সাব্বির আহম্মেদ : তিনি হাবিবুর রহমান সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী)। ব্যবসা বানিজ্য সহ নানা কাজে অত্যান্ত ব্যস্ত তিনি। তাই নিকাহ্ রেজিষ্টারের (কাজীর ) সকল কাজ করেন তার মনোনীত কমিশন ত্রজেন্ট আব্দুস সামাদ।
অতচ সরকারী নিয়মে এ ধরনের কমিশন ত্রজেন্ট দিয়ে কাজ করাণের নিয়ম না থাকলে তারপরও বছরের পর বছর প্রকৃত নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) হাবিবুর রহমানের পরিবর্তে কাজ করাছেন ওই কমিশন ত্রজেন্ট আব্দুস সামাদ ।
আর তিনি কোন নিয়ম নীতি না মেনে কাবিন ছাড়া বাল্য বিয়ে দেওয়া ও সে ক্ষেত্রে নিজের তৈরী নকল বিবাহ রেজিষ্টার বই ব্যবহার, বিয়ে রেজিষ্টিতে সরকার নির্ধারিত টাকার বেশী আদায়, ফি আদায়ের রশিদ না দেওয়া ,কাবিনের নকল, তালাক দেওয়া, তালাকের নকল সরবরাহ সহ নানা কাজে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুব্ধে।
এ ছাড়া আরো অভিযোগ রয়েছে নিকাহ্ রেজিষ্টার হাবিবুর রহমান কমিশন ত্রজেন্ট আব্দুস সামাদকে দিয়ে সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশী টাকা আদায় করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিলেও দেথার কেউ নেই বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী মো. কাদের হোসেন , সোরহাব আলী, ফারুক হোসেন সহ অনেকে ।
অতচ সরকারী নিয়ম আনুযায়ী একজন ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) একটি বিয়ের কাবিন করতে প্রতি হাজারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে ফি আদায় করবেন । আর লাখ টাকার উপরে কাবিন হলে প্রতি লাখে ১০০ টাকা নেবেন । তালাক রেজিষ্টি করতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, কাবিনের নকল দিতে ৫০ টাকা ও কেউ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এ সকল কাজ করালে কমিশন খরচা বাবদ প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা হারে চার্জ নেবেন ।
কিন্তু বারুহাঁস ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) হাবিবুর রহমান ও তার মনোনীত কমিশন ত্রজেন্ট আব্দুস সামাদ কোন নিয়ম নীতি না মেনে যে কোন অংকের কাবিনে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা আদায় , তালাকে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার, কাবিনের নকল সরবরাহ করতে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা ও বিয়ে বাড়িতে কাবিন রেজিষ্টি করতে যাতায়াত খরচ বাবদ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করেন । আর বাল্য বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের তৈরী নকল বিবাহ রেজিষ্টার বই ব্যবহার করে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন বারুহাঁস গ্রাম এলাকার মুকুল হোসেন ,আনোয়ার হোসেন , মোস্তাফা আলী সহ একাধিক ব্যক্তি । তারা আরো অভিযোগ করেন এ সকল কাজে কাজীর পক্ষ থেকে কোন প্রকার রশিদ সরবরাহ না করায় তারা পরবর্তীতে সব কিছু অস্বীকার করে থাকেন ।
তবে এ প্রসঙ্গে বারুহাঁস ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) হাবিবুর রহমান এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব অভিযোগ ঠিকনা । বরং আপনী আমার সাথে দেখা করেন । সাক্ষাতে কথা বলব । অপরদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন ,সরকারী নিয়ম মেনে নির্ধারিত ফি নিয়ে নিকাহ্ রেজিষ্টারকেই কাজ করতে হবে । কোন কমিশন ত্রজেন্ট দিয়ে কাজ করানোর নিয়ম নেই । আর বারুহাঁস ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) হাবিবুর রহমানের বিরুব্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।