তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুল্টা বাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রী কলেজের ৪ শিক্ষকের ৭ মাস বেতন বন্ধ করায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন। কলেজের অধ্যক্ষ ও গভার্নিং বডির সভাপতির বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি, জাল স্বাক্ষর ও ভুয়া রেজুলেশন করে শিক্ষকদের ফাঁসানোর প্রতিবাদ করায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র প্রভাষকসহ চার জনের কপালে জুটেছে বেতন ভাতা বন্ধের ওই শাস্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ কলেজের নির্মাণাধীন গেট ধসে পরে গুল্টা হাটে আসা চার জন হাটুরে লোক নিহত হন। যা নিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও গভার্নিং বডির সভাপতিসহ পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার, মোজাম্মেল হক, সুশীল কুমার মাহাতো, এস,এম, হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন গেট ধসে পরে চার জন লোক নিহতের ঘটনার মামলার আসামি কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতিসহ পাঁচ জন সদস্য মামলা থেকে নিজেদের বাঁচতে ভূয়া রেজুলেশন করে সেখানে গেট নির্মাণের ভুয়া কমিটি করে আমাদের চারজন শিক্ষককে সদস্য করা হয়। আর ওই ভুয়া কমিটি করার প্রতিবাদে তাতে আমরা স্বাক্ষর না করায় অধ্যক্ষ ও গর্ভানিং বডির সভাপতি আমাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন।
তারা আরো বলেন, মূলত কলেজের গেট নির্মাণের সময় কোনো কমিটিই গঠন করা হয়নি। আমাদের ফাঁসানোর জন্যই তারা ভুয়া েেরজুলেশন ও জাল স্বাক্ষর করে একটি কমিটি গঠন করেন যাতে তারা মামলা থেকে রেহাই পান। অথচ আমরা চার শিক্ষক ওই গেট নির্মাণ সম্পর্কে কোনো কিছুই জানি না। পরবর্তীতে তা নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের তদন্ত টিমের কাছে বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে গত আগস্ট ২০২০ থেকে ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার সরকার, পরিসংখ্যান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক এস এম হেলাল উদ্দিন, গণিত বিভাগের প্রভাষক সুশীল কুমার মাহাতোর বেতন ভাতার বিলে কলেজ অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, গর্ভানিং বডির সভাপতি গজেন্দ্র নাথ মাহাতো সাত মাস যাবত বেতন-ভাতার বিলে স্বাক্ষর বন্ধ রেখেছেন। ফলে গত সাত মাস যাবত ওই শিক্ষকগণ বেতনভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবশ্য এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান ও গর্ভানিং বডির সভাপতি গজেন্দ্র নাথ মাহাতোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জাতীয় বিশ^দ্যিালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো: মনিরুজ্জামান বলেন, চার জন শিক্ষকের বেতন ভাতা ছাড়ের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।