লুৎফর রহমান : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বন্দেবস্তের সরকারী কৃষি খাস জমি শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের কালিদাসনীলি গ্রামের ৪১ জন ভূমিহীনকে ১৯৯০ সালে বিভিন্ন সময়ে ওই মৌজার সরকারী খাস সম্পত্তি প্রায় ৪০ বিঘা ফসলী জমি কবলিয়াত দেওয়া হয় চাষাবাদ করার জন্য।
কিন্তু ভূমিহীনরা কবুলিয়াত পাওয়া সে ফসলী জমিতে আইন অমান্য করে লীজ দিয়ে তারা বেআইনী ভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করছেন । আইনে আছে ভুমিহীনরা বরাদ্দকৃত কৃষি খাস জমি উত্তরাধিকার ব্যতিত অন্য কোনভাবে কারো নিকট হস্তান্তর বা শ্রেণী পরিবর্তন করতে পারবে না । করলে সংশ্লিস্ট জমি সরকারের খাস জমিতে পরিণত হবে।তারপর ও সরকারী খাস সম্পত্তিতে দিন রাত পুকুর কাটছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে একদিকে আইন অমান্য হওয়ার পাশাপাশি ফসলী মাঠে পুকুর খনন করায় ওই মাঠে তীব্র জলাবদ্ধতায় শত শত বিঘা জমির ফসলহানী ঘটবে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছেন ।
কালিদাসনীলি গ্রামের ফসলী মাঠের সরকারী খাস সম্পত্তি কবুলিয়াত পাওয়া ভূমিহীন আব্দুল মান্নান ,জহর আলী ,আহম্মেদ আলী , মজিবর রহমান , নওজেশ আলী , আনোয়ার হোসেন , বেল্লাল সরদার , হাকিম উদ্দিন , সোনা মিয়া , আফছার আলী সহ অনেকেই প্রতি বিঘা জমি বার্ষিক ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় লিজ মানি নিয়ে ওই সকল সরকারী জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন।তবে সরকারী খাস সম্পত্তি কবুলিয়াত পাওয়া ভূমিহীন আব্দুল মান্নান ,জহর আলী ও আহম্মেদ আলী জানান, বিলের মধ্যে ওই জমিগুলোতে ভাল ফসল না হওয়ায় তারা পুকুর খনন করছেন। সরেজমিন কালিদাসনীলি গ্রামের পূর্ব মাঠ ঘুরে দেখা গেছে , ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ বিঘা জলায়তনের ২টি পুকুর খনন শেষ হবার পথে। পুকুর খননের জন্য দুটি খনন যন্ত্র দিয়ে পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে।
ফসলী জমিতে আইন অমান্য করে লীজ দিয়ে তারা বেআইনীভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করলেও সংশ্লিট নওগাঁ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তা বন্ধ করতে কোন ব্যবস্থা নেননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।নওগাঁ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শাহ্ কামাল বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারী খাস সম্পত্তিতে পুকুর খনন করতে নিষেধ করলেও তারা এতই বেপোরোয়া যে পুকুর খনন বন্ধ করেনি । এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) ওয়াবায়দুল্লাহ জানান, কবুলিয়াত পাওয়া সরকারী খাস সম্পত্তিতে শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা বেআইনী । তাই বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধরী মোঃ গোলাম রাব্বী বলেন, বন্দেবস্তের সরকারী খাস জমি শ্রেনী পরিবর্তনের সুযোগ নেই।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।