্র ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ গ্রামের কয়েকজন বলেন, (২৮ ফেব্রুয়ারি) রবিবার গ্রামে সংঘর্ষের পর থেকে অনেকের আত্মীয়-স্বজন প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন। তাদের সাথে একটু কথা বলাতেই অপরাধ হয়েছে। সালিশ বৈঠকে তৎক্ষণাৎ সোনার গহনা দিয়ে জরিমানার ৫০ হাজার টাকা শোধ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গহনার দাম ঐ পরিমান না হওয়ায় মানতে নারাজ গ্রাম প্রধানরা। পরে জমি থেকে করলা বিক্রি করে টাকা শোধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন দিনমজুর আলতাব হোসেন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধরক লাঠিপেটা করা হয়।
গ্রাম্য সালিশ ডেকে দিন মজুর আলতাব হোসেনকে লাঠিপেটার কথা অস্বীকার করেছেন, দিঘীসগুনা গ্রামের প্রধান রজব ফকির, আয়জদ্দী ও মহির উদ্দিন। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ মামলা করেছেন। তবে দিনমজুর আলতাব হোসেনকে সালিশে লাঠিপেটার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
