চলনবিল বার্তা ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের মার্চ থেকে অর্থাৎ প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে করে শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাভাবে বন্ধের উপক্রম। তবু সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ধৈর্যচ্যুতিও ততই বাড়ছে, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দাবিতে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান শুরু করেন। দ্রুতই এমন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, সংক্রমণের হার আরও হ্রাস পাওয়া পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, সবার আগে জীবন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বেড়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ছুটি থাকবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ।