সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ভাদাস পুর্বপাড়ায় ববিতা(৩০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করে শোয়ন ঘরের সেলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্ত¡হত্যার নামে ধামা চাপা দেওয়ার ঘটনায় মুল আসামীদের ১০ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ওই মামলার বাদী সহ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তষ্টের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,প্রায় ১৫ বছর আগে নাটোরের সিংড়া উপজেলার আয়েশ গ্রামের কফিল শেখের মেয়ে ববিতা খাতুনের সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ভাদাস পুর্বপাড়া গ্রামে মৃত আবুসাইদের ছেলে মোঃ ইদ্রিস আলী ইমনের সাথে বিবাহ হয় এবং তাদের সংসার জীবনে ইশিতা(১০) ও বৃষ্টি(৩) নামে দুটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। স্থানীয়রা জানায়,বিবাহের পর থেকেই স্বামী,শাশুড়ী,দেবর সহ ওই যৌথ পরিবারের প্রায় সকলেই যৌতুকের নামে মানসিক ও শাররিক র্নিযাতন করে আসছিল গৃহবধু ববিতাকে। এনিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। এরই জের ধরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বিকাল আনুমানিক ৪টায় স্বামী ইমন সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ঝগড়া ও বাকদ্বন্দিতার একপর্যায়ে গৃহবধু ববিতাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি অন্য কেউ জানা জানির আগেই ববিতার লাশ তার শোয়ন ঘরে সেলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্ত¡হত্যার নামে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের কানা কানির একপর্যায়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাৎক্ষনিক ভাবে স্বামী ইমন,শাশুড়ী সহ ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এঘটনায় ববিতার পিতা কফিল উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে পরের দিন তাড়াশ থানায় মেয়ে জামাই ইমন,শাশুড়ী নুরজাহান(৬২) সহ ৬জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার ১০ দিন পরও এই হত্যা মামলার কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় মেয়ের শোক ও আইনের দুর্বলতায় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে মামলার বাদী কফিল উদ্দিন শেখ। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যেও অসন্তষ্ট বিরাজ করছে। রহস্যজনক এই হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তাড়াশ থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ ফজলে আশিক বলেন,হত্যা মামলার বিষয়টি তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।